Friday 10 December 2010

সিমান্তরক্ষিদের টুইটার ও জ়ুলেখা নগরের মির্জা

সিমান্তরক্ষিদের টুইটারঃ

চড়ুইকে গাছপাকা বরুইগুলা গাছপাকা বরুইকে চড়ুইগুলা
চিরর চির চিরররররররররর পালকেরা পাড়া বদলে

পাহাড়েরা দেহ বদলে গারোরা ত্রিপুরায় ত্রিপুরান'রা বার্মায়
বার্মিজেরা কম্বোডিয়ায় এবং ইত্যকার সিমান্ত সংরক্ষনের যে দুষন
তার কালিঝুলি ঠেলে গভির নল্কুপগুলার সিমান্তবিহিন জলে
৯ই ডিসেম্বারের শিতকালিন পশলা পশলা বর্ষাপাত
ক্লান্তিকে কান্তিময় করে কারাবন্দি সিমান্তরক্ষিদের যারা পাহারা দিচ্ছে
কারাপ্রাচিরের বাইরে তাদের বর্শাতি ছুলো

Sunday 5 December 2010

লৌকিক ধ্রুপদে

 রবীন্দ্রনাথের নামের বানান ছাড়া ঈকার, ঊকার, ণ, চাদবিন্দু  না-ব্যাবহার মার্জনাসুন্দরভাবে দেখবেন।চখাহা

প্রকরন বনামঃ

সভ্যতার সঙ্কেতসুত্র যে মুদ্রামান, তা শক্তিশালি না হলে কি সাহিত্য শক্তিশালি হয় না?মুদ্রামানের থেকেও এগিয়ে থেকে ধ্রপদ'কে নিত্য প্রয়োজনিয়তাতে কিভাবে গড়ায়ে নেয়া যায়?

শক্তির সাথে মুদ্রামান বেধে দিলেই কেবল উপরের প্রশ্ন'টার ভ্যালিডিটি থাকে!কিন্তু সাহিত্যের মৌলিক প্রবর্তনাতে যে-জাগতিক-যত্নবোধ তা ওপরের প্রশ্নটার ভ্যালিডিটির সাথে জোর-যার-মুল্লুক-তার প্রবনতাগুলার বিরোধিতার পাশাপাশি আবারো কিন্তু উপরের প্রশ্নটারই একটা বৈধ, অবৈধ ঘুর্নিপাকে জড়িয়ে যায়!যার ফলশ্রুতিতে লৌকিক হাস্যরস, করুনরসের পাশাপাশি কখনো, কখনো বিররসের উসিলায় পারলৌকিক প্রতিকের চোখ রাঙ্গানি!

Sunday 19 September 2010

কুত্তায়ে চায় রাতিবঃ লালনের রহব লওয়া সহজ মগর কসাইগো কথা কইতে শরম লাগে

এন্থ্রাক্স মামলার ভুগিজুগি শুরু করেছে মিডিয়া!পুরাদমের ভুগিজুগি না!নিচা স্বরের দুই খাবলার ভুগিযুগি!মানে ঐ যে কেউ বলে পাকের ঘর, কেউ বলে রান্নাঘর, কেউ বলে গোস্ত, কেউ বলে মাংস ঐ রকমের ভুগিযুগি!বলছি না যে সরকার এটা নিয়ে বুশের রাজনিতি করছে বাংলাদেশের কসাইদের সাথে!বলছি যে কাপড়ওয়ালাদের কোটা, মোটার গ্যাঞ্জাম যদি কাপড়ওয়ালাদের সাথে কথা বলে সুরাহা করা হয়; তাহলে গোস্ত আর মাংসের মারানিগিরি না করে কসাইদের সাথে সরকারের সাত তাড়াতাড়ি কথা বলা দরকার!

Monday 30 August 2010

কোপাও জুলেখাকে


কোপাতে কোপাতে জুলেখাকে কোকড়াওঃ
কোকড়াতে কোকড়াতে ফুল শব্দটা শুনলেই
গুলাবপানিতে ছিটানো চাদরে পর্দায়
খিড়কি আর অন্দরের বেফারাক-সাদা-কালো
সাদা-কালো সাদা-কালো সাদা-কালো
জর্দার সাদায় বোবা জিব্বায় অর্থ অনর্থের রকমফের নাই
হঠাত কয়েক হাজার কোটি টর্চের জাফ্রান মাখা আলো

Monday 23 August 2010

গৌরনদির উপকথা

উপকথাই যে কোন জনগোষ্ঠির মুল প্রানস্পন্দন!নিচের খবরগুলা আমার খুব মজা লেগেছে! যেমন বানানে ও বাকধারায় ছিল তেমনভাবেই পরিবেশিত হলো!শুধু ঘটনাক্রম নিজের মত সাজায়ে একটু পরিক্ষাধর্মিতামতঃ খবরকে উপকথায় প্রমোশান দিয়ে একটা দর্পন তৈরির প্রয়াস!

