Thursday 24 September 2020

রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রভাষা এবং ধর্মসাপেক্ষতা,

আহমদ শরীফের সাথে মনোগত সংলাপ ১

কিম্বা 'তিন পাগলের মেলা'!

নিচে যেভাবে রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রভাষা এবং ধর্মসাপেক্ষতা, শিরোনামে প্রয়াত উপন্যসিক কামরুজ্জামান  জাহাঙ্গীর ও আমার টানা কথপোকথনটি এখানে ছেপেছি, প্রামান্যভাবে তা ধারণ ও প্রথম প্রকাশনার  কৃতিত্ব অনুজ গল্পকার তারিক  আল বান্নার।কয়েক বছর আগে নিউজ বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় বান্না সংবাদ মাধ্যমটির সাহি্ত্য জাইনে বিচিত্র মাত্রা যোগ করতে সমর্থ হয়েছিল।সে সময় আমার পুরোনো,  নতুন, সাম্প্রতিক অনেক ছোটো বড় লেখা, আলাপচারিতা নিউজবাংলাদেশে আসে, যার ভেতর একটা  নিচের সম্পাদিত অংশটি।

আমার সাথে পরামর্শ সেরে সম্পাদনা করে বান্না,  তিন পাগলের মেলা শব্দবন্ধটি ওর।নিউজবাংলাদেশ পরে  একটা লেজেগোবরে প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়, বান্না ওখান থেকে চলে যায়।ওখানকার অনেক লেখা লোপাট হতে থাকে।পুরোপুরি উবে যাাবার আগে বান্না যেভাবে সম্পাদনা করেছিলো, মানে সাজিয়েছিল তা কপি করে রাখি, যা নিচে হুবহু তুলে দিলাম।প্রাসঙ্গিক ভাবে জানিয়ে রাখি, এ কথপোকথনে এবং অন্যত্র লোক সংস্ৃতি এবং মনের মানুষ ও স্লাম ডগ মিলিওনিয়ার্স সিনেমা বিষয়ে প্রয়াত নৃতাত্ত্বিক ডক্টর মাহবুব পিয়ালের সাথে পাল্টাপাল্টি আলোচনা, সমালোচনার সূত্রে লেখা, ডোরার কান্না, ক্ষেপি সংস্কৃতি ও কিম্ভুত রিপ্রেসেন্টেশানবাজেরা এক অর্থে প্রয়াত দার্শনিক প্রাবন্ধিক আহমদ শরীফের সাথে আমার মনোগত সংলাপের সম্প্রসারণ।এ-আলোচনাগুলোতে আহমদ শরীফ থেকে নিয়েছি অবলীলায়, তাকে প্রশ্ন করেছি, তাকে খণ্ডন করেছি, তার ঈক্ষণ ধারণ ও লালন করে স্বোপার্জিত ভঙ্গিতে পৌঁছে দিতে চেয়েছি প্রজন্মান্তরে।সে একই প্রয়াসের পৌনঃপুনিকতা থেকে বর্তমান আয়োজন।
চখাহা।২৩/০৯/২০।

নিউজ বাংলাদেশে(২৪সেপ্টেম্বার, ২০১৬) তারিক আল বান্না যেভাবে ছাপিয়েছিল  :

চয়ন খায়রুল হাবিব ও কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীরের সংলাপ

২০১১ সালের ১৮ই মার্চ লেখা ছোট্ট একটি নোট চয়ন খায়রুল হাবিব, ২০শে মার্চ ফেসবুকে প্রকাশ করলে, তা ঘিরে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর চয়নের সাথে মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্যের ধাঁচে টানা আলোচনা চালিয়ে যান ছয় দিন ধরে ২৭শে মার্চ অব্দি! বর্তমান সময়ের এক গভীর আশাবাদী কবি এখানে মুখোমুখি হয়েছেন একই সময়ের এক বাস্তববাদী কথাশিল্পীর, আর এ'দুয়ের রসায়নে তৈরী হয়েছে এক উপভোগ্য শৈল্পিক সংলাপ। দুই প্রতিভাবান ভাবুকের সম্মিলনে এখন পাঠক যোগ দিলেই জমে উঠবে 'তিন পাগলের মেলা'।

মূল নোট ছিলো ভাষাবৈচিত্র ও আদিবাসী সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের সুরে বাঁধা। যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ঘটেছিল ৫২'র ভাষা আন্দোলন এবং যেসব ঐতিহাসিক ঘটনা পরম্পরায় পূর্ব বাংলার অধিবাসীদের উপর নেমে এসেছিলো ২৫শে মার্চের কালো রাত্রি -- তার অনেকটুকুকে দশ দিক থেকে টর্চ মেরে অন্তরঙ্গভাবে আলাপ করেছিলেন কামরুজ্জামান ও চয়ন। যদিও সে আলাপচারিতায় সহযাত্রী ছিলেন অনেকে, আমরা এখানে রেখেছি শুধু মাতিয়ার রাফায়েল ও সুশান্ত করের প্রতিক্রিয়াজাত মন্তব্যগুলো, কারণ সেগুলো চয়ন ও কামরুজ্জামানের আলোচনাকে উস্কে দিয়ে আরো খুলতে, আরো কেন্দ্রনিবিড় হতে সহায়তা করেছিলো। মুল নোটের শিরোনাম ছিলো, 'রাষ্ট্রধর্ম বাংলা চাই: রাষ্ট্রধর্ম বাংলা চাই না বৈদিক বা মোসলেম পবনের নৌকায়'। বিস্তারিত মন্তব্যগুলোকে এক সুতোয় বেঁধে আমরা চয়নের প্রস্তাব অনুসারে সংলাপটির নাম দিয়েছি, 'রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রভাষা এবং ধর্মসাপেক্ষতা!' মুল নোট এবং মন্তব্য অংশে, লেখক ও মন্তব্যকারীগণের নিজস্ব ভাষারীতি এখানে বজায় রাখা হয়েছে। --বি.স. 

 

-- মূল নোট --

রাষ্ট্রধর্ম বাংলা চাই : রাষ্ট্রধর্ম বাংলা চাই না বৈদিক বা মোসলেম পবনের নৌকায় 

 
আজিমপুরের ভাষা শহিদ'দের কবর থেকে চল অনুযায়ি একুশে ফেব্রুয়ারিতে যে প্রভাতফেরির যাত্রা শুরু হয় শহিদ মিনার অব্দি, জানামতে এ-বছরের (২০১১) একুশে ফেব্রুয়ারিতে তা না হয়ে পুরা উদযাপন কেন্দ্রিভুত থাকে শহিদ মিনার ঘিরে! সরকার বা বিরোধি দল নেতৃত্ব পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আদৌ আজিমপুর গোরস্থানে এসেছিল কি না তাও স্পষ্ট না! খোজ নিয়ে জেনেছি যে আসেনি!

রাষ্ট্রধর্মটা কি জিনিস? রাষ্ট্রভাষাটাই বা কি জিনিস?ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রেও একক ভাষার যায়গাতে অন্যান্য বহু ভাষার স্বিকৃতি থাকতে পারে!তফসিলি আকারে নয়, প্রধান প্রায়োগিক ভাষা হিশাবেই।বাংলার সাথে অহমিয়া ভাষার তেমন দুরত্ব নাই।কিন্তু বাংলাভাষি অভিবাসিদের সাথে অহমিয়াদের দা-কুমড়া সম্পর্ক তৈরি হয়েছে!কারন এই অভিবাসিদের অনেকেই হাজার বছরের বিদেশি বৈদিক সংস্কারের প্রতি যতটা অনুগত ঠিক ততটাই অবজ্ঞা দেখায়েছে বাংলা ভাষার মুল সুত্রে বৈদিকদেরও আগের যে দেশি-কোল, মুন্ডা, ওরাও, সাওতাল, গারো, কুকি, চাকমা, রাজবংশি, ভোটচিনা পাগান ভাষাগুলা তাদের প্রতি!

রব(ঈ)ন্দ্রনাথ আক্ষেপ করতেন যে বাজারে যা যা বাংলা অভিধান, সেগুলা আসলে সংস্কৃত অভিধান! দেশি সাংখ্য, যোগ চর্চাকারি সিদ্ধাদের লেখা চর্যাগুলা য্যামন হরপ্রসাদ'দের হাতে সংস্কৃতায়ন হয় তেমনি অনেক পরে দেশি পুথির ভাষার ঘটে ইসলামি করন:

"দিলসে বৈঠে রাম-রহিম দিলসে মালিক-সাই
দিলসে বৃন্দাবন মোকাম মঞ্জিল স্থান ভেস্ত পাই"

রব(ঈ)ন্দ্রনাথ আক্ষেপ করেছেন এবং কোন শব্দের ঈকার নিজে বাদ দিয়েছেন! কিন্তু সুনিতিকুমারেরা আবার ঈকার বসায়ে দিলে তা মেনে নিয়েছেন! একই ব্যপার আহমেদ শর(ঈ)ফেও! বিদেশি শব্দ মাত্রেই বাংগালির কাছে বিশিষ্ট এবং সে-বিশিষ্টতার সিলগালা হচ্ছে ঈকার, ঊকার, চন্দ্রবিন্দু! বিদেশি শব্দকে বিশিষ্ট করতে গিয়ে বাংগালি নিজের কাছে হয়ে গেছে মামুলি! আর পরিচয় বলতে বুঝেছে জমক এবং চমক!

বাংলার মৃগয়ানির্ভর ও মাতৃপ্রধান সমাজে বৈদিকদের বহু আগে দেবি বলে গন্য হয়েছিল তারা, শাকম্ভরি (দুর্গা), বাসুলি, মনসা যাদের সুত্র ধরেই আসে বনবিবি, ওলাবিবিরা! এই আদিধর্মের প্রান ভোমরা আমাদের চারপাশে ছড়ায়ে ছিটায়ে থাকলেও বৌদ্ধ, ব্রাক্ষন্য ও ইসলামি প্রভাবে অবিলুপ্ত! মানে, আছে কিন্তু আছে ছোটলোকের আচার হিশাবে! বাংগালির লাঙ্গলের ফাল আগ্রাসি বৈদিকেরা গ্রহন করলে তার প্রতিকায়ন ঘটে রামের স(ঈ)তাকে গ্রহন হিশাবে!

''হাজার বছর সংস্কৃতায়নের পর এই সেদিন অর্থাৎ ১৯৩০ অব্দিও (বাঙলাদেশের) কোন মাদ্রাসায় বাঙলা হরফ চালু ছিলনা! মাদ্রাসা শিক্ষিতদের জন্য চিটাগাঙে আরবি হরফে বাঙলা বইয়ের প্রতিলিপি তৈরি করা হত।''

উপরের উধৃতি ধার করা আহমেদ শ(রী)ফ থেকে! উনি বাংলাকে তার মত করে 'বাঙলা' লিখতেন! অথচ আহমদ শ(রী)ফ'ই প্রামান্যভাবে দেখায়েছেন বাংলা ভাষাভাষি কিরাত, নিষাদেরা ১৯৭১-এর আগে অব্দি হাজার, হাজার বছর কিভাবে নিগৃহিত হয়েছে! আর যখন যট্টুকুও বা গৃহিত হয়েছে তার প্রতিদানে তাকে কতটুকু শ্রমদাশে পরিনত করা হয়েছে! উল্লেখ্য যে উপরের উধৃতিতে আহমদ শরীফ 'আরবি'তে আরো অনেকের মত ঈকার বসায়ে দেন নাই। এর প্রত্যুত্তরে আমরা ১৯৩০ দশকের ইংরেজ যাজকিয় তত্বাবধানে তৈরি কোলকাতার বাংলা অভিধান অক্ষরে অক্ষরে অনুসরন করবো কি না সে প্রশ্ন তোলার সময় অনেক আগেই এসেছে!

আহমদ শ(রী)ফের মত করে 'বাঙলা' লিখতে গেলে ইউনিকোডে অনেক কসরতের প্রয়োজন! মুস্তাফা জব্বারেরা ইউনিকোড ঠেকাতে হাইকোর্ট যাবেন, কিন্তু হাইকোর্ট কবে যে বাংগালি-বাউলের কাছে আসবে:

'সুন্নত দিলে হয় মুসলমান
নারি(ঈ!) লোকের কি হয় বিধান
বামন(ণ!) চিনি পৈতার প্রমান
বামনি(ণী) চিনি কি ধরে'

প্রভাতফেরিটা আসলে মনের ব্যাপার! রাষ্ট্র তার আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে কি করে না করে তারা সাথে ভাষার ডাইনামিজম সঙ্গতি রক্ষা করলে বাংলাসহ আরো অনেক ভাষাই হারায়ে যেত! এখন দরকার বৈদিকতা, বৌদ্ধিকতা এবং ইসলামিকরনের ভিতরে গুমখুন হওয়া আদিধর্ম, আদিবাসিদের ভাষাগুলার আরো নিবিড় প্রায়োগিক সুরতহাল: নানা বানান গাভি(ঈ)রে ভাই একই বরন(ণ) দুধ!
 
