Sunday 28 September 2008

পোকি সিরিজ





রাজহাসের কিমাঃ

পোকিযন্ত্রগুলোর নতুন নাম দিতে দিতে
শশাদের বিজে ছড়ালি কাকাতুয়াদের ভোর

কাকাতুয়ারা কেবল শশাতে থাকতে চায়
কারন শশাতে প্রচুর পানি
এবং পানির অপর নাম শব্দের সৈন্ধব লবন

কাজ ফেরতা জিন্স খুলে
প্যন্টি ব্রা ফতুয়া মেঝেতে ছুড়ে ফেললি
বুকের দুই বিল্লিছানাকে আদর করতে করতে
বুকের নাম কি হবে - স্তন, কুচ, মাই
নাকি শুধুই দুধের কেজো ভান্ড
এ-নিয়ে সুতন্বি, সোলায়মানি, অভ্রে তুমুল লঙ্কাকান্ড

তুল্কালাম মেটাতে পাঠালাম চাইকোভস্কির রাজহাস
পালক ছাড়িয়ে বললি ঃ
আমরাই চাক্কু চাপাট আমরাই রাজহাসের কিমা
নুন আছে পান্তাও শুধু নাই জিবনের বিমা

বৈশ্নবিঃ

ফুলাইয়া ফাপাইয়া কাপাইয়া কাপাইয়া
আমার খুলিতে তুই এখন নাচনদারের ঢুলি
কিন্তু পোকি তাহার কে সেই বা আমার কে

বিতর্ক উস্কে উস্কে পোকিযন্ত্র সুস্পষ্ট করতে
সেভ করলি বয়োঃসন্ধির যোনিকেশ
শ্যমসুন্দর বৈষ্ণবের ধুনে বৈষ্ণবি শেফালিদের সমাবেশ

শ্যম কালুয়ার চোলুয়াতে ভিজে আমরা বল্লামঃ
যাহা যৌনতা তাহাই পরমাত্মা

বেহুলার নির্বন্ধ ভাঙ্গে ২০০৮এর যাদুই-বাস্তবতা

গাছপাকাঃ

এটা কিভাবে সম্ভব হ’লো
সংগমচুড়ায় উঠে এলো রাস্ট্রবিজ্ঞানের পাকা পাকা কুল বরুই
কিভাবে বরুইগুলোর টোল পড়া লালচে চামড়ায়
ফাশদড়ি পরালো সুন্দরবনি বাঘের লবন কাটা দাত
অল্প একটু কামড়ে অল্প একটু ছাল ছাড়িয়ে
বরুইয়ের পেষা বারুদে অল্প একটু লবন মাখিয়ে
বালক বালিকাদের স্কুলে স্কুলে
কুল আর ফুল বরুইদের সঅদা ঠেলে
সপ্তগ্রামে পোকি চেচালোঃ ক্লাইমেক্স
রাস্ট্রবিজ্ঞানের আওতার বাইরে ন্যয্যমুল্যের গাছপাকা সেক্স

চাদমারিঃ

পুর্নিমায় না হেসে
পোকি বাসা বাধে মিরপুরের বোটানিক্যাল বাগানে
শ্যমলা রাজকুমারি গোলাপের সাথে
লাল বস্রাই শঙ্করে পোকি’র কোমরে এক নতুন রুবাই
সাকির নাপাকি বির্জ মুখে ঢেলে
পোকি চলে পুলিশ লাইনে রাজারবাগের আস্তাবলে
ঘোড়াগুলো চাদগন্ধে চ চ চাদপাগল
ঘোড়ালিঙ্গে ভর করে পোকি পুরোপুরি ল্যংটা
কিন্তু চাদের মেয়েলিপনাকে বললি বাই বাই টা টা

মাহোনির মাংগলিকঃ

শালিখেরা খয়েরি হতে হতে মাটি পোড়ানো উনুনের আচে
আর পোকি’দের ওড়বার বাসনাকে কখনো দাহ

কখনো কাফনে জড়িয়েছিলি

এটা লাশের সাথে উল্লাসের পচনের সাথে পাচনের
ডানার সাথে অডানার বিপরিত সহবাসের প্রতিক