অমর প্রেম
আহুতিবাটরা গ্রামের মৃত পুলিন হালদারের পুত্র ২৯ বছরের বিপ্লব চন্দ্র হালদার জানান, প্রেমের সম্পর্কে একই গ্রামের তার পিসতুতো বোন হরিচাঁদ হালদারের কন্যা ২২ বছরের শিল্পী হালদারকে  বিবাহ করার অপরাধে গ্রামের মোড়ল মনোতোষ হালদার, শৈলেন হালদারসহ তাদের সহযোগীরা গতকাল সোমবার তাকে তার বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে দেয়নি।আক্ষেপ করে বিপ্লব বলেন, ভালবেসে বিয়ে করা যদি অপরাধ হয়। তাহলে দু’জনের জীবন দিয়েই সে ভালবাসা অমর করে যাব।

Wednesday 18 August 2010

পঞ্চাশের কবিতার পথ্যে ও নেপথ্যে

কবিদের নাম ছাড়া অন্যত্র লম্বা ঈকার, ঊকার ব্যাবহার করা হয় নাই।চখাহা।

''যখন দেশ ছেড়েছিলাম...তখন ঠিক করেছিলাম আমি আর লিখবো না। বাংলা সাহিত্যের সাথে, বাংলা ভাষার সাথে আর কোন সংস্রব রাখবোনা।'' ২০১০

পর্দার আড়ালেঃ

দ্রস্টব্য যে ২০১০এর মে'তে 'বইয়ের জগত'এর তৃতিয় সংকলনে শহীদ কাদরীর শেষ প্রকাশনা 'আমার চুম্বনগুলা পৌছে দাও' রিভিউতে আব্দুল মান্নান সৈয়দ যে 'পত্রসাহিত্যে'র অবতারনা করেন, তাতে ১৯৭১ পরবর্তি সাহিত্য ইতিহাসের নামে কোন সেমিনারে, কোন টি, ভি অনুষ্ঠানে মান্নান  কি বলেছেন সেসবের ফিরিস্তি থাকলেও; সামরিক সরকারের তত্ত্বাবধানে গঠিত 'কবিতাকেন্দ্রের' সংগঠনে নিজের ভুমিকা একেবারেই এড়িয়ে গেছেন!

Thursday 12 August 2010

এই শবেবরাতেঃ

ইস্কুলের ভিতরে ঙ্কিন্তু মাস্টারেরা আর বাচ্চাদের ক্রশফায়ারে মারতে পারবে না
ইস্কুলের বাইরে  মাস্টারেরা  বাচ্চাদের ক্রশফায়া্রে  মারতে পারবে কি পারবেনা

এই নিয়ে অভিভাবকেরা বেশ একটু সংশয়াচ্ছন্ন
মানে কালো সান গ্লাস পরা চুলে দাড়িতে কলপ মাখা
মাথায় কালো ফেট্টি বাধা বাবদ ইস্কুল মাষ্টারদের
যে আরেকটা খন্ডকালিন দায়িত্ব আছে তা কিভাবে পালিত হবে

Sunday 18 July 2010

ভাঙ্গা লিরিকে, ভাঙ্গা বয়ানে শিথিল সনেটগুচ্ছঃ

নিচের গদ্যাংশে ঊকার, ঈকার, ণ, চাদবিন্দু ব্যাবহার করা হয় নাই


বিজন সঙ্কেতঃ

রেঙ্গুন সনেটগুচ্ছ' প্রকাশের পর একটা প্রশ্ন অনেকে করেছিলঃ এগুলাকে সনেট বলছেন কেন?