চয়ন খায়রুল হাবিব
১৮/০৩/১১
ব্রিটানি
 

-- মন্তব্যসমূহ --

মাতিয়ার রাফায়েল: হায়রে চয়ন, যখন আপনি এই ট্যাগ পাঠালেন তখনসহ আরও দুদিন আগ থেকেই একটি লেখা লিখে আসছিলাম, বাংলায় 'তেভাগা' আন্দোলন নিয়ে। প্রসংগক্রমে এখানে ভাষা আন্দোলনের বিষয়টিও নিয়ে এসেছি। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তিন/চার বছর আগেও ছোট একটি লেখা লিখেছিলাম। হয়তো আপনাকে বলেওছি। যাইহোক, এই আন্দোলন নিয়ে আমার সম্পূর্ণ দ্বি-মত আছে। এই আন্দোলনের পশ্চাতে যে একটা কায়েমি স্বার্থবাদ ক্রিয়াশীল ছিল সেটা তৎকালীন বামপন্থীরাও বুঝতে পারে নাই। এখনও বুঝিয়া উঠতে পারে নাই। এই যেমন আপনিও। ইসলামী ভাষা বলিয়া কি কোনো ভাষা আদৌ আছে? বা খিরিস্তানি? তবে ঐসমস্ত জনগোষ্ঠীর মুখে ব্যবহৃত কিছু শব্দাবলী তো তাতে ঢুকে পড়বে এ আর আস্বাভাবিক কি? আর ভাষা আন্দোলনটি নিয়া যা বললেন, তার আগে তো যেতে হবে সেইখানটায় যে এই আন্দোলনটির প্রয়োজনীয়তা সহসা এমন কি কারণ ঘটেছিল যে তা ততোধিক সহসা অনিবার্য হয়ে উঠেছিল! বা এটার আদৌ কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কি না। কিংবা ঐ প্রশ্নটি আসলে কাদের কায়েমি স্বার্থে উঠেছিল। আদৌ কি গণমানুষের স্বার্থে কি? জিন্তু সেই সময়ের আরেকটি বড় আন্দোলন, তেভাগা'র কেন কায়েম হলো না? কেনই বা ছড়িয়ে দেয়া গেল না সে আন্দোলনটি সারা পূর্ব পাকিস্তানে? অচীরাৎই বিফলে গেল! এইখানে ইতিহাসের দলিপত্রের জন্য কিছু রোমন্থন ছাড়া যে কিছুই রইল না আর!?! মার্চ ২১, বিকাল ৪:২৩
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: মাতিয়ার, আপনার 'সম্পূর্ণ দ্বি-মত' টা আমার বুঝমতে ভাষা আন্দোলন নিয়ে! আমার লেখার ফোকাস হচ্ছে বাংলা ভাষার বৈদিক বা আর্যকরন, পরে ইসলামিকরনের চেষ্টা এবং অন্তর্নিহিত শক্তিবলে বাংলা ভাষার সেই বলয়গুলা থেকে বের হয়ে আসা...যা একটা ডায়নামিক প্রক্রিয়া। 'ভাষা আন্দোলনের' সময়ক্রমকে আপনি 'তেভাগা আন্দোলনের' সময়ক্রমে ফেলছেন। আমি এ-ব্যাপারে নিশ্চিত না। তবে 'তেভাগাকে' আর্থিক সংগ্রাম আর '১৯৫২' কে আত্মিক সংগ্রাম হিশাবে দেখলে এ-ধরনের অনেকগুলা স্রোতের মিলনেই কি ৭১এর স্বাধিকার সংগ্রাম চলে আসে না? সংগ্রামত উপসংহারমুলক নয়! সেটা অর্থডক্সি।সংগ্রাম বরং ডায়নামিক! আমার লেখাটার আরেকটা ফোকাস হচ্ছে আদিবাসিদের ভাষা সংগ্রাম এবং বাংলার 'কায়েমি' গোষ্ঠি যে মহাভারতের আমল থেকেই যে পরাজিত আদিবাসিদের প্রতিক'কে আত্মসাত করছে তার ইঙ্গিত দেয়া।তবে আপনি 'গনমানুষ', 'ততকালিন বাম্পন্থি' বলতে কাদের বুঝাতে চাচ্ছেন, সেটা পরিস্কার হওয়া দরকার। 'ততকালিন' সময়'টা কোন কালিক? মার্চ ২১, বিকাল ৪:৫৪
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: মাতিয়ার, 'ইসলামী ভাষা বলিয়া কি কোনো ভাষা আদৌ আছে?' আমি মনে করি আরবি ইসলামি ভাষা।চিটাগাঙ্গে আরবি হরফে বাংলা প্রকাশনা আমি উল্লেখ করেছি।'কিছু শব্দাবলি ঢূকে পড়া' নিয়ে আমার আপত্তি নাই!এমনকি আরবি, ফারসি বহু শব্দাবলি ঢুকা নিয়েও আপত্তি নাই!নিতে পারার ক্ষমতাতেই ভাষার বৃধ্বি।কিন্তু আর্যকরন, আরবিকরন, ফারসিকরন, আনন্দবাজারি বলিউডিকরনে আমার আপত্তি আছে। ভুমিজ (native) জনগোষ্ঠি গ্রহন করা এক জিনিস, আর তাদের উপর আরোপ করা আরেক জিনিস।ক্রস ব্রিডিং আর ফোর্স ব্রিডিংযের পার্থক্যকেইত আমরা ধর্শন বলি! আমি লেখাতে বাংলা ভাষাকে কোথায়, কোথায় ধর্শন করা হয়েছে, তা বলতে চেয়েছি এবং আমরা এখনো যে সেইসব ধর্শন-চিন্নকেই রাজতিলক হিশাবে ধারন করে আছি তাই বলতে চেয়েছি! মাতিয়ার, আপনার মন্তব্যের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং অংশ হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের সময়ক্রম এবং তেভাগা'র ব্যর্থতার দিকে আঙ্গুল হেলানো! 'দ্বি-মত' থেকে 'এক-মত' এ হয়ত সহসা আসা যাবে না।তবে এখানে আপনি আরেকটু খুলে বললে, আমার লেখাটা নিসন্দেহে আরো পার্স্পেক্টিভ পাবে। অশেষ ধন্যবাদ। মার্চ ২১, বিকাল ৫:১০ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: @চয়ন খায়রুল হাবিব, আপনার লেখাটা পড়লাম -- বানানের বিষয়গুলো কিছু ঝামেলা মনে হয়েছে। যাই হোক, আপনি যে ভাষার রূপান্তরের কথা বলেছেন, বৈদিকতা-বৌদ্ধিকতা-ইসলামিকরণের বাইরে ভাষার আদিরূপ আনাটা জরুরি বলেছেন -- তা ভালো লেগেছে। তবে রাষ্ট্রের ফাইজলামি কিন্তু আমাদের সহ্য করতেই হবে। এর মূল কারণ হচ্ছে ভাষার প্রবলতাকে আমরা, উচ্চপদের বাঙালিরা ভিন্নখাতে ব্যবহার করেছে। ভাষা-আন্দোলনকে একেবারে সঙ্কীর্ণ জায়গায় নিয়ে গেছে। অথচ ভাষা-লড়াইয়ের মূল বিষয়টা ছিল মুখের ভাষাকে রাষ্ট্রের বাহাদুরি থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম। অথচ দেখেন, জাতীয়তাবাদী আন্দোলননির্ভর অবস্থা ভাষাকে নিয়ে কী ধরনের পলিটিক্স হচ্ছে! আমরা আদিভাষা দূরে থাক, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকেই দলিত করছি। আমরা মানে, কথিত বাঙালিয়ানা আশ্রিত রাষ্ট্র করছে।
এখন কথা হচ্ছে, জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের বিষয়গুলোকে মানলে সেই রাষ্ট্রের ইতরামি তো সহ্য করাই লাগবে। রাষ্ট্র তার জাতির ধরন (ভাষা কিংবা ধর্মরূপ) অনুসারে ভাষার মাতব্বরি করছে এবঙ আমাদের কিন্তু তা মেনে চলতেই হবে। আপনার লেখায় রাষ্ট'র চরিত্কথন বিষয়ে তেমন কথা পেলাম কি?
 
এই যে সরকার বা সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা আজিমপুরের একুশের কবরকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না; তার কারণও মিডিয়ার দাপট, রাষ্ট্রের একমুখী নীতির প্রকাশ।
 
এখন কথা হচ্ছে রাষ্ট্র মানলে তার ভিতরকার ভাষার রাজনীতিও মানতে হবে। রাষ্ট্রব্যবস্থাপনা চাইবে তাদের মতো করে ভাষার ধরন, মানুষকে একভাবে পেষণের পথকে খোলা রাখার পন্থাকে জোরদার করতে।
 
ভাষাকে কলকাতার আদল থেকে, রাবীন্দ্রিক আবহ থেকে মুক্ত করতে চাইলে ভৌগোলিক অবস্থান অর্থাৎ বহুস্বরকে, নৃগোষ্ঠীকে, জল-হাওয়ার পূর্ববঙ্গীয় আবহকে হিসাবের মধ্যে আনতে হবে। কারণ আমাদের রাজনীতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গের মতো নয়। এর সংগ্রাম আলাদা, ভাষার মোচড় আলাদা। সার্বিকভাবে ভাষাকে মুক্ত করতে চাইলে রাষ্ট্রের ব্যাপারে ভাবনার মূলে পরিবর্তন দরকার বলে মনে করি। বামদের দিয়ে তা হবে না। কারণ তারা ভাবনার দিক থেকে একটা কম্পেক্ট অবস্থায় আছে। প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদই পারে সাংস্কৃতিক শৃংখলকে মুক্ত করতে। মার্চ ২১, বিকাল ৬:৩৯
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: কামরুজ্জামান, আমি হতভম্ব হয়ে আপনার প্রতক্রিয়া পড়লাম। আমি বহুদিন এত শক্তিশালি পার্স্পেক্টিভ পড়ি নাই। তুলনামুলকভাবে আপনার পার্স্পেকটিভের পাশে কেবল আহমদ শরীফের ভাষাচিন্তাই আসতে পারে। তবে 'প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদ' সম্পর্কে আমি আপনার কাছে জানতে চাইব! কিসের প্রতিতুলনায় 'প্রগতিশীল'?

'প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদ'কে দেশি জমিনে মেশাবেন কি করে? মানে এটা যে আরেক'টা অভিভাবকসুলভ গবেষনা না তা কিভাবে বোঝা যাবে? না কি এর বিজ ইতোমধ্যেই ছড়ানো আছে বাংলাভাষার মন্ত্রগুপ্তিতে? নাথপন্থা? যোগ? সাঙ্খ্য? না কি আপনার জানাতে আরো কিছু আকর আছে? 
মার্চ ২১, বিকাল ৬:৪৮ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: কামরুজ্জামান, রবিন্দ্রনাথ নিজে কিন্তু তার ভাড়ারঘর হিশাবে নিয়েছেন পুর্ববঙ্গকে? ব্যাকরন প্রসঙ্গে বাংলা ভাষার আর্যকরন নিয়ে তর্জনি সঙ্কেত প্রথমে করেছিলেন রবিন্দ্রনাথই! 'রক্তকরবী', 'বিসর্জন', 'তাসের দেশ' 'চিত্রাংগদা' কি প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদের ভিতর পড়ে না? রবীন্দ্রনাথ কিন্তু বাংলাদেশে থেকেই 'পৌষমেলা' বোলপুরে আমদানি করেছিলেন! কোলকাতার করনিক-আবহ, ঐতিহ্য থেকেত রবিন্দ্রনাথকে আমার আলদাই মনে হয়।আমরা কি তাহলে 'ধ্রুপদ নৈরাজ্যবাদ'কে 'প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদের' পুর্বশর্ত বলতে পারি না? উল্লম্ফন? না কি পরম্পরা? কাঠগড়ায় কে যাবে? ভাষা? না কি ভাষার ব্যাবহারকারি? না কি পরাজিত-ভাষার-ব্যবহারকারি? তিন ক্ষেত্রেই কি ভাব প্রকাশের আগেই সেন্সর আরোপ হচ্ছে না? আপনার যোশ অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দেবার উস্কানি দিল! আন্তরিক ধন্যবাদ। মার্চ ২১, সন্ধ্যা ৭:০৯ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদ ব্যক্তির যৌক্তিক বিকাশ চায়, ক্ষমতার একনায়কসুলভ আচরণ (তা সর্বহারার একনায়কতন্ত্রও হোক না কেন) থেকে মানুষকে মুক্তি দিবে, সমস্ত পেষণমূলক আচরণ থেকে মানুষ সাংস্কৃতিকভাবে মুক্তি পাবে। মানুষের স্বাধীন বিকাশ দরকার, মানবিক গণতন্ত্রায়ন দরকার। দরকার জোরজবরধস্তিমূলক সামাজিক শক্তি থেকে মুক্তি। সামাজিক বিন্যাসই মানুষকে তার মৌলিকত্বকে নির্মাণ করবে। সমস্ত একনায়কতন্ত্রের স্থলে মানবিক গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটবে। তাতে দেশজ উপাদান যোগ হবে।
 
দেশি জমিন বলে কিছু নেই। জমিন হচ্ছে জমিন, এতে সামগ্রিকভাবে বিচরণের ক্ষমতায় প্রকৃত নৈরাজ্যবাদকে সঠিক পথ দেখায়।
 
অভিভাবকত্ব ভাঙার জন্য পাল্টা ডিসকোর্স হাজির-নাজির রাখতে হবে। বাস্তব অবস্থায় আপনাকে পথ দেখাবে। পথের জন্য পথের দিকে তাকান, মতবাদের দিকে নয়। মতবাদ তৈরির জন্য পার্সোনাল ঈশ্বরত্ব কায়েম রাখুন।
 