শামুকে গড়াতে গড়াতে বালু তাতানো সৈকতের পিশাচে
কামনাকে কামারের নেহাইয়ে শাখারির করাতে

এটা আনাইস নিনের সাথে আঙ্গুরের
গাজনের সাথে পাতনের আপতিক মাহোনির মাংগলিক

কিসিং গোরামিঃ

কবিতাটা আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম

কিসিং গোরামি খুব অদ্ভুত মাছ
নারি পুরুষ সবসময় জোড় বেধে থাকে
কিছুক্ষন পরপর মুখোমুখি থেমে
একে অন্যকে ঠোটে ঠোট ঘষে সুধায়ঃ
এটাকে কি চুমু বলে, এটাকে কি চুমু বলে

মুল কবিতাটির সময় আমার য়্যকোয়ারিয়ামে
মাত্র এক জোড়া কিসিং গোরামি ছিল
জোড়ের পুরুষটি হঠাট মারা গিয়েছিল
নারি-গোরামিটি প্রবালে , শ্যাওলায়, গুগলিতে
চুমুর স্মৃতিতে চুমু দিতে দিতে সুধায়ঃ
এটাকে কি চুমু বলে, এটাকে কি চুমু বলে

ঠোট ঘশতে ঘষতে নারিটিকে ঠোট হারাতে দেখে
পুরো মুখ মাথা উপুড় করে ডুব দিয়েছিলাম
ছোট্ট য্যকোয়ারিমটাতে

পোকি পোকি গোরামিগুলো এখন আবার
হাজার জোড়া কিসিং গোরামিতে হাসে

মাছ কুমারিঃ

ভ্রুতে জমা ঘামে বগুড়ার দইয়ের ব্যকটেরিয়া
নাকের কোনায় যশোরের কই ভাজা গন্ধ
হাসতেই দাতের মাড়িতে রাজশাহির রেশমের গুটি
পদ্মার ইলিশেরা শেয়ারের বাজার উল্টায় দুই বুকের বায়
কালো বাক্স খুলে বের করলি সিল্কের নরম ঢেকুর
বাক্স বন্ধ করে চাবি ছুড়লি বানভাসি জলে
খুজতে যাই খুযতে যাই বলে ডুব দিলি তুই
আর আমার জালে জড়ালো ঝাক ঝাক
মাছকুমারির মুচকি মুচকি হাসি মাছকুমারি পোকি’র ছোট্ট আকাশ

নখঃ

সবাই ঘুমাছ্যে
এমন কি পোকি’র দশ আঙ্গুলের নখ
সবাই ঘুমাচ্ছ্যে
এমন কি পোকি’র নাকের নোলক
এক্কেবারে নিশ্চিত ঘুম
কারন নিশিথের নিঝ্যুম গাথা
গরম ভাপ ওঠা কৃশ্নচুড়ায় শিমুলে

গর্তেঃ

রাত গহিনে গোপনে
আব্বার জন্য সদ্য খোড়া গর্তে
কোটর থেকে চোখ উপড়ে দৃষ্টি বিসর্জন দিলি
জিহবা খসায় নতুন জিহবার জিম্মাদার হলি
বাদবাকি অংগপ্রত্যংগের উত্তরাধিকার
সাত পুরুশের ভিটার খানদানে
সার সার অসার গর্তে ছুড়ে
ঘরে ফিরে খিচলি গুদনযন্ত্র
দশ আঙ্গুলের মখমালি মন্ত্রে
পোকি-অঙ্গের ফেনানো উর্বরতায় দেখতে পেলি
ছুড়ে ফেলা অংগগুলো সোহাগের উছিলায়
জুড়ে বসেছে ব্যঙ্গাচিদের আত্মায়