সনেট নিয়ে নিজস্ব ভাঙ্গাগড়ার খেলাটার প্রস্তুতি অন্যদের ধরায়ে দেবার আগে, বাংলাভাষার বিবর্তনের আলোকে কবিতা প্রচলে সনেটের আভিধানিক অর্থ কোথায়, কিভাবে থমকেছে তা এ-ভাষার কয়েকজন মানি কবির সনেট থেকে বুঝবার চেষ্টা করেছিঃ

Saturday 10 July 2010

চাদরাতে চন্দ্রভঞ্জন

আদি কৈলাশ
চাদ
রাতে চাদরাতে কাত্রাতে কাত্রাতে চন্দ্রের ভঞ্জন
কেহবা রঞ্জনে চিকন কেহবা বিমুর্তের নিরঞ্জন

ওম
সে এক পর্বত কাহনে যে চন্দ্রবিন্দুর দেবনাগরি আতুরঘর
শম্বরের ছাল গায়ে আকাশের  নাজানির কাছে বর চেয়ে
অনাদি জংলিংকং নাচায়েছিল  মুন্ডা যোগিন সাত

সমাসন্ধি সাবিত্রির
আকাল গায়ত্রি তাখতে এরকমটা খবর আসে
মানস সরোবর তিরে ঘাটি গাড়া ইরানি আরিয়ান খাস'দের শিবিরে

আর্জভট্ট
উপাধ্যায় মিত্র চেদি চাদ শিং রানারা রন হুঙ্কারে জাগতেই
পুরোহিত পন্ডিত ঠাকুরেরা কহেঃ রাজন্যরা ঘাবড়াও মাত
কোল ও মুন্ডাদের  নিকাশে হেসে হেসে
মন্ত্র গাহোঃ জংলিংকং'য়েই জগতের সকল প্রানের আদিবাস
চোখের বালিতে রাঙ্গানো বরফের কুচিতেই খেলাও প্রানাভার বালিহাস

Saturday 3 July 2010

বিন্দির টিপ অথবা কমলাদের গান


এত সুন্দর হলেন কি করে আপনি
যে না তাকাতেই নিজেকে নাচালেন কমলায়
এরকম ভাবতে ভাবতে কপালের চারপাশে
গড়িমসি পা ফেলে
মাছিটা হাটছিল কখনো বা জট পাকানো চুলের জঙ্গলে
ফুটাটার ভিতর ঢুকব কি ঢুকবনা ভেবে ভেবে ইতস্তত

এবং রহস্যঘন লালচে শুকনা মরিচা ধরনের রেখায় ক্ষিপ্ত বিক্ষিপ্ত
মাছিটা ঢুকবার সিধান্ত নিতেই দুই ভ্রুর মাঝখান জুড়ে

Monday 14 June 2010

হননের উপকথা ২ঃ স্ট্যাম্পে লিখে ফেললে তা নাকি আর পাল্টানো যায় না

উল্টায়ে বললে ভ্যান আর সাইকেলঃ
কাঠের তক্তায় চাকার বদলে বেয়ারিং বল

শিশুবৃক্ষ বিনাশে বানান সঠিক লোকজন এত সিদ্ধ্বহস্ত যে
রাজাদের অভিধান থেকে শিশুবৃক্ষরা কেবল শেখে আত্মহননের কৌষল

বাংলার অক্ষরগুলো
এক জন আরেক জন'কে ঠ্যালে জল জংলার কালবেলায়ঃ
সালোক সংশ্লেষন কঠিন শোনালেও
মুল মন্ত্রনায় তা আাসলে আলো আর পানির খেলা

১২ বছরের বালক ইশরাক পবন
ও ১০ বছরের বালিকা রাইসা শারমিন পায়েল
টবের চারাগাছদের সিনথেটিক গড়ন বাড়ন এড়ায়ে
নিজেদের ছড়ায়ে দিতে চেয়েছিল দুনিয়াবি বিস্তির্ন   বাগানেঃ
কবরস্থানের বিশ্বায়ন ফেরে ভাইবোনেরাই কখনো বা লাল নিল বাগানবিলাস
কখনো বা ওপেন হার্ট সার্জারির পর ঢাকাই ক্লিনিকগুলার গোজামিল প্রেসক্রিপ্সান