মন্ত্রগুপ্তি, নাথ, সাখ্য, বৈরাগ্য (চৈতন্য কিংবা কৃষ্ণীয় -- যাই হোক) এইসব নিজেকে প্রাকৃতিকভাবে রাখার এক-একটা পন্থা মাত্র।

রবিঠাকুরের নাটক আলোচনা তো আরেক বিষয় হয়ে গেল। এসব ধরে ধরে অন্যত্র কথা বলতে হবে। তবে এর সাথে প্রগতিশীল নৈরাজ্যবাদের কোনোই সম্পর্ক নেই। পৌষমেলা দেশীয় কালচারকে নমনীয়ভাবে প্রকাশ করার একটা প্রক্রিয়া মাত্র।

কাঠগড়ায় ভাষা ব্যবহারকারীই যাবে, কারণ সৃজনকৃত বিষয় ভাষাতে প্রকাশ পাবে শুধু। 
মার্চ ২১, সন্ধ্যা ৭:১২
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: টার্মের পর উদ্দিপক টার্ম! কামরুজ্জামান, 'পার্সোনাল ঈশ্বরত্ব'টা ব্যখ্যা করুন! এটা কি 'পলিটিকাল-পার্সোনালের' পরিপুরক? আমিত ব্যাক্তিক-আধ্যাত্মকে ভিতরের ব্যাপার হিশাবে দেখি না! বরং রাজনৈতিক-আবরন হিশাবে দেখি! তাই নৈতিক হয়ে যায় যখন তা আসে বিজেতার কাছ থেকে! ভাষা যদি জিবিত ডায়নামিজম হয়, ইশ্বরত্ব তা ব্যাক্তিক বা সমস্টিক যাই হোক পিছুটান বৈ ত নয়! মার্চ ২১, সন্ধ্যা ৭:২১ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: @চয়ন খায়রুল হাবিব, পার্সোনাল ঈশ্বরত্ব অনেকটা লৌকিক ধর্মাশ্রয়ী ধারণা থেকে নেয়া। এতে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের প্রতি কোনোই পক্ষপাত রাখা হয়নি, কারণ তাতে আমার আস্থাও নাই। এটা অনেকটা আপনার নাজেলকৃত দেহচ্ছন্দ ধরনের শব্দ, আমি একে দেহমাজার বলতেই পছন্দ করি। এতে মানুষের ইন্টারনাল বিউটির বিকাশ জলজ্যান্ত হয় বলে আমার ধারণা। তবে এর ভিতর দিয়ে হিটলারিজম ডেভলপ করে কিনা তাও নির্ণয় করার বিষয়। যার জন্য মানবিক চৈতন্য নিরন্তর বিকশিত রাখার একটা বিষয় থাকা অতি জরুরি এক বিষয়। মার্চ ২১, সন্ধ্যা ৭:৪৬ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর... নিশাচর আগ্রহের ভাগ দেবার জন্য ধন্যবাদ।এখনত ওখানে মাঝ রাত পেরোনো শুক্লপক্ষের দ্বিতিয়া! আপনাকে প্রথমেই আনত ধন্যবাদ জানায়েছিলাম আহমদ শরীফের সাথে প্রতিতুলনায়! অনেকে ভাবতে পারেন যে আমি অধ্যাপক শরীফ'কে খন্ডন করছি! বরং উল্টাটাঃ ১৯৭১ পরবর্তি পর্জায়ে আহমদ শরীফ'কেই যথার্থ দিক নির্দেশক মনে করি।আহমদ শরীফ বার বার স্মরন করায়ে দিয়েছেন যে শত আধ্যাত্মিক-আগ্রাসনের মুখেও বাঙ্গালি কি করে তার চোরাগোপ্তা লৌকিকতা বজায় রেখেছে। লৌকিক প্রিমিটিজমের পথ ধরে ফ্যাসিবাদের আশঙ্কাও অমুলক না। এ-ক্ষেত্রে শরীফ নির্দল এবং নাস্তিক! এই জন্যই কি যে উনি জানতেন ভাষার মানবিক পভিপ্রায় যে-কোন ক্ষমতাবানের অজুহাতে দানবিয়-হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। ভাল থাকবেন। আবারো ধন্যবাদ। 
মার্চ ২১, রাত ৮:৩৮
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, 'আপনার লেখাটা পড়লাম -- বানানের বিষয়গুলো কিছু ঝামেলা মনে হয়েছে।' আপনার শুরুর এই লাইনের মন্তব্যে বলতেই হয় যে বাংলা বানানে প্রচুর ইচ্ছাকৃত ঝামেলা পাকায়ে রাখা হয়েছে যাতে একটা শ্রেনি পোদ্দারি করতে পারে! মানে সবচেয়ে বাজে মাথার শিক্ষার্থিদের তোতাপাখির মত কথিত 'বাংলা সাহিত্য' পড়ায়ে তাদের দিয়েই আমলাতন্ত্র চালানো বা আজে-বাজে কবিতা, গল্প লিখে, 'ঠিক বানানে লিখেছি' এই দম্ভোক্তি করা! আমি নিচে এই ঝামেলা বাজির একটা দৃষ্টান্ত দিচ্ছি...চলবে... মার্চ ২১, রাত ৮:৪৯
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: আহমদ শ(রী)ফ, 'বাঙলা, বাঙালী ও বাঙালীত্ব' পৃঃ নং ৫৪: 'কিংতো তিত্থ-তপোবন জাই/মোকখ কি লবভই পানী হ্নাই।' একই বইয়ে শ(রী)ফ কৃত অনুবাদ, হুবহু বানানেঃ 'তীর্থ-তপোবনই বা তোকে কি দেবে? পানিতে স্নান করলেই কি মুক্তি মেলে?' 'কিংতো' স্বাভাবিকভাবেই পরে বিবর্তি...ত হয়েছে, 'কি করতে বা কিসের জন্য'; কিন্তু পানিকে সংস্কৃত পন্ডিতেরা বানান করেছিল, 'পানী', কারন জল বলা পন্ডিতের কাছে পানি বিদেশি শব্দ কিন্তু শরীফের কাছে নয়!আবার মুল লেখাতে রয়েছে, 'তিত্থ' পরে তা হয়েছে 'তীর্থ'! যাই কই? ঝামেলা বটে! তবে সে-বটের শিকড় আর বাড়তে না দেয়াই ভালো! একটা যথার্থ নিরুপন শ(রী)ফ করেছিলেন, আর তা হচ্ছে যে তার নামটা গাঙ্গুলী, চ্যাটার্জীদের মতই বিদেশি! নিজে সর্বার্থে খাটি বাংগাল হয়েও কেন তিনি নিজ নামের দেশিও করন করেন নাই, তাও প্রশ্ন! নামে কি এসে যায়...শুনহ মানুষ ভাই, সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই! মার্চ ২১, রাত ৯:২৮
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: চয়ন খায়রুল হাবিব, হাহাহা, ভালোই ধরেছেন, তিনি, আহমদ শরীফ, কেন খাঁটি বাঙাল হয়েও নামের ক্ষেত্রে তা নেননি! আচ্ছা, তিনি কি তার নামের দায়ভার নিজে নিয়েছিলেন? আপনার জানা আছে কিনা? কয়জন সেই কাজটা করেন? নামের ক্ষেত্রে প্রায় সবাইকেই অন্যের পছন্দকেই সারাজীবন বহন করতে হয়।

তিনি কি খাঁটি বাঙাল হতে চেয়েছিলেন? এতে তো তার উপর আপনি বাড়তি একটা ঝামেলা চাপিয়ে দিলেন। তিনি তার মতো করে একধরনের আধুনিকতাই বহন করতে চেয়েছিলেন বলে আমার ধারণা। সারাজীবন আন্তর্জাতিকতাবাদকেই সাপোর্ট করে গেছেন তিনি। বাঙাল হওয়াটা ইন্টারনাল বিউটির একটা অনুসঙ্গ হতেও পারে, কিন্তু খাটি বাঙাল হয়ে মজে থাকা কোনো কাজের কথা নয়। 
মার্চ ২২, রাত ১:৩৬ 
 
**চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান...'খাটি বাংগাল'টা কে কি হিশাবে নেবে, মানে এস্কিমো, পিগমি বা তপন রায় চৌধুরির 'বাঙ্গাল নামা' বা গাওয়া ঘি এগুলা অভিরুচি ও সামর্থের ব্যপার!তবে সেই অভিরুচি নিয়ে মান, অভিমানের মামলাবাজিতে শক্তিধর শাষক এলিটেরাই জয়ি হয়েছে। যে মুন্ডা ওঝারা প্রথমে জংলিংকং পাহাড়ে নেচে, নেচে চন্দ্রভঞ্জন করতো, মানস সরোবর তিরে ঘাটি গাড়া ইরানি খাসেরা সেই জংলিংকংযের নাম দিলো আদি কৈলাশ, তার আকারে তৈরি করলো চন্দ্রবিন্দু, লিখলো 'মুন্ডাকাপনিষদ' এবং সর্বোপরি উচ্ছেদ করলো মুন্ডাদের।আমি ঠিক 'খাটিত্বের' পালটি ঘর খুজছি না, অভিধানের গোলকধাধা পারায়ে খুজছি পত্তনির ইশারা! মার্চ ২২, দুপুর ১:০১ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান, আমরা সবাই যদি পাবলো নেরুদা, লেলিনের মত নিজের নাম নিজে নিতাম মন্দ হতনা! আমার প্রিয় একজন কবি সত্তরের আবিদ আজাদ পিতৃমাতৃদত্ত নাম বিসর্জন দিয়ে প্রথমে লিখতেন সুমন সরকার নামে, তারপর থিতু হলেন আবিদ আজাদে!নামের পিছনের নাম, গ্রামের পিছনের গ্রাম!আহমদ শরীফের জন্ম চিটাগাঙ্গের পটিয়াতে 'সুচক্রদন্ডি' গ্রামে! গ্রাম'টার নাম বলে দেয় যে এর পত্তনি হয়েছিল আর্যায়নের সময়। এই সুদির্ঘ পর্বে মনহলিপট্টোলি বা মদনপাল দেবেরা যট্টুকু বিদেশি; শিকদার, তরফদারেরাও তট্টূকুই বিদেশি! এক অর্থে বাংগলার সকলেই শঙ্কর অল্পবিস্তর!তবে শাঙ্কর্যের সিড়ি বেয়ে পরাজিত নেটিভেরা যাতে এক্কেবারে উপরে উঠতে না পারে তার জন্যোই বাছবিচার বা ছ্যুতমার্গ: ভাষা এই দির্ঘ পর্জায়ে দমনের হাতিয়ার, বিকাশের নয়! শাঙ্কর্জের সুত্রেই ভাষাবিকাশের সুত্র লুকায়ে, লক্ষনসেনি নয়া বর্নাশ্রম বা ইসলামি আশরাফি, আজলাফিতে না! অনুগৃহিত দাশের দাশগুপ্ত বা মন্ডল হওয়া আর জোত, জমি, প্রাতাপের স্মারক জাতে ওঠা কথিত সৈয়দ, কুরেশির মধ্যে গুনগত পার্থক্য কি আছে? এখন এই শাষকেরা জানতো যে শোষিত বাঙ্গালি জৈন, বৌদ্ধ, ব্রাক্ষন্য, ইসলাম কোন'টাই আন্তরিকভাবে গ্রহন করে নাই!যোগ, কায়াসাধনা, দেহতত্ব...এসবের খবর তাদের কাছে পৌছাত! ভাষায় পেলবতা এসেছে বিভিন্ন জাতের কথনের মেলবন্ধনেই; আর পাশবিকতা ঘটেছে সেই বন্ধন'কে যখন গাত্র, জাত, ভাষার চাপানো বিন্যস্ততায় হননের চেষ্টা করা হয়েছে!এই হনন প্রয়াসে নিস্ক্রান্তদের খুজলেই আমদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় মিলবে! মার্চ ২২, দুপুর ২:৫৭
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: @চয়ন খায়রুল হাবিব: একচুয়েলি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিবতর্নটা হয় যখন আমরা কথিত ভদ্রলোক হতে শুরু করি। ভাষার বদলটা রাষ্ট্রলালিত একাডেমি আমাদের শিখিয়ে দেয়। জল-মাটির গন্ধ তখন মিইয়ে আসতে থাকে। আমরা আমাদের মগজআশ্রিত সভ্যতা নির্মাণে ব্রতী হই। লৌকিকতা ভুলতে পছন্দ করি। 
 
আপনারা নাজেলকৃত ভাষাজনিত তাড়না বেশ ভাল্লাগছে। মার্চ ২২, বিকাল ৪:০২ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর... আসলে কোন যাত্রাই একক না!আপনি না আসলে যৌথ পথবন্ধনের আবেশটা পাওয়া যেতনা! আর কোন এঙ্গেল আসলে ছাইড়েন!আপনার প্রথম দিককার কমেন্টের 'প্রগতিশিল নৈরাজ্য' এখনো আমার ভিতর অনুরনন তুলছে! হৃদয়টাকে মগজের হিশাবের বাইরে নেয়াটাই মনে হয় ভাষার ভিতরের ভাবের সংগ্রাম।গেরস্থালিতে মনো্যোগ দেই! ভাল লাগাতে পেরে ভাল লাগছে। আপাতত বিদায়। মার্চ ২২, বিকাল ৪:১৩ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: 'হৃদয়টাকে মগজের হিশাবের বাইরে নেয়াটাই মনে হয় ভাষার ভিতরের ভাবের সংগ্রাম।' সহমত -- বিশেষত সংগ্রাম শব্দটার প্রয়োগ খুবই ইফেক্টিভ লাগছে। মার্চ ২২, বিকাল ৫:৪৮
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: ৭১-এর পরবর্তীসময়ে জনমানসের স্পিরিটকে মোটেই সম্মান করা হয়নি। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে মুখের ভাষার প্রতি যে সহজাত প্রেম প্রকাশ পেয়েছে, তার যে লড়াই-সংগ্রাম চালু থাকল -- এর ফলশ্রুতিতে আমরা পাই ৭ই মার্চের ভাষণ। এর ভিতরগত শক্তি দেখলেই ভাষার সংগ্রাম অনেকটা আন্দাজ করা যায়। পরবর্তীসময়ে এর ধারাবাহিকতা থাকেনি। আমরা বাঙালিত্বের ভিতর ভদ্রলোকিত্ব লাভের, সেই লাভের অংশীদার আবার অপর নৃগোষ্ঠীকে করতে থাকার বাসনাও তাতে যোগ করতে থাকি। পুঁজি যখন গ্রাসব্যাকুল হয়, তখন অপরের ভাষাকেও খাওয়ার বাসনা আসে।