গর্মিলঃ

মেঘলা এ্নভেলাপ হাতে এলি অবশেষে
সংগিনির ছলে মাতাল মাতংগিনি
মাতংগ বিনাশে মেতে রতির চুড়ান্তে
হননের নন্দনে সম্মানিত দুইগুন তিনগুন মুকুট ধারন
ধড় আলগা কাটা মাথা
পুং পোকার অনু জিবনের অনু জাবেদা হিসাবের অনু লেনদেন
অবসানে ভাবি কি করে অনন্য এই পোকি
এদ্দিন গোপন রেখেছে রতি অঙ্কের এই বিরাট গর্মিল
মগজ তরঙ্গে মুদ্রাভংগ শেষে
বুঝি পোকি আততায়িনি বটে
কিন্তু ভাতারখাকি বিশ্বাসঘাতিনি নয়
কারন পোকি’র চোখে আন্তরিক বিদায়ের পানি
ফোপানির আড়ালে পোকি বলেঃ
আমিও তোরে চাই য্যমন লালনে সিরাজ সাই

অপেক্ষাঃ

রঙ্গিন পেন্সিলে আক কষে
যেখানে থাকে থাকে সাজানো থাকবার কথা
মাথা মুখ বুক কোমর হাত পা
ঠিক ঠিক সেরকম এবং কিছুটা কাল্পনিক আকিবুকিশেষে
সুধালামঃ ঐ রে পোকি , নাক ফোড়াবি, নোলক পরবি
চোখে দিবি কাজলের টান

উত্তরে জানালি যে কোনটাই নিবিনা
একে একে ব্যর্থ হ’লো
রুপটান কারুকার্জ ভাস্কর্জের আবেদন আয়োজন

রঙ্গিন পেন্সিল পুথিপত্র সব ছুড়ে
আমরা পোকি’র অপেক্ষায়
একলা একলা একলা

খেলনা বেহালাঃ

বন্ধুত্বে তা দিতে দিতে পোকি বিবাহ বাজারে গেল
এক টাকা মুল্যমানে নামতাখাতায় নাম জারি হ’লো

বিয়া বিয়া খেলা ভেঙ্গে পুড়লি ইটভাটার চুল্লিতে
পোড়া ইটগুলোকে পিছমোড়া বেধে

টেরাকোটায় তাতালি স্মরন
শিত সকালের ভব জোয়ালে মাভৈ হাসন

অরগাজমঃ

ডিনামাইটে জিবন লাইটে
হরনে বদলায় পোকি’র পাপড়িরা
আত্মার সাথে যৌনতার সুক্ষভেদ লক্ষনগুলো
শুন্যতার সুড়ংগপথে গিলে খায় পোকি’র ভাবাবেগ
ন’মাস পর যে শিশু জন্মালো
বিস্ফোরকের ডিটনেটর হৃতপিন্ডের বদলে
কার্তুজের ছররা চেহারার আদলে

নিজের সাথে নিজের ধস্তাধস্তির অস্বস্তি পার হতে
সে-শিশু খুজতে থাকলো আগের জনমের হারানো সঙ্কেত-শিকড়
খুজে না পেয়ে সে মহাক্ষিপ্ত
জঙ্গমে জঙ্গমে অরগাজমে মহালিপ্ত

আহ গুদারাঃ

হারাবার একটু আগে একেবারে ছেড়াখোড়া
কোলের বাচ্চার হাতের তালুর সমান পতাকাটি
যখন বদলালো সামনে দাড়ামো ভাস্কর্জটির গুদারায়
বললামঃ কখনোই কবিতা লিখি নাই বাংলায়
আপনার অবমাননায়

পতাকাটি স্নাতোকোত্তর সাবানে
পরমের পিছলাপিছলা ধাক্কাধাক্কির উদ্বোধনে
যখন আবারো বদলালো সামনে এলানো পোকি’র আপন গুদারায়
বুড়িগংগায় খাবি খেতে খেতে দিলাম চিতকারঃ
কক্ষনো কবিতা লিখি নাই বাংলা ভাষায়
আগুন ওগরাতে ওগরাতে বললেনঃ
মর ব্যটা মিনশে বসিলার কেতুরওঠা ইটভাটায়

