ওনারা মোটামোটি দয়ালু।কিন্তু কিছু পড়েন না।ওহ, হুমায়ুন আহমেদ ওনাদের দয়াতে....!তার ওপরে নাটকের, আবৃতির লোকজন আরো বেশি দয়ালু এবং বৈবাহিক সম্পর্কে মৌলভি, পাদ্রি, পুরোহিতের কাছে কিরা কাটা কসমের শর্তগুলা ওভারডৌসে পুরন করে,'আমার মাদি আমার, আমার মর্দ আমার রাস্ট্রের কি বলার আছে' জপতে থাকেন অবিরাম অফলাইন, অনলাইন।তারপর মাদি ও মর্দ মিলে ঢাকা, কোলকাতা, বিলাত, প্যারিস, কানাডাতে সংগঠন বানায়ে ফেলেন এবং আমাদেরকে বাধ্যতামুলকভাবে মনে করিয়ে দেন যে চর্চার প্রথম শব্দ 'চর'!এবং কিছু অনুসারি জুটায়ে চর দখলে মেতে ওঠা সুন্নত।
ইদানিং শুনলাম,
কানাডার টরান্টো শহরে পঞ্চাশ হাজার বাংগালির ভেতর যে ১,০০০ শিল্প,
সংস্কৃতির চর দখলি কাজ করেন, তাদের চারটি সংগঠন একই দিনে চারটা অনুষ্ঠানের
ঘোষনা দিয়েছিল।মানে, ফুদ্দি দাড়ির, প্রায় গোড়ালি অব্দি পাঞ্জাবি পরা আসাদ
চৌ কে কত বেশি পান খাওয়াবে তার দৌড়াদৌড়ি, চুনের বোটা হাতে কিছু মোটা লোকের
ছবি দেখলাম এ বাবদে।আরো দয়ালু এবং আদর্শ দম্পতিদের পাওয়া যাবে বিলাতের
সংস্কৃতিবান বাংগালি সমাজে।যাক, সেটা আমার আপন মেয়ের দেশ, সংস্কৃতিবান
বাংগালি দম্পতিগন ওখানে করে খেয়ে হিল্লা করুক।
বিলাতের উত্তর দিককার হুমায়ুন আহমেদ অভিজ্ঞ কিছু বাংগালির কাছে শুনেছিলাম ইটালির বাংগালি ডায়াস্পোরা না কি সঙ্খ্যায় বড় হলেও গুনগতভাবে পিছিয়ে, অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের ডায়াস্পোরার মত।বিবিসি, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, পুর্ব লন্ডন, উত্তর ইংল্যান্ডের বাংগালি সমাজ ইত্যাদি ঢুরে আমার মনে হয়েছিল, খেটে খাওয়া বাংগালির আসলে মৌসুমি ভৌমিক দেখানো নাক উচু স্নবের কাছ থেকে হুমায়ুন আহমেদের ঝাল খাবার কোন দরকার নাই।হুমায়ুন আহমেদ দেখিয়ে উত্তর ইংল্যান্ড বা কানাডার ঠান্ডাতে পানদানি সাজিয়ে সংস্কৃতি সেবা করবো আর অং সান সুচি কত ভাল ছিল, ডেভিড বার্গম্যানের বাংগালির হিতাহিতের জন্য কত দরদ, এসব বলে হে ফেস্টিভালের ভোল পালটানো ঢাকা লিটে গিয়ে ৭১ দেখিয়ে দোকানদারি করবো।
মৌসুমি ভৌমিক আসলে কি করে?কবির সুমন যা করে তাই করে!তাহলে কবির সুমন আসলে কি করে?বিবিসি বাংলা, ডয়েচ ভেলের বাংগালি কর্মিরা যা করে তাই করে!বিবিসি বাংলা, ডয়েচ ভেলের বাঙালি কর্মিরা তাহলে কি করে?তারা শহীদ কাদরীর প্রথম স্ত্রি পিয়ারির মত করে!পিয়ারি কি করে?পিয়ারি বলে আমার সুমন, কাদরীর চেয়ে বড় কবি!কিভাবে?আমার সুমন ডয়েচভেলে চাকরি পেয়েছে, কাদরী কি পেয়েছে?না, তা পায় নাই।তাইলে?যেহেতু আমিও ডয়েচ ভেলে চাকুরি পেয়েছি, আমিও কাদরীর চেয়ে বড় কবি, আমাকেও বাংলা একাডেমি দিতে হবে!পুরা বাংলা একাডেমি?হ, পুরা বাংলা একাডেমি!
'আসেন, লোকমা তুলে খাওয়ায় দিচ্ছি', বলে, চর দখলিরা পিয়ারি, সুমন, মৌসুমিদের আকাশবানিগুলোর মাথায় হাত বুলাতে থাকে, ওরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আরো আকাশবানি লিখতে থাকে, প্রজন্ম ৭১ ওদেরকে সম্বর্ধনা দিতে থাকে, কচিকাচা/মুকুল ফৌজ/লেখক শিবির থেকে ওদের বাসায় বাধা কাজের, ছুটা কাজের ঝি, চাকর সাপ্লাই হতে থাকে।এর মধ্যে দরকার নাই তবুও সাবিনা ইয়াসমিন জুটে গিয়ে বলে, পিয়ারি আপা আমাকেও একটু ডয়েচভেল দেন, আমিও আসাদ চৌকে পান খাওয়াবো।শহীদ কাদরী লজ্জায় আক্ষরিকভাবে কবরের মাটিতে মিশে যেতে থাকে। গৌতম চক্রবর্তিও লজ্জায় আক্ষরিকভাবে শ্মশানচিতায় জ্বলেপুড়ে যেতে থাকে!
চয়ন খায়রুল হাবিব
১৬/১০/১৭
ব্রিটানি
বিলাতের উত্তর দিককার হুমায়ুন আহমেদ অভিজ্ঞ কিছু বাংগালির কাছে শুনেছিলাম ইটালির বাংগালি ডায়াস্পোরা না কি সঙ্খ্যায় বড় হলেও গুনগতভাবে পিছিয়ে, অনেকটা মধ্যপ্রাচ্যের ডায়াস্পোরার মত।বিবিসি, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, পুর্ব লন্ডন, উত্তর ইংল্যান্ডের বাংগালি সমাজ ইত্যাদি ঢুরে আমার মনে হয়েছিল, খেটে খাওয়া বাংগালির আসলে মৌসুমি ভৌমিক দেখানো নাক উচু স্নবের কাছ থেকে হুমায়ুন আহমেদের ঝাল খাবার কোন দরকার নাই।হুমায়ুন আহমেদ দেখিয়ে উত্তর ইংল্যান্ড বা কানাডার ঠান্ডাতে পানদানি সাজিয়ে সংস্কৃতি সেবা করবো আর অং সান সুচি কত ভাল ছিল, ডেভিড বার্গম্যানের বাংগালির হিতাহিতের জন্য কত দরদ, এসব বলে হে ফেস্টিভালের ভোল পালটানো ঢাকা লিটে গিয়ে ৭১ দেখিয়ে দোকানদারি করবো।
মৌসুমি ভৌমিক আসলে কি করে?কবির সুমন যা করে তাই করে!তাহলে কবির সুমন আসলে কি করে?বিবিসি বাংলা, ডয়েচ ভেলের বাংগালি কর্মিরা যা করে তাই করে!বিবিসি বাংলা, ডয়েচ ভেলের বাঙালি কর্মিরা তাহলে কি করে?তারা শহীদ কাদরীর প্রথম স্ত্রি পিয়ারির মত করে!পিয়ারি কি করে?পিয়ারি বলে আমার সুমন, কাদরীর চেয়ে বড় কবি!কিভাবে?আমার সুমন ডয়েচভেলে চাকরি পেয়েছে, কাদরী কি পেয়েছে?না, তা পায় নাই।তাইলে?যেহেতু আমিও ডয়েচ ভেলে চাকুরি পেয়েছি, আমিও কাদরীর চেয়ে বড় কবি, আমাকেও বাংলা একাডেমি দিতে হবে!পুরা বাংলা একাডেমি?হ, পুরা বাংলা একাডেমি!
'আসেন, লোকমা তুলে খাওয়ায় দিচ্ছি', বলে, চর দখলিরা পিয়ারি, সুমন, মৌসুমিদের আকাশবানিগুলোর মাথায় হাত বুলাতে থাকে, ওরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আরো আকাশবানি লিখতে থাকে, প্রজন্ম ৭১ ওদেরকে সম্বর্ধনা দিতে থাকে, কচিকাচা/মুকুল ফৌজ/লেখক শিবির থেকে ওদের বাসায় বাধা কাজের, ছুটা কাজের ঝি, চাকর সাপ্লাই হতে থাকে।এর মধ্যে দরকার নাই তবুও সাবিনা ইয়াসমিন জুটে গিয়ে বলে, পিয়ারি আপা আমাকেও একটু ডয়েচভেল দেন, আমিও আসাদ চৌকে পান খাওয়াবো।শহীদ কাদরী লজ্জায় আক্ষরিকভাবে কবরের মাটিতে মিশে যেতে থাকে। গৌতম চক্রবর্তিও লজ্জায় আক্ষরিকভাবে শ্মশানচিতায় জ্বলেপুড়ে যেতে থাকে!
চয়ন খায়রুল হাবিব
১৬/১০/১৭
ব্রিটানি