Friday 11 June 2010

আনা কারেনিনা

রচনাটাতে ঈ, ঊ, ণ, চাদবিন্দু ও ছোট ত ব্যাবহার করা হয় নি!চখাহা।




কখনো আমাদের আত্মা ফুরিয়ে যায়, আমাদের দেহ ফুরানোর আগে! প্রাণস্পন্দন হয়ত দেহকে ব্যস্ত রাখে কবিতাবিহিন সামাজিকতায়!কথাসাহিত্যের বিশ্বগুরু রুশ উপন্যাসিক টলস্টয়ের অজরামর নায়িকা আনা কারেনিনা ছুটন্ত ট্রেনের তলায় ঝাপ মেরে আত্মহত্যা করেছিল।বাতসল্য ও প্রেমের দ্বন্দে যে দুর্বিসহ জিবনের ভার তার আত্মায় চেপে বসেছিল; সমস্ত বিত্ত, বৈভবের ভেতরে তা বহনের চেয়ে অবসানই জরুরি হয়ে উঠেছিল আনার কাছে!

কিন্তু ট্রেনের তলায় ঝাপিয়ে কেন? কেন হিরকচুর্ন নয়? সাপের বিষ নয়? সায়ানাইড নয়? বিষে, বিষে বিষক্ষয়ের মতই, আনা শেষ মুহুর্তে ঠিক করেছিল যে মহাযন্ত্রনাদায়ক মৃত্যুতেই জাগতিক যন্ত্রনার অবসান হওয়া উচিত!যন্ত্র-না!শিল্পবিপ্লবের সাথে অস্তাচলগামি একটা সমাজের প্রতিকি বিরোধ!

Friday 21 May 2010

স্বার্থপরদের গ্রামে নয়া অতিথি

হাজার বছরের ঘুম ভাংগায়ে সুন্দর'কে জাগানো মাত্র সুন্দরের সাথে সংগম করলো রাজকুমার!তারপর কোন পোশাক পরতে না দিয়ে, পুরো নগ্ন অবস্থাতে সুন্দরকে নিজের রাজ্যে নিয়ে এলো ঐ রাজকুমার!রাজ্যের শাষক হচ্ছে তার মা, রানি!

Wednesday 19 May 2010

নৈকট্যধাম সিরিজ



ব্রক্ষপুত্র

ময়মনসিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চিরে বয়ে যাওয়া
ব্রক্ষপুত্র নদ কতকাল যে পোকি’র জন্য অপেক্ষমান ছিল
কে জানে।নৌকার মাঝি বলেছিলঃ
এই নদ নারি পেলে খুশি
সঠিক নারির অভাবে বানজলে আমাদের ভাষায়।

আপনার কথার নিহিত অর্থ কি?
আপনি কি কুমারি বলির দিকে ইঙ্গিত করছেন?
পোকি মাঝিকে এ-প্রশ্ন সুধাতে, মাঝি বলেঃ
না না ছি ছি এটা কি বলেন।আমি বলছিলাম,
এই যে সোহাগ, মহব্বত আপনেরা একে অপরকে দিচ্ছেন
তাতে এই নদ খুশি মহাখুশি

Wednesday 12 May 2010

এটিচ্যুড ব্র্যান্ডিং..শামসুর, গুণ, মোমতাজ ও অধ্যাপক ইউনুস

নামের বানান ছাড়া ঈ, ঊ, ণ, চাদবিন্দু ব্যাবহার করা হয় নাই।চখাহা।

স্মৃতিপাঠ ১

মনে হয় সেটাই ছিল বাংলা একাডেমিতে স্বাধিনতার পর প্রথম বই মেলা!খুব সম্ভবত বোনদের হাত ধরে সেখানে গিয়েছিলাম!অনেকেই চাদর বিছিয়ে নিজেদের বই বিক্রি করছিল!তাদের ভেতর ছিল চোয়াল গর্তে ঢোকা, পিঠে পেট ঠেকা, ইয়া লম্বা নির্মলেন্দু গুণ!ওর প্রকাশক ছিল খান ব্রাদার্স!এখনো নির্গুনকে লোকে এদেশে, ওদেশে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে!খান ব্রাদার্সও নিশ্চিত কলেবরে অনেক বেড়েছে!কিন্তু সত্তরের তরুন কবিদের যেভাবে বরন করেছিল, শুধু খান ব্রাদার্স কেন অন্য কোন প্রকাশনিই তরুন কবিতার প্রতি আর তেমন মমতা দেখায় নি!নির্গুণ নিজেই একটা ব্র্যান্ড, হাটাবাবা ব্র্যান্ড!ওর সেই বাংলা একাডেমির মাঠে ছড়ানো চাদরেই চাদোয়া বানিয়েছে লিভার ব্রাদার্স, মেরিলসহ আরো গ্রুপেরা!কিন্তু চাদোয়াটা আসলে আরো বড়!কল্পনাতে যার শেষ, রুপকথাতেই পরিচয়!