আহ গুদারা

আকাশমুখিঃ

এইভাবে আকাশমুখি ভিজাঘাসে শুকনা চামড়া ঘষে
আদিম আদম-হাওয়া-রসে ভিজে ভিজে ভাবো
এই শুকনা চামড়া ঘাসের ভিজাটুকু শুষে
শরিরেও ছড়াবে আকাশের শিকড়
আর হলুদ থেকে হলুদে গড়াতে গড়াতে পুরোপুরি পুড়বার আগে
পোকি’দের রোদপোড়া ফুশফুশে ছড়াবে
হলুদের দির্ঘতমো ভিজা ভিজা পোকিপোকি ঘাস

ঘরকন্যাঃ

খাবার টেবিলে বসা সিংহটার সাথে
সিঙ্ঘ সিঙ্ঘ খেলতে খেলতে সিঙ্ঘের কেশরে
হাতির দাতের চিরুনি বোলাচ্ছি
সিঙ্ঘের নখে পরাচ্ছি কমলা নখ পালিশ
সারাদিনের উপোশ সিঙ্ঘটা প্রথমে খাবে আমাকে
তারপর কমলা নখের থাবায় ঘাড় মটকাবে পোকি’র
এই এলো বলে

কবিতাঃ

জানতাম না কবিতাকে কি নামে ডাকতে হয়
এ ও এনাম সেনাম গছিয়ে দিতে চাইলে
নামগুনে কবিতাগুলোকে পানসা ঠেকতে
কাউকে না জানিয়ে আমি কবিতাকে
পোকি বলে ডাকা শুরু করতে
অন্যরাও এ-নাম সে-নাম বাদ দিয়ে
কবিতার সাথে পোকি’র বিয়েতে
আমার ঘটকালি মেনে নিল

আর তা থেকে সর্বনাশের সুচনা হ’ল
যারা ঐ বিয়ে মানল না
তাদের সাথে আমাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হ’লো

সাহিত্য কারখানার উটকো মজদুরেরা দাড়িয়ে পড়লো
কবিতা ও পোকি’র বিরুদ্ধে
প্রকৃতির সাথে বিপনন কর্মিদের যুধ্বে

তৈরি হ’লো অনেক হিরোশিমা অনেক নাগাসাকি
শেষমেশ জয়ী বাংলা কবিতা জ়য়ি পিলখানা রোডের পোকি

সবুজঃ

সবুজে পোকি বার বার ভোগে
রক্তজবা দেখলেই ওকে বোবাতে পায়
কানামাছি খেলতে খেলতে বর্ষার কাদামাঠে
হঠাত চারপাশে ঝাক ঝাক অচেনা ডানা
প্রলাপে চঞ্চল এক বালিকা-বিউগল
তালকানা সুরে আবারো সবুজ জরে
আমাকে পোড়াতে এসে
নিজে পুড়ে ছুড়ে ফেলেছে আমাকে আরো আরো
গভির সবুজের ঘোরে
হ্যন্স ক্রিসচিয়ানের রুপকথায়ঃ

রাজকুমারকে পরিচয় দেবার অভিশাপে
মিলিয়েছিলে বাতাসি সাগরের নোনা নিস্বাসে

তার আগে পোকি আমাকে বলেছিল অদৃশ্য হতে
আর শান্ত হাওয়াকে গিলেছিল সাওতালি সাগর
চরদখলি হাংগর

প্রজাপতি হবে নাকি রেশম পোকার গুটিগুলো
সিল্কে গড়াবে- এই আক্ষেপ কারো জানা হবেনা
কারন আমি মাথা পেতে নিয়েছিলাম

পোকি’র প্রথম অধ্যাদেশঃ আমি অদৃশ্য
কিন্তু পোকি আমাকেত বোবা হতে বলে নাই

সুতরাং আমি বলি বেশ জোরেসোরে বলিঃ
পোকি’রে , গোরস্থানে জ্বলে জিবনের মাধ্যমিক জ়োনাকি

চামড়ায়ঃ

বকুলভেজা ঐ চামড়ায় মিহি ঘামে আটা ভিজায়
আমরা স্নাতকোত্তর রুটি বানাবো
গরম গরম সুস্বাদু রুটি
মুখে দিলেই গলে যাবে পোকি’র স্যকাসেকি সোয়াদে