এখন ইন্টারনেটের এই কালে, হিন্দিতে ব্যাকুল আকাশসংস্কৃতির প্রবাহে বাঙলা বা অপরাপর ভাষার রূপটা কী হবে তাও বোঝা মুশকিল।
মার্চ ২৩, ২:৩৭
 
মাতিয়ার রাফায়েল: @চয়ন, আপনের ডায়লগের কী আর আনসার দেমো। আরবিকে আপনে ইসলামি ভাষা কইতাছেন। এইটা তো হইল আদি সাম্প্রদায়িকদের মাধ্যমে একটি জনসমাজের যুগযুগান্তর বংশানুক্রমে চলে আসা মুখের ভাষাকে একটি ধর্ম দিয়া সুনির্দিষ্টকরণ! তাহলি তো কইতে হয়, অনৈ্সলামি ভাষা কোনটা। বুদ্ধাভাষা কোনটা, খিরিস্তানি ভাষা কোনটা, ইয়াহুদি ভাষা কোনটা। শুধু 'ইসলামি ভাষা' নামেই সুনির্দিষ্টকরণ হইবেক, আর অন্য ধর্মীয় ভাষা না হইবেক, তা কেমনে চলবো চয়ন! এতো বিতরে বি্তরে আরেক নিউ কমিউনালিজমের লালন ও প্রতিপালন! মার্চ ২৩, দুপুর ১:৩১
 
মাতিয়ার রাফায়েল: @চয়ন, আর আপনি বাংলা ইসলামিকরণের কথা বলছেন, বলেন তো এই বাংলা-ই-বা কবে বাংলাকরণ হইয়া আসছিল? মার্চ ২৩, দুপুর ২:০৩
 
মাতিয়ার রাফায়েল: তেভাগা আন্দোলনটি চলে আসছিল ১৯২৯ সালের মহামন্দা অব্যবহিত পরপর থেকেই। ১৯৪৯ সালে এসে এটির উত্যুংগরূপ দেখা দেয়। এটি ছিল বাংলার সাধারণ কৃ্ষক সমাজের বাঁচামরার সংগ্রাম। আর ভাষা আন্দোলনটি ছিল পূর্ব-পাকিস্তানের শিক্ষিত বাবুদের ক্ষমতা-নিয়ন্ত্রণের সংগ্রাম। একটি কেব্দ্রীয় লড়াই আরেকটি প্রান্তিক লড়াই। একটি আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে একই সময়ে দুই বিপরীত মেরুকরণি সংগ্রাম কখনোই একই পাটাতনে আসতে পারে না। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় আন্দোলনের ডামাডোলে ও কেন্দ্রীয় বাবুদের ঔদাসীনে নিমেষেই প্রান্তিক আন্দোলনটি লোকচক্ষুর অন্তরালে তলিয়ে যায়। হতে পারে আসলে কায়েমি স্বার্থবাদীদের দ্বারা ভাষা আন্দোলনটি একটি ষড়যন্ত্রই ছিল হয়ত। যাতে বাংলার কৃ্ষক-আন্দোলনটি সবে নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের কায়েমি স্বার্থবাদীদের মূল পাটাতনটিই না সরে যায়! বাংলা যখন তথাকথিত রাষ্ট্রভাষা ছিল না, তখন মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, জসিমউদদীন হয়নি! তাতে তো তখন কোনো সমস্যা হয় নাই! এইখানে আসিয়াই কেন সহসা এমনটি হইলো? মার্চ ২৩, দুপুর ২:৪৭
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: 'আর ভাষা আন্দোলনটি ছিল পূর্ব-পাকিস্তানের শিক্ষিত বাবুদের ক্ষমতা-নিয়ন্ত্রণের সংগ্রাম' --এটি মোটেই সঠিক নয়। ভাষা-আন্দোলনকে এভাবে দেখে নুরুল আমিন এন্ড গং। উর্দুকে রাষ্ট্রীয় ভাবে চাপিয়ে দেয়া ছিল পাকিস্তানের ক্ষমতাকাতর মানুষদের ক্ষমতার দাপট প্রকাশের একটা পন্থা। একটা ভাষাকে অপর বিজাতীয় ভাষা কর্তৃক পেষণকে আপনি এভাবে দেখার প্রয়োজনীয়তা কিভাবে বোধ করেন বুঝতে পারছি না! বরং তখনকার বাঙালি উঠতি-বুর্জোয়া শ্রেণী ভাষা-আন্দোলনভিত্তিক লড়াইকে কাটছাট করতে চেয়েছিল। কারণ তাদের সামনে তখন ছিল ৫৪-এর নির্বাচন। তারা ভয়ে ছিল, যদি পাকিস্তান সরকার তখন একটা উসিলা ধরে সাধের ভোটাভুটি বন্ধ করে দেয়। যারফলে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের বিপক্ষে দাঁড়ায় তারা। আওয়ামী মুসলিম লীগের (?) তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক সরাসরি এর বিরুদ্ধে পিকেটিং পর্যন্ত করেন। শেরে বাঙলা এর বিরোধিতা করেছিলেন। ভাষা-শহীদদের উদ্দেশ্যে করা গায়েবানা জানাজায় এসে তাকে ছাত্রদের কোপানলে পড়তে হয়।

আপনি ভাষা আন্দোলনকে এত সঙ্কীর্ণভাবে দেখছেন কেন? আমি তো খুবই অবাক হয়ে যাচ্ছি!
 মার্চ ২৩, বিকাল ৬:১৯
 
**চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর...বাংলাদেশের একটা অংশের যে ১৯৪৭ নিয়ে বেশ মান, অভিমান আছে তার প্রকাশত আমরা বিভিন্ন অজুহাতে দেখেছি, দেখচি এবং হয়ত দেখতেই থাকব!এরা দরকারমত রবিন্দ্রনাথকে তুলে, নামায়! কিন্তু মুল স্লোগান তলে, তলে: ১৯৪৭ বাঙ্গালি মুস্লিমের জন্য ৫২, ৭১ এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন! এরা তিতুমিরকে বাঙ্গালির নেতা বানাতে গিয়ে, তিতুমিরের ওয়াহাবি রাজনিতি আড়াল করে ফেলে কিম্বা যখন আর আড়াল করতে পারেনা, তখন বলে যে পুর্ব বাংলার আপামর কৃষক ওয়াহাবি রাজনিতিতে বিশ্বাসি! এটা অনেক'টা মেডুসার হাসির মত! কিন্তু ৫২, ৬৯, ৭১ মিলে যে হারকিউলিস-আকৃতির অভিঘাত তার সামনে যেহেতু ঐ মেডুসার হাসি আর নাই, সেহেতু একবার তেভাগা, একবার রবিন্দ্রনাথ দেখায়ে এরা 'মাসির দরদ' দেখাতে চাইছে!এই দরদ আন্তরিক হলে এরা রেসকোর্সে জমায়েত বাঙ্গালি-গনমানবকেও দেখতে পেত, ভারতে আশ্রয় নেয়া কোটি শরনার্থিকেও বাঙ্গালি-গনমানব হিশাবে গন্য করতো! মার্চ ২৩, রাত ৯:১১
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: 'আর আপনি বাংলা ইসলামিকরণের কথা বলছেন, বলেন তো এই বাংলা-ই-বা কবে বাংলাকরণ হইয়া আসছিল?' আমি শুধু কি 'বাংলা ইসলামিকরনের' কথা বলেছি?এতো সাত কান্ড রামায়নের পর, সিতা কার বাপ!
মার্চ ২৩, রাত ৯:১৬ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: মাতিয়ার...৫২র ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিষোদ্গার এবং সদ্য নতুন আধুনিক রাস্ট্র পাকিস্তানে কিভাবে তেভাগাসহ ইত্যকার গনমানুষের আন্দোলনগুলা বিকশিত হত তা নিয়ে আপনি বরং আরেকটা নোট লিখেন! আর সদর কোর্টে যখন নিজামি গংদের আনা নেয়া করা হয় তখন ঐ নোট ঘোড়ায় টানা টমটমে দাড়ায়া গলা ফাটায়া চিল্লায়, চিল্লায় পইড়েন! আমিত ভাই ঐ সমিকরনের দলের লোক না!আমিত আপনার কথা অনুজায়ি: আদি কমিউনালিজমের লোক! আমার সমিকরন আমি দিয়েছি! নিলে নিবেন, নাইলে নাই! কিন্তু প্রশ্নের পেচাপেচিতে ফেলে আমার লেখাটার কদর্থ করা কি শোভন? অবস্যই আপনার মতামত দেবার পুরা অধিকার আছে! কিন্তু সেই মতামতগুলা নতুন বা আদৌ কোন দৃষ্টিকোন তৈরি করছে কি না তাওত বিবেচ্য! আমার বিবেচনায় এই মতামতগুলাকে মনে হচ্ছে ঢাকির বোল! আপনার প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলার উত্তর আমার লেখাতে আছে এবং পরে আমার, কামরুজ্জামানের আলাপে বিস্তারিত হয়েছে! সেগুলা চোখে না পড়লে আমি অপারগ! ভাল থাকুন। মার্চ ২৩, রাত ১০:৪৩
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান...'৭১-এর পরবর্তীসময়ে জনমানসের স্পিরিটকে মোটেই সম্মান করা হয়নি। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে মুখের ভাষার প্রতি যে সহজাত প্রেম প্রকাশ পেয়েছে, তার যে লড়াই-সংগ্রাম চালু থাকল_এর ফলশ্রুতিতে আমরা পাই ৭ই মার্চের ভাষণ।'...আপনার এ-মন্তব্যে সাথে একমত হয়ে আমি সাহিত্যে এর আঙ্গিক ও মাত্রাগত অভিঘাত তুলে ধরতে চাই! আল মাহমুদের অনেক কাজ আমি পছন্দ না করলেও, শামসুর রাহমানের মৃত্যুর পর শামসুর স্মারকে আল মাহমুদের মন্তব্য স্মরনিয়!ঐ স্মারকে আল মাহমুদ বলেছিল যে 'রৌদ্র করোটির পর আসাদের শার্ট ধরে শামসুর হেচকা টানে তিরিশিও জীবনানন্দিও ভাষা থেকে সরে এসেছিল'!আল মাহমুদ বিভিন্ন খানে তিরিশের কবিদের 'দেশবিহিন কবিও' বলেছেন!এখন দেখা যাবে যে যারা ৫২, ৬৯, ৭১ কে সাত সতেরো 'বুর্জোয়া' বলছে এবং জীবনানন্দ নিয়ে টানাটানি করছে তারা হয় ফরুরুখ আহমেদ টাইপ ভাবমার্গিও ইসলামি খেলাফতি কবিতা লিখেছে, নয়ত জীবনানন্দিও বিমুর্ততায় ভুগছে! ব্রিটিশের ভেদনিতি ও সামন্তবাদি বুরজোয়াদের সমর্থনেই যে ১৯০৫ এর বংগভংগ, ১৯৪৭এর ভারত বিভাজন যা আরেক অর্থে বংগভংগও বটে ঘটেছে তা বুঝতেত ভাষাবিদ হবার দরাকার নাই! তবে এখানে আমরা রোমান্টিক না হয়ে প্রাগমাটিক হলে দেখতে পাব যে ভারতের ফেডারেল কাঠামোর ভিতরেও পুর্ববংগ আরেকটা প্রদেশ হতে পারত! পারত কিম্বা হয়ত'র চেয়ে কি হয়েছে তাই দেখা বেশি দরকার! ৪৭, ৫২, ৬৯,৭১ এসব ঘটেছে; যার ভিতর ৫২, ৬৯, ৭১ সত্ত্বার লড়াইর পাশাপাশি ইসলামিকরনের বিরুদ্ধ্বে ম্যান্ডেট; ঠিক যেভাবে 'ভারত ছাড়' আনদোলন ব্রিটিশকরনের বিরুদ্ধে ম্যান্ডেট; ঠিক যেভাবে গৌতমের দর্শনের আশ্রয় নেয়াটা ছিলো ব্রাক্ষন্যবাদের বিরুদ্ধ্বে ম্যান্ডেট! মার্চ ২৩, রাত ১০:৫০
 