Thursday 6 May 2010

বাতেনি বিলাই...হানিফ পাঠান'কে

বেলাবোকে বিলাও বিলাও বেলাবোকে মিলাও মিলাও
টেরাকোটার হান্ডি পাতিলে ভাগ্যরেখা নাচাও নাচাও

ঢাকার শহর থেকে অল্প একটু দুরে
ওয়ারি বটেশ্বয়ারে
প্রত্নসংগ্রাহক আব্দুল বাতেন
সংবতসর শুকনার শুক্কুরবার
এবং শিতের কালে প্রত্যকটা দিনে
উঠানের কামরাঙ্গা গাছের তলে বাধানো পাকা মঞ্চে
বিশেষ সংগ্রহের এক ইস্ফাহানি জায়নামাজে
পোষা বিলাইটাকে এনে বসান কখনো রাজকুমার
কখনো বা রাজকুমারির সাজে

Friday 30 April 2010

ওফেলিয়া


ইউক্যালিপ্টাস ফুলেরা ইউক্যালিপ্টাস গাছতলে

উইঢিবিগুলাকে ফিশফিশাতে শুনে
অপেক্ষা করতে থাকলো
কয়েকশ বছরের গুর্দাফরাসে রসালো
ভাইকিং দরবারের মুর্দাফরাসি বাস্তবতায়

Wednesday 28 April 2010

ছৌ



কল্পনাকে য্যানো না শোনা যায়
মানে ঝনঝন বন্ধ
শিকলে গাথা শিক কাবাবের উছিলা
পোড়া পোড়া গন্ধ

কল্পনাকে য্যানো না দেখা যায়
মানে খাচার দুয়ারও বন্ধ
কিন্তু মুনিয়ারা নাই ভিতরে
যাদুকরদের চোখ সব অন্ধ

Wednesday 21 April 2010

ভাষাচিন্তাঃ পোকায় কাটা কয়েকটা দাত ফেলে দিলেই দুখিনি বর্নমালার দাত ব্যাথা সেরে যাবেঃ

*সম্প্রতি অভ্র ইউনিকোড ফন্টের ডেভলাপার এবং চর্চাকারিদের  সাথে,  বিজয়-পন্য-সামগ্রির যে বিরোধ তাতে সঙ্গত কারনেই আমার অভ্র দলের দিকে পক্ষ্যপাত করা দরকার।আমি অভ্র ব্যবহার করি। আনফ্রেন্ডলি সফটওয়্যার হওয়াতে বিজয়, সোলায়মানি এসব কখনোই ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনি।

সখ্যতার সহজিয়ায় অভ্র ইউনিকোড, বিজয়-পন্য-সামগ্রি থেকে অনেক এগিয়ে থাকলেও; ভাষার পেছনে ভাব প্রকাশ'কে অর্গলমুক্ত করবার এবং আবার ভাষাকেই শ্রেনি শাষনের মুল হাতিয়ারে পরিনত করবার যে-কায়েমি প্রয়াস  সেই দার্শনিক বিরোধে; অভ্র এবং বিজয়ের দ্বন্দকে আমার শুধু skill বা প্রায়োগিক মনে হয়েছে; মনে হয়েছে সামগ্রিকভাবে  যে-জিঞ্জিরা কালচার চলছে তারই বিস্তার; এর পেছনে সনাতনের অচলায়তন ভাংবার কোন ইশারা এখনো পাই নি!

বোবাদন্ডঃ পাতাবাহার বিষয়ে অতিসঙ্খেপিত কবিতানাটক

'এই মাতোয়ালা রাইতের' লেখক সেই কবি শামসুর রাহমান'কে, যিনি পাতাবাহারদের নিয়ে ভাবিত হয়েছিলেন।আর শৈষব, কৈশোর, যৌবনের বন্ধু নরমাংসখোর বলে খ্যাত পাতাবাহার কুলোদ্ভব খলিলুল্লাহকে।


