Monday 8 March 2010

মুস্তাফা আনোয়ার সমগ্র বের হ'লো অথচ অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট!!

বাসেভিচ সিঙ্গারের, 'বোকা গিম্পল' গল্পে, গিম্পলের বৌ বছর ঘুরতে না ঘুরতে একের পর এক শিশু কোলে গিম্পলের গাল টিপে বলেঃ দেখো, দেখো আমাদের নতুন বাচ্চাটার গাল, চোখ সব একেবারে তোমার মতো!
নাম কিন্তু তোমার'ই দিতে হবে গো!গিম্পলত খুশিতে আটখানা!এক বাচ্চার নাম দেয় ভিমসেনা, আরেকটার নাম দেয় খানসেনা! আর অনাগতদের নামের জন্য মহাজাতকের কাছে, বাবা বেইমানের কাছে ধর্না দেয়!মুল এই যে গিম্পলের বৌ তার সাথে কখনোই শোয়াশুয়ি করে নাই!গিম্পল কি সেটা জানে না? জানে এবং বড়টা জানে এবং এখানেই মিথ্যামিথ্যি ইট, পাথ্যর, বাইল্যা চুমা!

গিম্পল নিজেকে সবসময় ভেবেছে যিশু।কার্জত সে জুডাস!ডিম্পল নিজেকে ভাবে কুমারি মেরি!কার্জত সে সালোমি!দুজনেরই দরকার সমাধি নির্মাতাদের সহায়তা।জুডাস মুআ'কে তুলে দেয় হেরডের হাতে।সালোমি অবস্য এর আগে রুপার থালাতে রাখা সন্ত চয়নের কাটা মাথাকে তার দিকে পিটপিটায় তাকায় থাকতে দেখেছে এবং গিম্পলের বুকে লালা, থুতু ঘসে বলেছেঃ গিম্পুরে, বড় ডর করে, কাটা মাথাতে আবার চোখ পিটপিটায় কেমনে? ডিম্পল ও গিম্পল দুজনের ভেতরেই নেক্রোফিলিয়াও কাজ করেছে।লাশকাটা ঘর দেখলেই এদের দাত নিশপিশ করে!

'তুত', 'ক্ষুর', এর লেখকের অন্যতমো অবদান 'কোন  ডাকঘর নেই' কবিতা-নাটকে রবিন্দ্র পাঠের  বিনির্মান।আয়ুবি আমলের পরাবাস্তবের মোল্লারা মুআ'সহ আর সব বিনির্মিত সড়কে নাশকতা করতেই জিবনানন্দ, নজরুলদের যা না তার চেয়ে বাড়ায় বলতে থাকে।একই কারনে মুআ'র আগে একই স্টাইলে সাবদার সিদ্দিকী'র মরা লাশকেও খাসি করানোতে এরা উদ্গ্রিব হয়ে পড়ে! আশির গল্পকারদের নিহিত এবং নিহত সুত্র লুকানো ঐ মুআ'র  রেখে যাওয়া বিনির্মানেই।মানুষ চুপ করে থাকে দুই কারনেঃ বোবায় ধরলে বা লজ্জায় অধোবদন হলে!কিম্বা ভয় পেলে!আর স্ববিশেষে উদ্দেস্য হাসিলের কারনে!

রটেছে যে নবাগত ডিম্পলের সাথে বালপাকা গিম্পলের চুলোচুলি, গুটি চালাচালির কারনে মুস্তাফা সমগ্রের সম্পাদনার ভার গিয়ে পড়ে মুআ'র না পছন্দের এক নাপিতের কাছে!

কবি মুস্তফা আনোয়ার স্বাধিন বাংলা বেতারের একজন সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মকর্তা হয়েও সরকারি চাকুরের অজুহাতে জান্তা আয়োজিত কোন সাহিত্যসভাতে যোগ দেন নাই।অবস্য সাহিত্যের কোন রাজনিতিতেই যোগ দেন নাই।পরবর্তি দশকগুলোতে তার প্রভাব দেখেই দক্ষিনপন্থিরা তদের তরুপের তাস'কে মুস্তফা বধে নিয়োগ করে।

যে 'চুলোচুলির' রটনা চালানো হচ্ছে এবং যার আড়ালে এই রাহাজানিটি ঘটেছে, তাতে প্রশ্ন জাগে যে এই 'চুলোচুলি' রটনাটি কি staged managed show বা smokescreen কি না? যা ঘটেছে মুআ সমগ্র সম্পাদনা কেন্দ্র করে এবং যে শিবির থেকে তা সম্পাদিত হয়েছে, তা আদভানির হাতে কায়ফি আজমি সম্পাদনার মতো।stage managed show যেমন প্রচুর মহড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে, সেরকম ভাবেই এই নিন্দনিয় কাজের চারপাশে নিরবতার দেয়াল তোলা হয়েছে।তবে তা যে তাসের দেয়াল সেটা বলাই বাহুল্য।অভিজোগ উঠেছে stage managed showতে মুআ'র পরিবারের সদস্যরাও ভুমিকা পালন করেছে!

এই লেখার নিচে সন, তারিখ ব্যাবহার করা হ'লোনা।কারন, মুস্তফা আনোয়ার কালিক বাস্তবতাবিহিন!কারন,  স্বর্গপ্রবাসি মুআ'র সাথে আমি নিত্যই ইনোক্টিন চাবাচ্ছি!ইনোক্টিনে, মাথা খোলে ভালো!মন্দ নাপিতের সমগ্রটা হাতে আসলেই মলাট'টা ঢাকা দিতে হবে,  আর ইস্তাম্বুলি রুমালে নাক চেপে প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পার হয়ে মুআ  সন্নিধানে পৌছাতে হবে!


চয়ন খায়রুল হাবিব