Friday 21 May 2010

স্বার্থপরদের গ্রামে নয়া অতিথি

হাজার বছরের ঘুম ভাংগায়ে সুন্দর'কে জাগানো মাত্র সুন্দরের সাথে সংগম করলো রাজকুমার!তারপর কোন পোশাক পরতে না দিয়ে, পুরো নগ্ন অবস্থাতে সুন্দরকে নিজের রাজ্যে নিয়ে এলো ঐ রাজকুমার!রাজ্যের শাষক হচ্ছে তার মা, রানি!

রানিমা, সুন্দরকে পরিনত করলো দাসিতে!ওখানে আরো হাজারে, হাজারে নগ্ন দাস, দাসি ঘুরে বেড়াচ্ছে!এদের সবাই আশেপাশের রাজ্য থেকে পাঠানো উপঢৌকন!কেউ কেউ আবার সেসব রাজ্যের রাজকুমার, রাজকুমারি!
এই রাজ্যে বিভিন্ন  যৌনপিড়ন, নিপিড়ন, কামকেলির মধ্য দিয়ে তারা যখন পুরোপুরি দাসত্বে উপনিত হয়, তখন তাদের 'নিস্বার্থ ও জ্ঞ্বানপোড়া' সনদ দিয়ে নিজ রাজ্যে পাঠায় দেয়া হয়!এই পিড়ন, নিপিড়ন, বস্যতার প্রশিক্ষনের অংশ হিশেবে এই  খন্ডকালিন দাস, দাসিদের পাল বেধে সত্যিকার ঘোড়া, গরু, ভেড়ার সাথে চার হাত পায়ে চরানো হয়!বিভিন্ন সময় চাবকানো হয়!সব শেষে রাজকুমারের সাথে বিশেষ সঙ্ক্রান্তিতে সঙ্গম এবং সনদপ্রাপ্তি!রাজকুমার উভকামি!

অপহৃত সুন্দর নতুন রাজ্যে তার বিভিন্ন বশিকরন প্রক্রিয়ার ভেতর, আরেক দাসের প্রতি  অনুরক্ত হয়ে পড়ে!ঐ দাশের নাম বাজকুমার!সুন্দর এবং বাজকুমার সুযোগ পেলেই এখানে, সেখানে সঙ্গম সেরে নেয়!বাজকুমার সুন্দরকে জানায় বিভিন্ন কর্মকান্ডেও  বশে আনতে না পেরে  রানিমা তাকে রাজপ্রাসাদের হেসেলে পাঠায়; এই হেসেল হচ্ছে রাজপ্রাসাদের সবচেয়ে কুখ্যাত জায়গা!যাদের ওখানে পাঠানো হয় তাদের সবসময় শেকল পরে কাজ করতে হয়!রাতে ঘুমাতেও হয় শেকল পরে এবং দাড়ায়, দাড়ায়। সেখানে এক জবরদস্ত পাচক অবশেষে বাজকুমার'কে বশে আনতে সমর্থ হয়!বাজকুমার সুন্দরকে হুসিয়ার করে দেয় যে ঐ হেশেলে যাবার চেয়ে বরং আগেভাগেই বশ হয়ে যাওয়া ভালো!কারন, হেশেল থেকে বেরোতে পারা দাসের সংখ্যা দুর্লভ।

তবে বাজকুমার এও বলতে ভোলেনা যে হেশেলে তাদেরই পাঠানো হয়, যারা ভাংবে কিন্তু মচকাবে না!

সুন্দর এই হুশিয়ারির আগামাথা তেমন বোঝে নাই!বিভিন্ন কেজোকামকেলি'তে সে খুব আনাড়িপনা দেখাতে থাকে!বাজকুমার একদিন তাকে বলেঃ তুমি কোন কাজের না।অন্যান্য ব্যার্থ দাস দাসিদের সাথে সুন্দর'কে রাজ্যের সিমানায় এক গ্রামে  নির্বাসনে পাঠানো হয়!ঐ গ্রামের ঢোকার মুখেই এক বিশাল তোরনে লেখা,
'স্বার্থপরদের গ্রাম'!

সুন্দর হাপ ছেড়ে: বাচে যাক, অন্তত ঐ হেশেলে যেতে হয় নি!


চয়ন খায়রুল হাবিব
২১/০৫/২০১০
ব্রিটানি