মাতিয়ার রাফায়েল: আর একটা প্রশ্ন, ছাত্ররা কি আদৌ জেনে-শুনে, বুঝেশুনে রাষ্ট্রভাষা কি হইবে এই প্রশ্ন তুলেছিল? তা না হলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রনীতি কী হইবে, এই প্রশ্ন না তুলিয়া কেন, রাষ্ট্রভাষা কি হইবে, এহেন প্রশ্ন তুলতে গেল? আসলে ওটা ছিল এমন একটা কূটপ্রশ্ন যে 'নুরুল আমীন গংদের' স্বল্প রাজনৈতিক জ্ঞানও লেজেগোবরে জড়াইয়া যায় এবং সংখ্যালঘু মানুষও যেভাবে কর্তৃ্ত্ববান হইয়া ফাসিস্ট হইয়া ওঠে, তারাও তেমনি হইয়া উঠিয়াছিল। রাজনীতিতে চাংগাভাব না থাকলে কি রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র বলিয়া মনে হয়! এই আর কি। কিন্তু এহেন পরিস্থিতি কেন হলো? এক রাষ্ট্রনীতির মধ্যদিয়াই পরিস্কার হয়ে ওঠে যে সেখানে কীভাবে কী হইবে। ধর্ম, ভাষা, শিক্ষা, সম্পদবিনিময় সবই তো একটা রাষ্ট্রনীতির মধ্যদিয়ে চলে আসতে পারে। আর ওইযে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহম নিয়া রাষ্ট্রভাষা কী হইবে, এটা কি ফাসিজমেরই প্রকৃতি না? ঠিক যেভাবে মুস্লিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার অজুহাতে (মাত্র ৫৫-৪৫ ব্যাবধান) আপন বাপদাদার ভূমিচ্যুত করা হয়েছিল এদেশেরই হিন্দুদের! এটা কি সে রকমই নয়, যে জনসংখ্যার বিচারে বাংলা ঐ মুস্লিম-হিন্দু ব্যবধানের মতোই তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই বাংলা চাই রাষ্ট্রভাষা? বলি, ফাসিজমের ব্যাখ্যা কি অন্যের যেমন আমার জন্যও তেমন নয়, বুদ্ধিজীবীতায় কি এই নীতিই চলে যাওয়ার নামই পলিটিক্স? যে আগে প্রধান দুশমন আপন ঘরের হিন্দু তাড়াইয়া অগ জমাজমিগুলা সব নিজেগ আয়ত্বে আইনা লই, তারপরও তো আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকমু। তারপরই বাইরেরটা ধরমু। অতএব, কুচ পরোয়া নেহি। এরকম এখন দুই চারিটা উর্দু বাক্য কইতে! যদি আপনারা এখানে এরকম পলিটিক্স-এর দোহাই দেন, তা হলে সেখানে 'সম্পূর্ণ দ্বি-মত' নাই, চয়ন! রাজনৈ্তিক ফিলসফির জায়গায় যদি আইসেন, তাইলে কথা আছে, কথা হবে। আমেন! মার্চ ২৪, বিকাল ৩:১০
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: ধর্ম, ভাষা ইত্যাদির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক প্রাবল্যবাদিতার জন্ম তো নেয়ই। আমার বিশ্বাস হচ্ছে, ৫২-এর ভাষাজনিত সংগ্রামের স্পিরিট মানে মুখের ভাষাকে রক্ষা করার একটা প্রক্রিয়া। 'ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চাই'_এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করণকে প্রতিরোধের বিষয়টাই হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের মুখ্য আরাধনা। তার মানে অপরাপর যত ভাষাভাষী আছেন, তাদের ভাষাগত প্রিয়তাকে ভুললে চলবে না। কিন্তু জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এমই ভয়ঙ্কর হয়ে গেল যে বীর বাঙালির মোহে পড়ে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীকেও বলা হলো তাদের জাতিসত্তার পরিচয়কে লুপ্ত করে বাঙালি হয়ে যেতে! 
 
মাতিয়ার, আপনি যে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতির ভয়াবহতার কথা বলছেন, তাকে কিন্তু আমি অস্বীকার বা বাইপাস করছি না। কিন্তু তাই বলে, ৫২-এর ভাষাগত সাংস্কৃতিক লড়াইকে শিক্ষিত বাবুদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি বলতে রাজি নয়।

বহু জাতির একটা দেশে জাতীয় ভাষার বিষয়টাই তো ফ্যাসিবাদী একটা ব্যাপার। 
মার্চ ২৪, বিকাল ৪:৫০ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান...ইউটোপিয়ার জায়গা থেকে না দেখে রাস্ট্রকে যদি প্রাগমাটিক জায়গা থেকে দেখা হয়, তাহলে কিন্ত রাস্ট্রিও সংস্কৃতির সাথে আত্মিয়তা গড়ে উঠে বিভিন্ন পটভুমির নাগরিকের মৌলিক অধিকারের সমতা থেকে!আমার দৃষ্টিতে ১৯৪৭এ একধরনের সাংস্কৃতিক আত্মিয়তা দেখানো হয়েছিল ধর্মের দোহাই পেড়ে!কিন্তু মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে অসমতা বাঙ্গালি যেমন বুঝেছে এবং রুখে দাড়ায়েছে, সেরকম হয়ত সিন্ধি, বালুচেরাও বুঝেছিল; কিন্তু সঙ্খাধিক্য এবং আগেই ভাষার একটা বিকাশমান ধারা থাকাতে সেই মৌলিক অধিকারের সংগ্রামে ভাষা একটা প্রাধান প্রতিক হয়ে দাড়ায়! এটা ইংরেজের 'প্রোটেস্টানিজমের' মত ভ্যাটিকানের অনুশাষন থেকে আলাদা হবার মত!৫২তে পুর্ব বাংলার লোক সাংস্কৃতিক পরিচয়ে বাঙ্গালি হতে চেয়েছে এবং ৭১ এ অস্তিত্বগত সংকট থেকেই বাংলাদেশি হতে চেয়েছে!এখানে ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আইরিশ রিপাব্লিকের পটভুমিগত পার্থক্যও দ্রস্টব্য!দুই আয়ারল্যান্ডই খ্রিস্টান; কিন্তু রিপাব্লিকে ক্যাথলিক প্রাধান্য এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রোটেস্টান্ট প্রাধান্য! এখানে এখন অধুনার ইউরোপিয়ান ইকনমিক কমিউনিটির ছাতাতলে কে ক্যাথলিক, কে প্রোটেস্টান্ট তা করা হচ্ছে না!কারন শ্রমবাজার খুলে দেয়া হয়েছে! কিন্তু আইরিশ, পোলিশ, ফরাসি কেউ তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় বা ভিটা হারাবার ভয়ে শঙ্কিত নয়! চলবে... মার্চ ২৪, বিকাল ৫:২০
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: আরেকটা দিক দেখবার, তা হ'লো, ভুগোলের বংগভংগ ভাষার ক্ষেত্রকেও বিভাজিত বা কলুষিত করেছে কি না? এই কলুষ কায়েম করবার চেষ্টা থেকেই এরশাদের ইসলামিকরন! কবিতাঙ্গনেও যার সংক্রমন ঘটেছিল! আবার এই কুলুষ প্রতিকারের মন্ত্রগুপ্তি কিন্তু আছে ৭২ এর সংবিধানে, সমাজতন্ত্রের অঙ্গিকারে! ১৯৪৭ এর পর থেকে পুর্ববঙ্গে একনায়কি শাষন ধারার একটা বড় অনুষংগ ছিলো বিভাষি বিশেষজ্ঞ্বদের বাংলাদেশে আরোপ। কুমিল্লার বার্ড-এ এই আজকেও আখতার হামিদ খান'কে দেখা হয় ত্রানকর্তা হিশাবে! ১৯৭২ এর পর আমরা শান্তিনিকেতনে, পুনাতে লোকজন'কে নাচ, গান, অভিনয় শিখতে পাঠায়েছি! কিন্ত শান্তি নিকেতনের সেচ প্রকল্প আর কৃষি শিক্ষাই ভারতের অন্যান্য জায়গায় বিস্তৃত হয়েছে! পাকিস্তান না হলে কি ময়মনশিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হত কি হ'তনা সে প্রশ্নের চেয়েও বড় যে ঐ কৃষি বিশ্ববিদ্যালোয়ে যোগ্য বাঙ্গালি মৃত্তিকা বিজ্ঞ্বানি ও কৃষিবিদ থাকার পরেও হামিদ খান'কে কেন ত্রান কর্তার ভুমিকা দেয়া হয়েছিল? কৃষি, ভাষা, কৌমকে আত্মসাত করবার একটা অভিপ্রায় ৪৭ পরবর্তি একনায়কদের বরাবরই ছিল; ১৯৭১ এর বিনাশি তান্ডব হটকারি কোন যজ্ঞ্ব নয়! এখন সেই একনায়কতন্ত্রি লিগেসি বাংলাদেশ আমলেও বিস্তৃত ছিলো এবং এখনো আছে! এরশাদ যা যা করেছে, তার গোড়া পত্তনি শুরু হয়েছে জিয়ার আমলেই! স্কুল কারিকুলামে শুধু যে ডারুইন উচ্ছেদ করা হয়েছে তাই নয়, ইতিহাসকে ইচ্ছামত রুপ দেয়া হয়েছে! বল্লাল সেনের আমলে যেমন বাঙ্গালি সংস্কৃতির সুত্র খোজা হত বৈদিকতায়; ৪৭ পরবর্তি প্রত্যেকটা একনায়কতন্ত্রে পুর্ব্বঙ্গের বাঙ্গালি সংস্কৃতির পটভুমি খোজ়া হয়েছে তুর্কি, মুঘলের ইতিহাসে! এইত সেদিনও আমার প্রিও একজন সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরি তার 'পলাশি থেকে ধানমন্ডি' নাটকে বংগবন্ধুকে সিরাজোদৌলার সাথে তুলনা করেছেন! অথচ দুই জনের ঐতিহাসিক সার্বভৌমতার গুনেই ভিন্ন! চলবে... মার্চ ২৪, বিকাল ৫:৫২ 
  
চয়ন খায়রুল হাবিব: এখানে এসে পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালির দিকে তাকানো যাক! ভারতভুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালি সজ্ঞ্বানে নিজেকে বলে, 'আমি ভারতিও'! অর্থাত সে রাস্ট্রিক পরিচয়ে ভারতিও এবং সেই ভারতিও হওয়াটা তাকে ভাষিক ও জাতিসত্ত্বাগতভাবে বাংগালি হতে বাধা দিচ্ছে না! অতয়েব, ভাষিক, ভৌগলিক অভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও ইতিহাসের ঘটনা পরম্পরায় দুই বাংলার রাস্ট্রিক ভিন্নতা, দুই বাংলার ভাষা ও জাতিস্বত্তাকেও ভিন্ন করে দিচ্ছে! যতই লোকধর্মের পাশাপাশি মুল ধর্ম ধরেও সংস্কৃতি, ঐতিহ্য অনবরত গ্রহনে, বর্জনে বদলাতে থাকে! খুব পিছনে ফিরে গেলে, পাগান থেকে ব্রাক্ষন্যবাদে আসার পরের হাজার বছরে বঙ্গালি কি আরো বৈদিক হয়ে গেছে, না কি একটা শ্রেনির বাঙ্গালি আরো বৈদিক হয়েছে! সেরকম নিম্ন বর্নের হিন্দুরা মুসলিম হবার পর ধর্মান্তরিতরা নতুন আচার গ্রহনের সময় পুরানো যা যা বর্জন করেছে তার কতটুকু বৈদিক আর কতটুকু আবহমান লোকায়ত সংস্কৃতি!একই কথা খাটে নিম্ন বর্নের হিন্দুদের খ্রিস্টান হবার ক্ষেত্রেও! ধর্মসুত্রে সংস্কৃতির বিনাশের সবচেয়ে কাছাকাছি দৃশটান্ট ইসলামি-আরবের কাছে পার্সি জরাথ্রস্টবাদের পরাজয় এবং আদি পার্সিদের ভারতে পলায়ন! এখানে দ্রস্টব্য যে ইরানিরা তাদের ভাষাকে এখনো ধরে রেখেছে এবং ইসলামও আরবি/ইসলাম থেকে ভিন্ন মাত্রায় পালন করে থাকে! এখন বাঙ্গালি মুসিলিমের কারো, কারো যতই আরব বা ইরানি প্রিতি থাকুক না কেন; মধ্যপ্রাচ্যে সহিংশতার সময় বাংলাদেশিদের কিন্তু সে কারনে কোন বিশেষ ছাড় দেয়া হয় না! এখানে আমি লোকায়ত বাংলার আদিবাসি মেলবন্ধন খোজের পাশাপাশি আহমদ শরীফের মতই আশাবাদি যে 'এই অঞ্চলেও পারস্পরিক গরজে একটি পুর্বাঞ্চলিও যুক্তরাস্ট্র বা ফেডারেশন গড়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।'। মার্চ ২৪, বিকাল ৬:১৯
  
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: ৫২তে পুর্ব বাংলার লোক সাংস্কৃতিক পরিচয়ে বাঙ্গালি হতে চেয়েছে এবং ৭১-এ অস্তিত্বগত সংকট থেকেই বাংলাদেশি হতে চেয়েছে! 

