Tuesday 3 November 2015

জেলহত্যা-দিবসে হরতাল!

১৯৭১ মুক্তিযুধ্বের সংগঠক জাতিয় যে-চারনেতার স্মরনে তেসরা নভেম্বার 'জেলহত্যা-দিবস' পালন করা হয়; তাদের অর্জিত '৭২ এর সংবিধান ধারন ও যথাযথ প্রয়োগ হলে আজকে একই দিনে ধর্মঘটের ডাক দেবার দরকার হতো না।
যে সামাজিক-ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বাক-স্বাধিনতা খর্ব করে সংবিধানে ৫৭ধারার কালো-আইন যোগ হয়েছে; নির্বিচার খুনের অধিকার দেয়া হয়েছে কালো-বাহিনি RABকে; সেই একই ইঞ্জিনিয়ারিংএ মুক্তচিন্তার লেখক, প্রকাশকদের খুন করা হচ্ছে।পেশাজিবি সমাজ নির্বিশেষে সচেতনভাবে এই কালো-আইন, কালো-বাহিনির বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে যারা ১৯৭৫এ জেলহত্যা ঘটিয়েছিল, তাদের কালো-হাত আরো শক্তিশালি হবে এবং তার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াতে মুক্তবুদ্ধির যেসব লেখক, প্রকাশক রাস্ট্রিয় ক্ষ্মতায়নের বাইরে তাদের প্রান নাশের সংখ্যা আরো বাড়বে।
মৌলবাদিদের হাতে লেখক, প্রকাশকের হত্যা ঘটলে আমরা যথার্থভাবে তালেবান, আইসিলের দৃষ্টান্ত দেই; রাস্ট্রশক্তির অপছায়াতে পুষ্ঠ ধর্মান্ধ, জঙ্গিবাদি গোষ্ঠির উথ্যানে ব্যার্থ রাস্ট্র পাকিস্তানের নিয়তি বরনের আশঙ্কাতেও যথার্থভাবে শঙ্কিত হই।মুসলিম সঙ্খ্যাগুরু রাস্ট্রগুলো থেকে চোখ না-সরিয়ে, শ্রিলঙ্কাতে ৩০বছর ধরে চলা সিংহলি, তামিল গৃহযুদ্ধ এবং তার অবশেষের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই কিভাবে কালো আইন, কালো বাহিনির অপশাষনে একটি সম্ভাবনাময় গনতন্ত্রকে দির্ঘমেয়াদে নির্জিব করে দেয়া হয়েছে।
৫৭ধারার কালো-আইন, সাংবিধানিক-কালো-বাহিনি-RAB বাংলাদেশের শিরা, উপশিরা ভিতর থেকে কাটছে; আর বাইরে থেকে তাকে কাটছে ধর্মিয় জঙ্গিবাদ।বহিরঙ্গে ধর্মিয় জংগিবাদ প্রতিরোধ সফল হবে তখনই, যখন আমরা অন্তরঙ্গে রুখে দিতে পারবো 'জেলহত্যা-দিবসের' খলনায়ক-কালো-কস্মেটিক-সার্জনদের বিষাক্ত-অস্ত্রপচার!

চয়ন খায়রুল হাবিব
৩/১১/১৫
ব্রিটানি