শব্রাইতের রাইতে
গোরস্থানের গেটের বগলে বসা নিয়া
পাতাবাহারেরা পাতাবাহারদের সাথে
ফাটাফাটি কাইজা লাগাইসে
পুলিশেরা পাতাবাহারদের খেদায়া দিতাসে
আমলকি চিবাইতে চিবাইতে
টেলিবিশনের লোকেরা পাতাবাহারদের সাথে
পুলিশের লাঠালাঠির ফিলিম তুলতাসে

Sunday 18 April 2010

কবিতাঃ মিউটিনিঃ

উল্টায়ে দেখো উল্টায়ে পাল্টায়ে দেখো
দেখো পাথরে চাপা দাগি পুর্নিমার মাঘি কুয়াশায়
নয় মাথাওয়ালা আজব আজব অক্টোপাসগুলো
কেমন তাজব তাজব গড়া্তে গড়াতে

Saturday 27 March 2010

প্রিমাভেরা বসন্তের

Primavera, also known as Allegory of Spring, by Italian  artist Sandro Botticelli. Painted ca. 1482

কে এবং কেন ক্যানভাস জুড়ে প্রিমাভেরা ফু ফু ফু
ফুয়ে ফুয়ে সিলায়ে ফুড়ায়ে
কিউপিড'কে কষে বাধো হাত পিছমোড়া
যাতে বসন্তের ফুল থাকে সর্বদা অক্ষতযোনি

ছয় বছুরে দুধেল ফাইটার

স্বভাবে যা নেই ছয় বছরের মাতিস'কে দেখলাম
জুডোর প্রতিদ্বন্দিতায় তাই করছেঃ বার বার পড়ে গিয়ে
আবারো উঠে দাড়াচ্ছে ফিরে ফাইট দেবে বলে
ছয় বছুরে দুধেল ফাইটার

Tuesday 23 March 2010

অমিনাস পয়েন্টঃ উনিশ বছরের কবিতাগুলোঃ মৌল রুমালঃ


আমার সতেরো থেকে উনিশ বছরে লেখা কবিতাগুলো'র দিকে তাকালেই মনের গহিনতমো কোন থেকে প্রয়াত কবি আবিদ আজাদের প্রতি এক তিব্র ধুশ শালার গালাগাল উঠে আসে।কবিতাগুলো আমার বড়ধরনের সম্পন্ন ফেরার জায়গা হওয়াতে ধুশ শালাটাও প্রতিধ্বনিত হতে থাকে চাপা গোমরানো হতাশ হাহাকারে! আমার উনিশ বছর বয়সে কবিতাগুলো প্রথমে ছাপেন আবিআ ওনার 'কবি' পত্রিকায়।তারপর সেগুলো জায়গা করে নেয় আমার 'মৌল রুমাল' গ্রন্থিকায়।গ্রন্থকাটির প্রচ্ছদ পরিকল্পনা, ফন্ট সেটাপ করে প্রয়াত কবিবন্ধু আহমেদ মুজিব, প্রচ্ছদ পোট্রেট তুলেছিল প্রয়াত বন্ধু  কাফি বিল্লাহ।

Monday 22 March 2010

আশির স্নাইপারেরা ৩ঃ আহমেদ মুজিবের 'প্রেসের কবিতা'

প্রাগুক্তঃ

আমার বাবা আজিম্পুরের একই বাড়িতে আমৃত্যু থাকলেও, ঢাকাতে আমাকে স্কুল বদলের এক নাগরদোলাতে ফেলে দিয়েছিলেন।জমজ বোন কঙ্কনের সাথে আমার লেখাপড়ার হাতেখড়ি আজিম্পুর লেডিস ক্লাবে, তারপর কয়েক বছর অগ্রনি বালিকা বিদ্যালয়ে, তারপর লিটেল এঞ্জেলস, তারপর আদমজি ক্যান্টনমেন্ট, শেষতক আজিম্পুরের ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলে।প্রথমে ভদ্রমহিলা, তারপর বালিকা, তারপর দেবদুত, তারপর সামরিক শৃংখলা,তারপর পশ্চিমি বিতানেঃ ওয়েস্ট এন্ড স্কুল ছিল নৈরাজ্যবাদের রাজধানি; স্কুল'টাকে অলঙ্কৃত করেছে  মাহমুদুল হক, রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এবং আলোচ্য আহমেদ মুজিব ওরফে কচি, আমার কয়েক বছর আগে!