এখানেই আপনি জাতিগত মুরুব্বিয়ানা দেখাচ্ছেন। পাকিস্তান আমলেই বা তারও আগে থেকেই পাহাড়ি বা সমতলের আদিবাসিগোষ্ঠী তাদের সাংস্কৃতিক জীবনধারাকে সমুন্নত রাখতে চেয়েছে। কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে আইয়ুব খানতো পাহাড়িদের কোমরই ভেঙে দিল। বাঙালিরা আসলে জাতিগত দিকটা এভাবেই নিজেদের করে বুঝেছে যে তারা আসলে অপর জাতিগোষ্ঠীকে চোখেই দেখেনি। পূর্ববাংলা কখনও এক জাতিগোষ্ঠী ছিল না। থাকার কথা নয়। আর ৭১-এ বাংলাদেশি হওয়ার বিষয়টা কোথায়? তখনকার মূল শ্লোগানই ছিল, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। তাহলে ২৬টা জাতিগোষ্ঠী কী ধরবে?

আর এই দেশের শাসনব্যবস্থা কখনও ধর্ম আর সামরিকতন্ত্রের বাইরে ছিল না। কোনটা দেখা যেত, কোনটা দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগত -- এই যা পার্থক্য। স্বাধীনতার পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ থাকলেও মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা, ওয়াজ-নছিহত, ধর্মসভা নিষিদ্ধ ছিল না। বরং মসজিদভিত্তিক রাজনীতি তখন আরও বেশি হতো। আমরা, এই দেশের মানুষজন, ধর্ম আর লেফট-রাইটের বাইরে কখনও থাকতে পারিনি। এরশাদকে নিয়ে কথা বলতে আমরা মজা পাই, সুবিধা আছে, বিপদে পড়ার ভয় নাই -- এই হচ্ছে সারকথা।
 
ভাষা বলেন, জাতিগত অস্তিত্ব বলেন, জল-মাটির গন্ধই বলেন -- পশ্চিমবঙ্গ আর বাঙলাদেশ কখনও আর একই ধারার হবে না, হওয়ার দরকারও নাই। তবে বুর্জোয়া রাজনীতি এখানে ভোটের হিসাবেই দুইভাগে আছে। রবিঠাকুর, কলকাতা, ঢাকা, মুসলমান, নজরুলকে যার-তার মতোই ব্যবহার করছে মাত্র। মার্চ ২৪, সন্ধ্যা ৭:১৫ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান...'এখানে এসে পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালির দিকে তাকানো যাক! ভারতভুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালি সজ্ঞ্বানে নিজেকে বলে, 'আমি ভারতিও'! অর্থাত সে রাস্ট্রিক পরিচয়ে ভারতিও এবং সেই ভারতিও হওয়াটা তাকে ভাষিক ও জাতিসত্ত্বাগতভাবে বাংগালি হতে বাধা দিচ্ছে না!' এখানে আমি 'বাঙ্গালির' জায়গাতে 'ঝাড়খন্ডি' ব্যাবহার করতে পারতাম এবং তাতে অর্থ বদলাতোনা! আর 'জাতিগত মুরুব্বিয়ানা' এড়াতেই আমি ফেডারেল কাঠামর কথা বলেছি! সেটা বাজারকাঠামোর আওতায় হবে না কি সাংস্কৃতিক না কি উভয়ত সেই বিতর্কে আমি 'উভয়ত' যাত প্রত্যেক ভাষাভাষি এবং সাংস্কৃতিক ভিন্নতা স্বায়ত্বশাষন পায় তার পক্ষে! আমার মুল সুর তাই! মার্চ ২৪, সন্ধ্যা ৭:২৬
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: '@কামরুজ্জামান, ...'৫২তে পুর্ব বাংলার লোক সাংস্কৃতিক পরিচয়ে বাঙ্গালি হতে চেয়েছে এবং ৭১ এ অস্তিত্বগত সংকট থেকেই বাংলাদেশি হতে চেয়েছে!' এখানে বলা যেতে পারতো, '৫২তে পুর্ব বাংলার বাঙ্গালি (কারন তার ভিতর হিন্দু, মুসলিম, বৌধ্ব প্রতিনিধিত্বও ছিল) সংস্কৃক্তিক...' আমরা যদি শান্তি বাহিনির ততপরতা এবং মানবেন্দ্র লারমার নেতৃত্বাধিন ঘনাক্রমগুলা দেখি, কিম্বা সুভাশ ঘিসিং এর নেতৃত্বাধিন ঘটনাগুলা দেখি, তিমুরবাসিদের ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধ্বে সংগ্রাম দেখি তাহলে দেখতে পাবো যে বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ভাষিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সর্বার্থেই প্রতিকায়ন হয়েছে! এখন শান্তিবাহিনির কোন বয়ানে যদি পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন নরগোষ্ঠির নাম বাদ পড়ে যায় তাহলে কি দাড়াবে যে শান্তিবাহিনি এক গোশটির উপর আরেক গোস্টির 'মুরুব্বিয়ানা' চাইছে!কিছু, কিছু genaralise ভিউপয়েন্টে আমি মানি যে একটা সংরামের বিশিষ্টতাকে গৌন করা হয়!সুভাস ঘিসিং এবং মানবেন্দ্র লারমা দুজনেরই লড়াই বাংলা ভাষি কৌমের সাথে! কিন্তু সুভাশ ঘিসিং ফেডারেল কাঠামোর আওতায় যে নিরাপত্তা পচ্ছে, মানবেন্দ্র লারমা তা পাচ্ছে না! আবার দেখুন সুভাস ঘিসিংযের ভাষা হচ্ছে নেপালি! ধারনা করি বঞ্চনার প্রতিরোধে নেপালি কুলিদের দার্জিলিঙ্গে যে প্রতিরোধ সেখানেও ভাষা প্রতিকি মাত্রা যোগ করেছে! আপনি যেখানে বলছেন যে পুর্ব বাংলা, পশ্চিম বং ভিন্ন সেখনেও স্বার্বভৌমত্বের ঔধত্ব থাকতে পারে! কিন্তু তা ঔধ্বত্য নয়, মুরুব্বিয়ানাও নয়, ফ্যাসিজমো নয়!ভাষাভিত্তিক রাস্ট্র এখন বাস্তব সত্য ঘটনা! যতই ছোট হক বা বড় হোক সেখানে ফেডারেল কাঠামো থাকতে পারে! বেলজিয়ামে আছে! বাঙ্গালি যে ৬০% দারিদ্র সিমার নিচে তার দরকষাকসি তাকে যা তার মুখের বুলি তাতেই করতে হবে! সেই নিবিত্তের ইতিহাস আমরা পাই না তার ভাষাতে; বরং বিত্ত লুন্ঠনকারির ইতিহাস পাই দিস্তায়, দিস্তায়! বলছি আমরা সবাই সদিচ্ছা থেকেই! চলবে... মার্চ ২৪, রাত ৮:১৯ 
  
চয়ন খায়রুল হাবিব: উপরের শেষ লাইনের পর থেকে: বলছি আমরা সবাই সদিচ্ছা থেকেই! একেক জনের ব্যাটিং ভঙ্গি একে রকম! তবে ক্রিকেট আর বেসবল খেলা গুলায়ে না ফেল্লেই হয়! আমি নিয়ে নামলাম ক্রিকেট বল ব্যাট! এখন দেখি একজ আসছে টেনিস র‌্যাকেট, আরেকজন ব্যাডমিন্টন! ছিলো বাংলাভাষাভাষি গরিষ্ঠ যে আবহমান কাল ধরে এখনো তার ইতিহাস থেকে বঞ্চিত এবং সেই বঞ্চনা যে ঘটেছে বৈদিক, ইসলামি, খ্রিস্টান পতাকা তলেই সে বিষয়ে নিবন্ধ! সেখান থেকে টেনে, টেনে বেশ কিছু কৌতুহলোদ্দিপক টার্ম এবং বয়ান এলো! বাংলাভাষাভাষি গরিষ্ঠ তার অধিকার এবং প্রতিক প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যতবোধক সংগ্রামে অন্য ভাষাভাষি কৌমগুলার সাথে কি আচরন করবে তার একটা নয় কয়েকটা প্রবর্তনা পাওয়া গেল! আমি আশাবাদি: যে নিজের অধিকার বোঝে সে অন্যের অধিকারের প্রতিও শ্রধ্বাবান থাকবে! মার্চ ২৪, রাত ৮:৩০
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: আপনি যখন পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে রাজনৈতিক কথা বলবেন তখন সবার চেহারাই হিসাবে রাখতে হবে। কিন্তু বাঙালি, বাঙলা, বাংলাভাষা বলে-টলে ওইসব জাতিগোষ্ঠীকে বাঙালি সম্প্রদায় আর মনেই রাখতে চাই না।

আমি বলতে চাই যে, মনে রাখাটা রাজনৈতিক ব্যাপারও বটে। বিদায়। 
মার্চ ২৪, রাত ৮:৩০
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: কামরুজ্জামান, আপনি অংশগ্রহন না করলে এদ্দুর আর আসা হ'তোনা! রাজনৈতিক কথার মারপেচে আমরা মনে হয় এখানে কোন কৃত্রিম হিশাব বা নৈর্ব্যাক্তিকতা দেখাই নাই! হারানো চেহারা খোজের চেশটাই ছিলো মুল সুরঃ 'হৃদয়টাকে মগজের হিশাবের বাইরে নেয়াটাই মনে হয় ভাষার ভিতরের ভাবের সংগ্রাম।' অসংখ্য ধন্যবাদ আলোচনায় অংসগ্রহনকারি সবাইকে! শুভকামনা ও বিদায় এ-যাত্রায়!

চয়ন খায়রুল হাবিব: 'হৃদয়টাকে মগজের হিশাবের বাইরে নেয়াটাই মনে হয় ভাষার ভিতরের ভাবের সংগ্রাম।' আমার কথাটাকে মানছি, আবার না-মানছি; কারণ চিকিৎসাবিজ্ঞান রায় দেয়, মগজই ঈশ্বর, ভাবও পয়দা করে মগজ আর অন্যসব শারীরিক তন্ত্র (ফিজিওলজিক্যাল সিস্টেম)। ওকে -- আল-বেদা! 
মার্চ ২৫, ২:৪৪

সুশান্ত কর: 
"তখনকার মূল শ্লোগানই ছিল, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। তাহলে ২৬টা জাতিগোষ্ঠী কী ধরবে?" কামরুজ্জামানদা, দারুণ বলেছেন! মার্চ ২৫, সকাল ৬:১৬
 
সুশান্ত কর: চয়নদাদা, আপনি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাকে সংস্কৃত করে দিয়েছেন কথাটা ঠিক বলেননি। ঊনার জন্যেই আমরা চর্যাকে পেলাম। বাংলা সংস্কৃতের কন্যা এই ধারণা থেকেও মুক্তি পেলাম। এমনিতেও উনি সেই ধারার লোক ছিলেন যারা বাংলাকে সংস্কৃত মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। সুনীতি কুমারও তাই। সংস্কৃত নিয়ে কত ভাবাবেগের জোয়ার তিনি আটকে দিলেন। মার্চ ২৫, সকাল ৬:১৯  
 
কামরুজ্জামান: সুশান্ত কর, সহমত। আপনার লেখার প্রতি আমার এমনই আস্থা যে মনে হয় না-পড়েও লাইক করা যায়।ধন্যবাদ দাদা। মার্চ ২৫, সকাল ৬:১২  
 