উল্কিঃ

চেহারা চিরে চিরে চামড়াকাটা অক্ষরে
পোকি নিজদেহে আকিবুকি কাটে
গাছগাছালির বাকলে পিপড়ের সারি
পিপড়েদের মুখে মুখে কাগজকাটা অক্ষরের মিতালি
চামড়াকাটা অক্ষরেরা চামড়ায় শুকায়
পিপড়েদের অচিন বাসায়


সিন্ধুসারসঃ

আবাগির দুই বূকের বোটায়
সিন্ধুসারসের সাতার


জাদুর মাদলঃ

শক্ত শক্ত নিরাসক্ত মুখগুলোকে
চেহারার আদল দিতে দিতে
সৈনিক ও মিছিলকারিদের মাঝখানে
গিতবিতান হাতে দাড়ানো চয়ন যখন নির্বাসিত
তখন ঠিক পাশেই আবার জলজ্যন্ত পোকি
কিভাবে ওদের থেকে পালালে-
জিজ্ঞেস করতে ও জানালো
আমি শুধু চাটি দিয়েছিলাম
আমাদের যাদুর মাদলে

মুখঃ

গেট পেরিয়ে এত এত মৌনতার সমিল
কেউ কেউ অপেক্ষা করে গেটের বাইরে
গেটের ভেতর যারা তারা আপেক্ষা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর
কারন অপেক্ষা ছাড়া মুখ ফিরে পাওয়া মুশকিল
একবার পোকি হলে কে হতে চায় মুখের মিছিল

নজরুলের মাজারেঃ

পোকি এখনো নিওমিত নজরুলের মাজার জেয়ারতকারি
আমি দিনে ঠেলি পোকি’র সওদা রাতের পেষা ফুলচুরি

রাতের পেষায় অপর সহকর্মিদের সাথে দেখা হলে
সবার অভিজোগ পানির সংকট নিয়ে -যা গড়িয়েছে গোরস্থানের ফুলে

তুইত কোন খোজ, খবর রাখিস না
আমাদের সবার ওপর এখন পৌরসভার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বলবোরে দিনের বেলা পোকি’র কাছে তোদের উদ্বেগের খবর
ভবের হাটে বানাবো জরুরি অবস্থার কবর

ব্রক্ষপুত্রঃ

ময়মনসিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চিরে বয়ে যাওয়া
ব্রক্ষপুত্র নদ কতকাল যে পোকি’র জন্য অপেক্ষমান ছিল
কে জানে।নৌকার মাঝি বলেছিলঃ
এই নদ নারি পেলে খুশি
সঠিক নারির অভাবে বানজলে আমাদের ভাষায়।

আপনার কথার নিহিত অর্থ কি?
আপনি কি কুমারি বলির দিকে ইঙ্গিত করছেন?
পোকি মাঝিকে এ-প্রশ্ন সুধাতে, মাঝি বলেঃ
না না ছি ছি এটা কি বলেন।আমি বলছিলাম,
এই যে সোহাগ, মহব্বত আপনেরা একে অপরকে দিচ্ছেন
তাতে এই নদ খুশি মহাখুশি

পোকিঃ আপনার বয়স কত?
মাঝিঃ সত্তরের কম নয়, প্রথম বড় যুধ্বের কালে জন্ম
পোকিঃ পেষিত এখনো বেশ পোক্ত
মাঝিঃশক্তের আর কি আছে?বউটা চলে গেল।
বেহেস্ত নসিব হোক।নাত নাতকুরে সংসার ভরন্ত।
তবু পরান পুড়ে।

পোড়ানি বাড়লে ব্রক্ষপুত্রে আসি
আমার মত এই নদেরও বৌ প্রবাসি

ওমর আলির কাছেঃ

আমি আর পোকি কবি ওমর আলির কাছে যাই
এই যে আপনার শ্যমলা মেয়ে নাইয়রি এসেছে

কবি বলেঃ বেশত দুধেল একেবারে জাত কাস্মিরি গাই
ঢাকার অত্যাচারে বেড়েছে দেখি চামড়ার চেকনাই