Friday 19 March 2010

তাশের দেশেঃ রবীন্দ্র ভাবনায়, রবীন্দ্র নাট্যশালায়


পূর্বকথনঃ

কয়েক বছর আগে লন্ডনে  দেখেছিলাম চৈনিক তরুণ হাই চিঙ্গয়ের পরিচালনায় Foundation for Indian Performing Arts(FFIPA) প্রযোজনা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কুশীলবদের সমাবেশে রবীন্দ্রনাথের তাশের দেশ অপেরাটির একটি বিশ্বস্ত মঞ্চায়ন।

Monday 8 March 2010

মুস্তাফা আনোয়ার সমগ্র বের হ'লো অথচ অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট!!

বাসেভিচ সিঙ্গারের, 'বোকা গিম্পল' গল্পে, গিম্পলের বৌ বছর ঘুরতে না ঘুরতে একের পর এক শিশু কোলে গিম্পলের গাল টিপে বলেঃ দেখো, দেখো আমাদের নতুন বাচ্চাটার গাল, চোখ সব একেবারে তোমার মতো!
নাম কিন্তু তোমার'ই দিতে হবে গো!গিম্পলত খুশিতে আটখানা!এক বাচ্চার নাম দেয় ভিমসেনা, আরেকটার নাম দেয় খানসেনা! আর অনাগতদের নামের জন্য মহাজাতকের কাছে, বাবা বেইমানের কাছে ধর্না দেয়!মুল এই যে গিম্পলের বৌ তার সাথে কখনোই শোয়াশুয়ি করে নাই!গিম্পল কি সেটা জানে না? জানে এবং বড়টা জানে এবং এখানেই মিথ্যামিথ্যি ইট, পাথ্যর, বাইল্যা চুমা!

Saturday 20 February 2010

ছায়াপিস্তল

সাবদার সিদ্দিকী  ও ত্রিদিব দস্তিদার শ্রদ্ধাভাজনেষু


ছায়াপিস্তল

(১)

সাবদারেরও দল আছে = ছায়াদল

(২)

ত্রিদিবের পিস্তলও আছে = ছায়াপিস্তল

(৩)

দলবল পিস্তল ছাড়া কাউকেইত কিছুই দিলিনা
বিনস্ট বিজড়িত প্লাস্টিক সার্জারি থেকে সাবদার ও ত্রিদিবের হাত ধরে একুশে ফেব্রুয়ারি

দুরে চলে যায়ঃ ঘাড় থেকে যতদুর চিবুকের কলতলা

(৪)

ত্রিদিবেরও দল আছে = ছায়াদল
সাবদারেরও পিস্তলও আছে = ছায়াপিস্তল

একুশে ফেব্রুয়ারি ২০১০
ব্রিটানি

Wednesday 17 February 2010

ফেব্রুয়ারির টেনশান ২/৩/৪/৫/৬ঃ ছন্দের ছিরি, বিচ্ছিরি

(২)

'বিজি আছিরে ভাই', এরকমটা শুনলে আমার বিচ্ছিরি লাগে।বুঝে যাই, এ্দের সাথে শ্রি, শ্রিমাভো নিয়ে তর্ক নিস্ফল।' ওরা ক্যাম্পাস হতে সদরঘাটে গেল', এরকমটা পড়লেও বিচ্ছিরি লাগে।বুঝি যে 'থেকে' আর 'হতে'র' বিড়ম্বনাতে ভোগা এই লোকের সাথেও আসর ঠিক জমবেনা! কেরদানির পাহাড়ের চাপে কেরদানিকারক যখন নিজেই ধরাশায়ি তখন তাকে দেখি কেরদানির ক্যনভাসে এই বেলা ডিলিট করছে  ঠিকুজি, কুলুজি; ঐ বেলা ঘোষনা করছে ধর্শনকারিরাই আমাদের  দাদু আর বড়আব্বা!

অনেক ভাই'য়ের সংসারে লুকিয়ে, লুকিয়ে পেটিকোট, ব্রেসিয়ার শুকাতে, শুকাতে বেড়ে ওঠা লিংগ-লুকানো মেয়েটিকে দেখি এক কুহেলিকাময়-সান্ধ্য-সাংকেতিক ভাষাতে; ব্রাভো, ব্রাভো, চালারে কাদিরা'র সোরগোলে বিশাদ সিন্ধুর কসাইদের বাহবা দিচ্ছে   সংসপ্তকের কির্তনিয়া বলে!