**চয়ন খায়রুল হাবিব: চলেশ রিচিল হত্যকান্ডের পরপরই আমি একটা গাথা লিখেছিলাম, যা বন্ধু পিনু সাত্তার পরে সুরারোপ করে! লন্ডনে লিঙ্ক বাংলা প্রতিষ্ঠান এবং সুরমা পত্রিকা গাথা'টা পুরা প্রকাশ করে!পাহাড়ি এলাকায় জিয়ার আমল থেকে যে তান্ডবলিলা তা আমি ৯০ দশকের শুরতেই সরেজমিনে গিয়ে ধরে রেখেছিলাম, বুকলেট আকারে প্রকাশিত, 'চাকমা চিত্রে'! আমার কবিতার এই ট্রিটমেন্ট, নগরায়নের শিকড়ে আদিবাসের পত্তনি খোজার প্রয়াস নিয়ে সামগ্রিকভাবে লিখেছে অনুজ গল্পকার, প্রাবন্ধিক ইমতিয়ার শামিম।বাংলাদেশে তা প্রকাশ না করা হলে সেটা আমার দোষ না। কিন্তু আমাকে '২৬' জাতি'র প্রতি উদাসিন এবং 'বাংলাভাষা বলে-টলে...' মত দেখানোর চেষ্টা দুক্ষজনক এবং একধরনের ভুল পাঠ তৈরির প্রয়াস! মার্চ ২৫, দুপুর ১:৩৪ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @সুশান্ত কর...আমিত ভাই এখানে righteousness দেখাতে লিখি নাই! একদল 'বাংলা ভষার ইসলামিকরন' নিয়ে বললে তেড়ে আসবে! একদল হরপ্রসাদ নিয়ে 'ঠিক বলেন নি' বলবে; এটাত হতেই পারে! আমিত ভাই আর কর, ধর, শিকদার, তরফদার, চৌধুরিদের থেকে আর 'ঠিক বলেন নাই' শুনতে রাজি না! বরং পদবি ছাড়া মুচি, মেথরেরা কি বলছে তা শুনতে চাই! আমার লেখার মুল সুর'টা এড়ায় আপনি যদি হরপ্রসাদ শাস্ত্রি ধরে বসে থাকেন তাহলে পরিতাপ প্রকাশ ছাড়া গত্যন্তর দেখি না! আমি হলে লিখবো, 'আপনা মাংশে হরিনা বৈরি'...নো চন্দ্রবিন্দু, ঈকার বিসিনেস! কিন্তু হরপ্রসাদের চন্দ্রবিন্দু দেখায়ে আপনি আমাকে কাচাকলার সাদ বুঝাবেন, চাদের মায়াবিপনা দেখাবেন সেটা নিতে আমি রাজি না! বৈদিক এবং অনেক পরে ইসলামি বানানের ছড়ি ঘুরায়ে যে নিবিত্তের বাচনিক প্রকাশ'কে কোনঠাসা করা হয়েছে এবং তারই প্রাতিষ্ঠানিক প্রতাপেই পরাজিত আদিবাসিদের হিনবল করা হয়েছে, এটা যদি আমার লেখাতে এবং আলোচনায় আপনি দেখতে না পান, তাহলে হয় আমরা ভিন্ন ভাষাতে কথা বলছি, নয়তো আপনি যে লেন্সের ইশারা দিচ্ছেন তা আমি ইতোমধ্যে পরিত্যাগ করেছি! হরপ্রসাদ যদি 'সংস্কৃত ভাবাবেগ' আটকে দেবার পাইওনিয়ার হতেন, তাহলে রবীন্দ্রনাথ 'বিমসের ব্যাকরন' নিয়ে না লিখে 'বাদানুবাদে' হরপ্রসাদ নিয়েই লিখতেন! সংস্কৃতায়ন বা বৈদিকায়ন কোন 'ভাব' বা 'আবেগ'জাত প্রক্রিয়া নয়; যামন নয় আরবায়ন বা পার্সিকরন! এগুলা বরং স্থানিক নিন্মনবৃত্তিজিবিদের 'ভাবাবেগ' দলনের শাষন কৌশল! ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।মার্চ ২৫, দুপুর ২:১১
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান, ... 'হৃদয়টাকে মগজের হিশাবের বাইরে নেয়াটাই মনে হয় ভাষার ভিতরের ভাবের সংগ্রাম।' আমার কথাটাকে মানছি, আবার না-মানছি...উদ্ধৃত বাক্যটা আমার এবং আলোচনার পেছন দিকে ফিরে গেলে দেখবেন, আপনি তাতে 'সহমত' বলেছিলেন! 'আপনার লেখার প্রতি আমার এমনই আস্থা যে মনে হয় না-পড়েও লাইক করা যায়!' মগজ ও হৃদয়ের ভারসাম্য আমরা আসলে প্রায়ই টলায়ে দেই! টলানোটাই মানবিক সংগ্রাম! তা নাইলে আমরা একরৈখিক জেব্রা বা বাঘের জিবনই যাপন করতাম! ভাল থাকুন। মার্চ ২৫, দুপুর ২:২০
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @সুশান্ত কর...রবীন্দ্রনাথ: বংগভাষা: 'প্রাকৃত ভাষার সহিত বাংলার জন্মগত যোগ আছে সে-সম্বন্ধে দীনেশচন্দ্রবাবু ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল এবং ডাক্তার হ্যর্নলের সহিত একমত।'

হ্যর্নলে সাহেব প্রমাণ করিয়াছেন, প্রাচীন ভারতবর্ষে কথিত প্রাকৃত ভাষা দুই প্রধান শাখায় বিভক্ত ছিল। শৌরসেনী ও মাগধী। মহারাষ্ট্রী লিখিত ভাষা ছিল মাত্র এবং প্রাকৃত ভাষা ভারতবর্ষীয় অনার্যদের মুখে বিকৃতিপ্রাপ্ত হইয়া যে-ভাষায় পরিণত হইয়াছিল তাহার নাম ছিল পৈশাচী।

প্রাচীন ব্যাকরণকারগণ যে-সকল ভাষাকে অপভ্রংশ ভাষা বলিতেন তাহাদের নাম এই আভীরী (সিন্ধি, মাড়োয়ারি), আবন্তী (পূর্ব-রাজপুতানি), গৌর্জরী (গুজরাটি), বাহ্লিকা (পঞ্জাবি), শৌরসেনী (পাশ্চাত্য হিন্দী), মাগধী অথবা প্রাচ্যা (প্রাচ্য হিন্দি), ওড্রী (উড়িয়া), গৌড়ী (বাংলা), দাক্ষিণাত্যা অথবা বৈদর্ভিকা (মারাঠি) এবং সৈপ্পলী (নেপালী?)।' এখন এই 'বিকৃতি' কিসের তুলনাতে 'বিকৃতি'? কারা স্থানিক ভাষাকে বলছে, 'পৈশাচি'? 'প্রাচীন ব্যাকরণকারগন' বলতে রবীন্দ্রনাথ কাদের প্রতি ইঙ্গিত করছেন? বৈদিকায়নের জড়মুল ঊপড়ানোর আয়োজনের পাইওনিয়ার অবস্যই রবীন্দ্রনাথ! চর্যা হরপ্রসাদ না হলেও অন্য কারো থেকে আমরা পেতাম!কার থেকে পেলামের পাশাপাশি, কিভাবে পেলাম ও কোন উদ্যেশ্যে তা পরিবেশন করা হ'লো তাও আমাদের জিজ্ঞ্বাস্য হতেই পারে! 
মার্চ ২৫, দুপুর ২:৪৬
 
সুশান্ত কর: আপনার লেখার মূল সুরেরতো আমি বিরোধীতা করিনি। কিছু তথ্যগত বিভ্রাট নিয়ে বলতেই এতো উষ্মা! মার্চ ২৫, দুপুর ২:৫৩ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: রবীন্দ্রনাথ যে শুধু বৈদিকায়ন নিয়েই বলেছিলেন তা নয়, আরবায়ন/পার্সিকরন নিয়েও বলেছিলেন: 'বাদানুবাদ': হসন্ত সম্বন্ধে পাগল্‌-পাগলা, আপন-আপ্‌নি ইত্যাদি নিয়মেরও ব্যতিক্রম আছে; যথা দরদ্‌-দরদী, এ কথাটা পারসী কিন্তু হজম্‌-হজ্‌মিও পারসী। তার পর 'দরদী' কথাটা ত আর পারসী নয়—ওটা যখন বাংলা তখন বাংলার নিয়মে এর উচ্চারণ হওয়া উচিত ছিল!' এখন রবীন্দ্রনাথ উচ্চারন নিয়ে প্রশ্ন তুল্লেও, বানান নিয়ে প্রশ্নগুলাতে যে র‌্যাডিকাল ছিলেন না, তার প্রমান তার নিজের নামের বানান! আহমদ শরীফরাও এই প্রবর্তনা থেকে মুক্ত হতে পারেন নাই! @সুশান্ত কর... হ'লোই না হয়, 'উস্মা'! আমি কিন্তু তথ্য দিতে চাই নাই, আমি চেয়েছি বলতে যে আমি এভাবে দেখি এবং যাদের কথা একাডেমির হাত ধরে আমার কানে আসে নাই, তাদের কথা শুনতে চাই! ক্ষুব্ধতা থেকেই লিখেছি, তবে তা সঙ্খুব্ধ্বতা নয়!হরপ্রসাদের চর্যা পরিবেশন'কে আমি উদ্দেস্য প্রনোদিত মনে করি! বদুদ্দেশ্য বলে মনে করি না! তবে কথিত 'জাগরনে'র ধারাতে যে পিউরিটান প্রবর্তনাগুলা এসেছিল, হরপ্রসাদ তা থেকে মুক্ত ছিলেন বলে কোন প্রমান আমরা পাই নাই! ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন। মার্চ ২৫, দুপুর ৩:১১
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: ''আমিত ভাই আর কর, ধর, শিকদার, তরফদার, চৌধুরিদের থেকে আর 'ঠিক বলেন নাই' শুনতে ...রাজি না! বরং পদবি ছাড়া মুচি, মেথরেরা কি বলছে তা শুনতে চাই!'' 
 
কারও পদবি নিয়ে এভাবে কটাক্ষ করা কি ঠিক হচ্ছে? কারণ কেউ তো জন্মের পূর্বে চেহারা বা পদবির দাবি আদায়পূর্বক ব্রহ্মাণ্ডে আসেন না। কাজেই চেহারা, পদবি বা জন্মগত বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে ক্ষমতা দেখানোরও কিছু নেই। আপনি যাদের কথা বলছেন, মুচি, মেথর -- এদের প্রত্যেকেরই পদবি আছে। সনাতন হিন্দুধর্মে সনাতনবিহীন মানুষ নেই। মুচি, মেথর ইত্যাদি যার-তার পেশা।
 
আপনার প্রদত্ত ভাষাবিষয়ক ইতিবৃত্ত আহমদ শরীফ মারফত আমরা কিন্তু জানিই। কথাক্রমে বলছি, চামার সম্প্রদায় নিয়ে একটা গল্প লিখতে গিয়ে হোমওয়ার্ক করার ফলে তাদের অহঙ্কারও আমি দেখেছি। এদের ভিতর সম্প্রদায়গত একটা মিথ আছে, যেখানে তারা দাবি করে যে তারাই সংস্কৃতির মৌলতার দাবিদার। শুধু স্বর্গে তাদের প্রতিনিধি তাদের নিজস্ব ওই দেবতার বানী না-শোনার দরুন তাদেরকে চামার সম্প্রদায়ের লানত ভোগ করতে হচ্ছে।

কথা হচ্ছে, মানুষ সারাজীবনই তাদের স্ব স্ব অহঙ্কারকে লালন করেন। কাজেই মুচি-কামার-মেথর বলেই তাদের কোনো পদবি বা অহঙ্কার নেই তা সঠিক নয়। 
মার্চ ২৫, দুপুর ৩:১৩
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: 'চামার সম্প্রদায় নিয়ে একটা গল্প'...নাম কি? মার্চ ২৫, দুপুর ৩:১৪
 
সুশান্ত কর: তার মানে আপনি আমাদের মত শুনতে চান না? ঠিক আছে। ভালো থাকুন। আচ্ছা, আপনি কি হুমায়ুন আজাদের দু'খন্ডে বিশাল সংকলন 'বাংলা ভাষা' দেখেছেন? মার্চ ২৫, দুপুর ৩:১৬ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: সনাতন হিন্দুধর্মে সনাতনবিহীন মানুষ নেই। মুচি, মেথর ইত্যাদি যার-তার পেশা।
 
সংশোধনী : সনাতনবিহীন এর স্থলে পদবীবিহীন হবে। মার্চ ২৫, দুপুর ৩:১৮
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: গল্পটির নাম : যেভাবে তার বদল ঘটতে থাকে। এটি সম্ভবত কোরাস নামের সাহিত্যকাগজে ছাপা হয়েছিল -- গ্রন্থে এখনও যায়নি। মার্চ ২৫, দুপুর ৩:২২
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: @কামরুজ্জামান, কিন্তু ঐ 'পদবি'ত বৌদ্ধিকতায় থাকলেও তার প্রয়োগে মাত্রাগত দুস্তর ফারাক এসে গিয়েছিল কিম্বা প্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছিলো যা বল্লাল সেনি কৌলিন্য প্রথায় ফিরায়ে আনা হয়!এই 'সনাতন' আর 'আরবায়ন' থেকে সরে বৌদ্ধিকতার বিনাশকে আমাদের কি আরো একটু বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার না? যদিও সেটাও আর্যায়ন! কিন্তু সামাজিক অনুশিলনে অনেক বেশি সাম্যবাদি। এবার একটু গেরস্থালি! লাম্বাগোর যন্ত্রনা! আজকে ফিজিওথেরাপির শুরু! সাইকেল চালানোতে না ফিরতে পারলে আমার কায়াসাধনা সুদুর অস্ত! ভাল থাকুন। মার্চ ২৫, দুপুর ৩:৩৫
  
চয়ন খায়রুল হাবিব: @সুশান্ত কর, 'তার মানে আপনি আমাদের মত শুনতে চান না? ঠিক আছে। ভালো থাকুন।' এটাত আপনার 'উস্মা' হয়ে গেলো! কাটাকাটিতে সমানে সমান তাহলে! কিন্তু সেরকম মনে হলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থি! আপনার মন্তব্য বিশদে অবস্যই শুনতে চাই! 'আমাদের'টা কারা? যত বেশি আমরা পারস্পরিকভাবে বলবো, শুনবো তত বেশি করেই কি ভুল বোঝাবোঝিগুলা নিস্ক্রান্ত হবে না? মার্চ ২৫, দুপুর ৩:৪৬ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: ...একটা বিষয় হচ্ছে, প্রায়োগিক সত্য আর তৃষিত সত্য তো এক হয় না। পদবি, মুসলমান, হিন্দু, অমুক তমুককে মানষিকভাবে বিদায় করলেও বাস্তব তো বহুত ঝামেলার। যার ফলে এসবকে না মেনে উপায় নেই।... ওরে বাব্বা, লাম্বাগোর যন্ত্রণার? তাহলে আপনার বারোটা বেজে যাবে -- টেক কেয়ার। মার্চ ২৫, বিকাল ৫:৪৮
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: ...যাদের ইতিহাস নাই, তারা মিথ নির্ভর হয় সামাজিক-রাজনৈতিক বড় ক্যানভাসের অংসিদার হতে! এটা জাত্যাভিমান না হয়ে বরং জাত্যাভিমানি-কুমিরের গ্রাসি দাতের ফোকর গলে বেরোনোর প্রয়াস! মজার যে চিড়িয়াখানাগুলাতে পালা কুমিরদের জন্য বিভিন্ন জাতের জ্যান্ত খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়! 'কুম্ভির শাহের মাজার'...সেওত মিথ! ভাল থাকুন! মার্চ ২৬, বিকাল ৪:৪৩ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: 'যাদের ইতিহাস নাই, তারা মিথ নির্ভর হয় সামাজিক-রাজনৈতিক বড় ক্যানভাসের অংসিদার হতে!' একদম সত্যি কথা! মার্চ ২৬, বিকাল ৫:৫৫  
 
মাতিয়ার রাফায়েল: বহু জাতির একটা দেশে জাতীয় ভাষার বিষয়টাই তো ফ্যাসিবাদী একটা ব্যাপার। যাহোক, @ কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, আমার মতামতটি তবু আপনার মধ্যে এইটুকুর বোধোদয় হলো। যে কোনো প্রকৃত বুঝবান চিন্তাশীলের এটা হবেই। কথায় কথায় কোনো শ্লোগান্দধরা মিনসের এটা কখনোই হওয়ার নয়। এই গত দুদিন আগেও বাংলাদেশে এসে এক আলোচনাসভায় সুনীল গংগোপাধ্যায় বললেন, 'দুই বাংলা এক থাকলে বাংলা সাহিত্যেরই উন্নতি হতো'। আবার কবি আল মাহমুদ আরেক জায়গায় বলেছেন, বাংলা ভাগ না হলে এদেশের অনেক কবি-সাহিত্যিকের গোয়ালঘরেও ঠাঁই হতো না।' কিছুদিন আগে এটর্নি জেনারেল মাহবুব আলমও বলেছেন, 'এদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশকে ভারত চলে যেতে না হতো তা হলে এদেশের সাহিত্যের অনেক উপকার হতো।' তাহলে দেখা যাচ্ছে এখানে 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই', ভাষার উন্নতির জন্য এই শ্লোগান বড় কোনো ফ্যাক্টর না। পৃথিবীর সব উন্নত ভাষার সাহিত্যই রাষ্ট্রভাষার অন্তর্গত নয়। আবার রাষ্ট্রভাষার বদৌলতেই কোনো সাহিত্য বিশ্বমানে উন্নত এমন কোনো নজীরও নেই। হিন্দি সাহিত্যের কথাই ধরুন। ওখানে তো বাংলা, তেলেগু, মালায়লম প্রভৃতি ভাষার সাহিত্য হিন্দির চাইতে উন্নত। আর একটা কথা, মুখের ভাষা কাইরা নেয়া কি এতোই সহজ? তর্কের খাতিরে ধরেন মাইনা নিলাম উর্দু ভাষা-ই তখন রাষ্ট্রভাষা হইয়া গেল। তাতে কি মুখের ভাষা বাংলাই কেড়ে নেয়া হতো, পাঞ্জাবী, বেলুচ, পস্তু, সিন্ধি, ফারসি, চাকমা, মারমা প্রভৃতি ঐসকল ভাষাও কি কেড়ে নেয়া হতো না? নাকি আদৌ কেড়ে নেয়া হতো? আপনি তো এখানে ঐ স্লোগানের কাতারে নেমে গিয়ে আপনার ঐ ইউটোপিয়ান 'আবেগ'-এর-ই এক্সপোজ করলেন! এটা তো কোনো প্রকৃ্ত 'বুদ্ধিজীবীর আবেগ' নয়! আর যেখানে 'যাদের' কথাটি থাকে, এখানে 'ইতিহাস' থাকে না, শুধু 'মিথ'-নির্ভরতা থাকে এটা-ই বা কোন সময়ের প্রবচন? মার্চ ২৭, দুপুর ১:০২ 
 
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর: @মাতিয়ার রাফায়েল, মুখের ভাষা কাইড়া নেয়া অত সহজ নয়, তা মানলাম; কিন্তু ভাষার বিকাশ কি তখন সেইভাবে হবে। মানে আমি বলতে চাইছি, ভাষার বিকাশের জন্য সেই ভাষার চর্চা প্রয়োজন; রাষ্ট্রভাষা উর্দু হলে সেই বিকাশটা হত না। এবং পাকিস্তানি শুয়োরের বাচ্চারা তাই চেয়েছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কার্যকর ইতিবাচক ভূমিকা বিষয়ে আপনার সাথে আমার মিনিমাম কম্প্রোমাইজ হবে না। সোজা কথা আপনি বাংলা ভাষার উপর প্রশাসনিক আগ্রাসনকে কিছুই মনে করছেন না? 
 
আমাদের দেশে যেভাবে ভাষার এক নির্দিষ্ট ধারায় চর্চা হয়, তাতে একাডেমিক পর্যায়ে এর চর্চা না হলে বাংলাটা শিখবে কোত্থেকে? এই দেশে বাংলাভাষা ব্যতীত অন্য ভাষার চর্চা হচ্ছে কি?
 
আর মিথ/ইতিহাস ইত্যাদি চয়নের কোটেশন -- আমি এর সাথে সহমত প্রকাশ করেছি। মার্চ ২৭, দুপুর ১:০৪
 
মাতিয়ার রাফায়েল: উর্দুভাষাটা তো সমগ্র পাকিস্তানেই মাত্র পাঁচ শতাংশ লোকের এবং বিশেষ একটা শ্রেণির ভাষা ছিল, যেখানে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগই ছিল না। এরকম একটি যে ভাষার সাথে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ-ই থাকে না সে ভাষা কী করে রাষ্ট্রভাষা হয়ে উঠতে পারে? আর ওটা তো শত চাইলেও রাষ্ট্রভাষা করে তোলা সম্ভব হতো না। কথায় বলে 'পাছা দিয়া পাহাড় ঠেলা।' সেরকম। 'পাকিস্তানি শুয়োরের বাচ্চারা... তাই... চেয়েছিল', আর রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নটির জবাব এসেছিল মুহূর্তমাত্র ভাবনার মধ্য দিয়ে। যাতে জিন্না কেন কারো বাপেরই সাধ্যি নাই, ঐ পরিস্থিতিতে তদনগদ একটা জবাব খাড়া করা। এটা অনেক সমালোচকেরও মত। কাজেই 'তাই চেয়েছিল', এরকম চিন্তার ফ্রেম ঐ মুহূর্ত সময়ের মধ্যেই খাড়া যদি কোনো রাজনীতিকের পক্ষে সম্ভব হয়, তা হলে মানতেই হয় তার মতো বড় রাজনীতিবিৎ ভূবিশ্বে পাওয়া বিরল। এতো বড় রাজনীতিক তো চাইলেই ভারতবর্ষেরই প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হইতে পারিতেন। কংগ্রেসের গর্ভে জন্ম নেয়া রাজনীতিবিৎ কেন উগ্র সাম্প্রদায়িক 'মুসলিম লীগ'-এর ডাক কবুল করতে গেলেন, অপেক্ষাকৃ্ত ছোট ভূখণ্ডের অধিপতি হতে? আর যাদের জন্মই কিনা 'মুস্লিম লীগ'-এর অন্ধকার জরায়ুতে তারাই হয়ে গেল অধিক প্রগতিশীল? তারপরও ইতিহাস চরম ঠাট্টায় আকাশ-ফাটানো অট্টহাসি করে না! হায়রে কামরুজ্জামান জাহাংগীর, বাংলা কি চর্যা যুগেও ইনডিজিনাস-এর ভাষা ছিল! ব্রিটিশ কালেও তো একাডেমিক চর্চা হতো। তখন তো বাংলা কোনো রাষ্ট্রভাষা ছিল না! তখন যে মানের সাহিত্য হয়েছে, কই এখন সেটা কোথায়? খালি তো এ ওরটা চুরি করে আবার সিনা জুরি করে! তার মানে যেহেতু বাংলা এখন রাষ্ট্রভাষা সেহেতু যে যারটা চুরি, ছিনতাই করতেই পারে। ভাল কথা। তাই বলে সেটা স্বীকার করতে হবে না! বলেন তো বৃটিশ তো কোন ছাড় যাদের স্কন্ধ সওয়াড় হয়ে পাকিস্তান বানাইলেন সেই সময়ের তুলনায় সত্তুর দেখেন, আশি দেখেন...এখন তো আরও বেশি রাষ্ট্রভাষা! নোবেল পাওয়ার মতো আর কোনো কবি-সাহিত্যিক হবে বলে মনে হয়? আর একটা কথা, আমি এখানে ইতিহাসের কারো পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার এজেন্সি লই নাই। আমি আমার মত-ই ব্যক্ত করছি মাত্র। মনে রাখবেন আমরা যেভাবে সিন্ধু, বেলুচ প্রভৃতিবাসীদের (পাকিস্তান শব্দটি বলে, এর উপর কোনো সাংস্কৃতিক জাতি হতে পারে, এটা আমি মনে করি না। এর জন্য অন্তত পাঁচ শতাব্দী প্রয়োজন। ততদিনে ওই 'পাকিস্তান' আবার ভারতের নদীতে মিশে যাবে, এই বাস্তবতা আর বেশি দূরে নয়।) প্রতি বিদ্বিষ্ট, তেমনি সাত চল্লিশের মূল পাটাতনের প্রতিষ্ঠাতা (নাটের গুরু) হিসেবে আমাদের প্রতিও কারও ক্ষোভ, বিদ্বেষ না থাকাটাই অস্বাভাবিক। আসুন আমরা সবাই সবাইর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার মঞ্চ তৈরি করি এবং এর জন্য জোর দাবী উঠাই। আর যেন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে না চাপাই। মার্চ ২৭, দুপুর ৩:৫৯
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: কামরুজ্জামান, মাতিয়ার...আমার হিশাবে পাকিস্তান আমলটার সাথে রাজনৈতিক সদাচারের সমিকরন মিলে না! কেউ জোর করে তা মিলাতে চাইলে সেটা তার ব্যাপার!একটা অসদাচারকে নিরন্তর এটা সেটা বলে জায়েজ করতে থাকলে, সেই জায়েজের স্তর'টা আসলে একটা বড় ধরনের কদাচার! এখানে citizen আর subject-এর বৈষম্যটাও চলে আসে!১৯৭১ এর পর বাঙ্গালি যখন বাংলাভাষি শাষক পেলো, তখন থেকেই তার সংগ্রামের স্তর হবার কথা রাস্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক কি হবে সেই মৌলিক অধিকারগত দরকষাকষির স্তর! এখন এই স্তরে সে যদি নিজের জন্য অধিকারগত স্বায়ত্বশাষন দাবি করে বা পায়; তাহলে তার আরেকটা সহজাত দায় হচ্ছে অন্য ভাষাভাষির মৌলিক অধিকারগত স্বায়ত্বশাষনের সংগ্রামে শরিক হওয়া! তার মধ্যে প্রথমেই অন্যের সহজাত আদি প্রতিক বা ভাষা চলে আসছে!আদিবাসিদের সাথে এখানে জেনেভা ক্যাম্পের বিহারিদের প্রসংগও চলে আসে!প্রসংগ, অনুষংগ অনেক চলে আসতে পারে! কিন্তু রাস্ট্রের কাঠামোটাকেইত করে ফেলা হচ্ছে citizen আর state-এর মধ্যে দ্বন্দমান, সেতুবন্ধন নয়! মার্চ ২৭, রাত ৭:৫৯ 
 
চয়ন খায়রুল হাবিব: কামরুজ্জামান...শুরুতে আপনি, 'প্রগতিশিল নৈরাজ্য'র কথা বলেছিলেন! গোষ্ঠিস্বার্থের যে সামরিক শাষন; তার উপর গনভিত্তিক দলগুলাকে শাষানির মুখে সেই একই স্বার্থের যে স্টিম রোলারে দুরমুজ করা হয় সেখানে কিন্তু নৈরাজ্যের কোন কাঠামোগত ভিত্তি থাকে না! একটা দোদুল্যমানতা, একটা আশঙ্কা এই অবস্থাতে আন্তরিক একজনকেও অর্থডক্সির স্মরনাপন্ন করে! মানে ৭২ এর সংবিধানে কতবার স্খলন ঘটানো হয়েছে! এখন একজন প্রশ্ন করতেই পারে, কে ঘটায়েছে? সমস্ত স্খলন পার হয়ে আমরা পাহাড়ি অঞ্চলে একটা 'শান্তিচুক্তি' পেলাম! এখন এখানেও কিন্তু সেই citizen আর state-এর ভিতর একটা সম্পর্ক কাঠামো তৈরি হচ্ছে!একজন সন্তু লারমাকে শ্রধ্বা করতে করতেই কিন্তু আপামর বাংলাভাষি বুঝতো যে state আর citizen এর সম্পর্ক চুক্তিভিত্তিক! এখন সেটা অর্জিত না আরোপিত চুক্তি তাও দেখার ব্যাপার!৭২ সংবিধান, আদিবাসিদের সাথে 'শান্তিচুক্তি' আমি এ-অর্থে অর্জিত বলতে চাই যে এগুলা সদাচারের সমিকরন'কে বিস্তৃত করে এবং ভাষার ভিতরের পেলবতাকেও বহুমুখি করে! চুক্তি মাত্রেই আবার উপসংহারমুলক নয়!চুক্তি যেখানে, যেখানে নবায়িত করতে হয় সেই জায়গাগুলাতেই 'নৈরজ্য' বা উদ্ভাবনার স্কোপ দরকার!কিন্তু অর্জনগুলা ব্যাহত করার তোড়জ়োড়ই বলে দেয় আমাদের উদ্ভাবনামুলক নৈরাজ্যে অনেক পক্ষ্যই শঙ্কিত ! ধন্যবাদ। মার্চ ২৭, রাত ৮:২৫