আমাকে ওমর আলির কাছে গচ্ছিত রেখে
পোকি ঢোকে আমার নাকে চোখে মুখে


কাঠালিচাপা দোলনচাপাঃ

দফতর ফেরত তুই এখন গার্হস্থ্যের সেবিকা
ঘুরে ঘুরে হাত ছোয়ালি সাবানদানিতে কলের পানিতে
প্লাস্টিকে চায়নায় ব্রার হুকে জিন্সের জিপে
কাজ-গরম পেটে তলপেটে ডুবালি ফ্ল্যমেঙ্কো নাচের আভা
কাঠালিচাপার বুদবুদি শাম্পাইনে নাচালিরে নাচালিরে নাচালি

গার্হস্থ্যের বাইরে মেপে মেপে
হাত ছোয়ালি কি বোর্ডে মাউসে কাগজে কলমে
এখানেও প্লাস্টিক চায়না সাবানদানি কলের পানি সব আছে
কিন্তু কাজ-গরম পরিবেশ কুচকাওয়াজে কঠিন
কুচকেও কুচকালিনা

এক লাফে দফতরকে ঢোকালি গার্হস্থ্যে
দোলালি দোলনচাপার দোলনায় দোলনায় দোলনায়

কোরকির জয়ের পতাকাঃ

একদিন দুই কাধ ছিড়ে ঐ দুই ডানা অজানা আবাবিল নির্ভরে
নোনতা নিমকি আর ঘন দুধের শ্রিমঙ্গলি চাপাতায় ভেষে

মহাপ্লাবনের নৌকায় অবদমনের তলকুঠুরিতে উচ্ছাসের উপহার
আর সব গোপন রসদ আবিস্কারের ভয়ে বিস্ময়ে বলেছিলামঃ বিকৃতি

চোখে রেশমের গুটিপোকা ঠেশে
দেয়ালে গাথা শেকলে হাত পায়ে কড়া পরিয়ে বলেছিলিঃ সুখ

নাভির অনেক নিচের কামানো তলপেটের নিচেকার নাভিস্বাসে
ঘামের ফোটাগুলো যে দেহটাকে ধরে রেখেছিল

হাটু ছড়ানো উরুতে বিস্তৃত কালো চামড়ার বুটে
মেঝেতে তার হিলের আস্ত্রাখানি আঘাতে

বন্দি মাংসপিন্ডে লালা জিব বুলিয়ে
কোমরে বানিয়েছিলি এক অভিজাত কাকড়ার ভাস্কর্জ

কংক্রিটের খাড়া চাঙ্গাড়িগুলো
আঠালো আঠালো শব্দ উগরে দিচ্ছিলো

বাস্তিল থেকে ঢাকার কেন্দ্রিয় কারাগারে
যাবতজিবনে দন্ডিত উদরে

নিল ফড়িংঃ

নিল ফড়িং কোন ভঙ্গিতে বসলে গরমে গলা
মোড়ক খোলা টফি চকোলেট লজেন্সগুলো
আরো পুরোপুরি গলবে ভাবতে ভাবতে স্নানঘর মগ্ন
চুল বেয়ে কানের লতি ছাড়িয়ে পানির ঠোটগুলো
ঠোট মেলালো পানির ভেতরকার জল শ্যওলার আবহাওয়ায়

নিল ফড়িঙ্গের দেহভার নিল ফড়িঙ্গের ডানায়
গুদারা-অঙ্গের দুই উচু পাড়ে জিহবার নতুন রাজনিতি
যোনিকে তুই পানিতে প্যচালিঃ যুক্তিতে মুক্তি নাই
মুক্তিতে যুক্তি বলে দুঃস্বপ্নে চ্যাচালি

নিল ফড়িঙ্গের আত্মায় পরমাত্মার স্ট্র্যপ-অন
নকলটাই এখন আসলের চেয়ে আসল মাংসল ধন
যোনিতে যোগ হ’লো প্লাস্টিকের পুরুষাংগ
নারির উত্তেজনা জয় করে অপর নারির সংগ

চয়ন খায়রুল হাবিব

মার্চ-সেপ্টেম্বার/২০০৮
ব্রিটানি-লন্ডন


'পোকি সিরিজ' গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে 'ডৌল : জুলেখার জেরা পর্ব' সংগ্রহে, ২০১৫