ফেব্রুয়ারির টেনশান ১ঃ মহাভাঙ্গনের উপকথা

গান্ধি থেকে গের্নিকায়ঃ


গান্ধি ছবিটা'র সেই দৃশ্যটা আমার খুব মনে আছেঃ

ভারত'কে দু'ভাগ করে দুটো পাকিস্তানসহ দুটো স্বাধিন দেশ ঘোষনা করা হয়েছে।উদযাপনের পাশাপাশি রক্ত হিম করা হিন্দু মুসলিম রায়ট।মায়ের বুক থেকে কোলের শিশু ছিনিয়ে তাকে আছড়ে মারছে মায়ের'ই সামনে দু'পখ্যের খুনে'রা; বি,  জ়ে পি আর জামাতের কিশোরেরা পুজ-রক্তের নিশানে ঝালিয়ে নিচ্ছে 'বন্দেমাতরম', 'বাচলে গাজি মরলে শহিদ'  স্লোগানগুলো। দু' দেশেই পুলিশ তার নব্য রিক্রুটদের জিবন্ত টার্গেটে চাদমারির অনুশিলন করিয়ে নিচ্ছে।

Wednesday 10 February 2010

মোমতাজমেহেল :

বানান, ভ্রমন ও ভালবাসা সঙ্ক্রান্ত দির্ঘ কবিতা


চাদবিন্দু ছাড়াই চাদ কিন্তু বেশ অনোমেটাপাই

ঢাকা ও কোলকাতা'র ইংরেজি বানান বদলে
শহর দু'টোর শাষকেরা
গ্রিক নগরপতিদের সাথে সক্রেটিসের দ্বন্দ্বে
পক্ষ্য নিয়েছিল ঠিকই সক্রেটিসের কিন্তু পরক্ষনেই
বৈশাখের বিজু বিজু মেলাতে
আদিবাসিদের হাতে তুলে দিয়েছিল হেমলকের পেয়ালা

Friday 5 February 2010

আমার ওকাম্পোঃ রবীন্দ্রনাথ'কে নিবেদিত কবিতাগুচ্ছ


নিচের কবিতাগুলা ''ডৌল : জুলেখার জেরাপর্ব'' ২০১৫ সংগ্রহে গ্রন্থবদ্ধ!
(১)

হেই বুড়ামিয়া দিনরাত কি এত আঁকিবুঁকি

উমধা বেতালা আমরা তোর আঁকনের ঢঙ্গে
জলপাই গেরুয়া কাচ্চির পাক্কির খাকিয়াল রঙ্গে

কুন্দনের জংগে মোরা নিজেদের তরাই
তরঙ্গভঙ্গে গর্জে বোলপুরের খোয়াই

Sunday 10 January 2010

আজিম্পুরের স্বর্নদুয়ারেঃ আশির স্নাইপারেরা ২

বাড়িটা এখনো টিকে আছে।২০১০।

আমার জন্ম থেকে বড় হওয়া ষাটের, সত্তরের ঢাকার আজিম্পুরে এক ভাড়াবাড়িতে।১০৭/এ পিলখানা রোড!কবরস্থানের ঠিক উলটো পাশে; রক্তজবা আর রডোডেন্ড্রনের ঝাড় ঘেরা সাদা চুনকামের সেই বাংলো বাড়ির সামনের গোল বারান্দা ঘেরা রডোডেন্ড্রনের ঝাড় না থাকলেও আব্বার হাতে লাগানো অনেক গাছ এখনো ওখানে আছে!

পিলখানা থেকে শহিদ মিনার অব্দি যা যা ঘটন, অঘটন তার তরতাজা খবর বাসায় পৌছে যেত মুক্তি্যুধ্বের আগে ঢা,বি'তে পড়ুয়া চাচাত ভাইদের সুত্রে; মুক্তিযুধ্বের পর বোনদের সুত্রে।আর আশির দশকে নিজেই হয়ে উঠি চলমান বার্তাগুলোর ধারক, বাহক, দর্শক এবং একজন কিম্ভুত সুত্রধর।

Tuesday 5 January 2010

ইলিয়াসের পাইপ ও কড়া পাওয়ারের চশমা


দেশ ছাড়বার আগে, আশি’র দশকের শেষ ৫ বছর ঢা, বি-তে আমার ব্যক্তিগত নৈরাজ্যিক এবং বাংলাদেশের গড়পড়তা গুমোট অরাজগতার ভেতর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাথে এক মহাশ্চর্জ ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল।