Wednesday 11 November 2015

লো হোসনে আরা লো, মুনির হোসেন হাতিয়ার ঢাল দো

                 
                        
                        কিন্তু শারমিন রিমাকে মুনির হোসেন হত্যা করবার সাথে
                        রুপচান্দা মাছের বা সোনালি শব্দটার সম্পর্ক কি কাকতলিয় নয়


                   মুনির হোসেনের প্রেমিকা হোসনে আরা খুকুকে
                   বাংলাদেশ রাস্ট্র হত্যা করতে চেয়েছিল
                   রিমা হত্যায় জোগসাজস আছে এরকম অনুমান করে
                   মাননিয় দায়রা জজ খুকুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল
                   রিমা হত্যার সাথে তার যোগসাজসের
                   কোন প্রমান না পেয়ে মাননিয় আপিলেট ডিভিশন
                    খুকুকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল

সেইজন্যই মিলান কুন্ডেরা কখনোই উত্তর দিতে চা্য নাই
যখন তাকে কমিউনিস্ট পার্টির গুপ্তচরের অপবাদ দেয়া হয়েছিল

জয় ভাই, জিত ভাই কখনোই বিশ্বাস করে না
যে ওরাই সোনালিকে গর্ভবতি অবস্থায় বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছিল

ঃউহ, বললে আর সাথে সাথে মেনে নিলাম!তা হচ্ছে না।

'সোনালি যে রুপচান্দা মাছ নয়
এবং পেটে ডিম থাকা রুপচান্দা মাছ যে বেশি দামে বিকায়
তা না জ়েনেই কি আমরা এই স্বস্তার তিন অবস্থার দেশে
এম, পি, শিল্পপতি হয়েছি এমনে এমনে।'

'বিশ্বাসের খেতা কিলাই।আমাকে বিলাই বললে,
আর কাপড় চোপড় খুলে প্রমান করতে ব্যস্ত হয়ে যাব
যে আমি বিলাই নই, চোদ্দ পাগলের প্রলাপ প্রমানের কোন ইচ্ছা আমার নাই।'

লোকজন  বিশ্বাস খেতে চাচ্ছে
তাই আমরা  বিশ্বাসের ফেরি করছি।জিঞ্জিরা মেড বিশ্বাস:
হোসনে আরা, মুনির হোসেন ঐখানেই ধরা
ওরা জিঞ্জিরা মেড কিতাবগুলার হিশাব এক্কেবারেই বুঝতে পারে নাই

যা হয় বাংলাদেশে, ওদেরকে কেন্দ্র করে
সংবাদপত্রের হোসনে আরা খুকু পিপাসা পাকিস্তানিদের নয় মাসে
         তিরিশ লাখ লোক'কে জেনোসাইডের রক্তপিপাসাকেও হার মানিয়েছিল।

রুপচান্দার বন্দনাঃ

কিম্বা খুকুকে মৃত্যুদন্ড দেয়া মাননিয় দায়রা জজের রায়পত্রঃ

রুপচান্দা লো রুপচান্দা লো রুপচান্দা তোর দুই বগলতলায়
সাতরায় জিয়ায় খলসায়
মানে তুই বতিচেল্লির ভিনাস উদোম
বগল-নোনায় নড়ে চড়ে ছটফটায় রুপচান্দার চঞ্চল লেঞ্জা
ভাজব না কি তরকারি বানাবো
না কি প্লাস্টারে ঢেকে নগর কেন্দ্রের শোভা বাড়াবো
বালু দিয়ে বালুচরে প্রতিমা গড়ালে
চামড়া আশ রুপ আর চান্দার ছল
সকল বগলসহ ফিরে যাবে হোথায়
সাগরের রুপকথায়

ঢেউয়ের পর ঢেউ দড়িদড়া হাল পাল
ভরাকোটালের জাল ও জ়েলেদের চাদমুখি কুচকাওয়াজে
চাদ হবে চান্দা শ্যওলারা শিকড়
রুপ যে কি অপরুপ সদ্য কামানো জামদানি-বগলে
আবার অকস্মাত গজানো ঘাম ভেজা জরিদার পাতালে
লো লো লো রুপচান্দা মাখামাখি প্রত্যেকটা লোমে
রুপচান্দা তোর বগলে রুপচান্দা তোর কপালে
চুলে গালে বুকে পেটে কোমরে রানে তরানে পায়ের পাতায়
ঝাকে ঝাকে ঝাকে ঝাকে
ধরি আর ছাড়ি আর ধরা খাই সাতরাই জিয়াই খলসাই


সোনালি হত্যার সুরতহাল উদজাপনঃ

সোনালি শব্দটাকে প্রথম দেখি ১৯৭৪ সালে
কে একজন না কি হাইজ্যাক করে নিয়ে এসেছিল,
তারপর গিলতে না পেরে
পাশের বাড়ির সিড়ি বারান্দায় রেখে চলে যায়।

ওখানে থাকত জয়, জিত দুই ভাই।
ওরা সোনালিকে রক্ষিতা করে বেশ আদর যত্ন করে রাখে।
তারপর সোনালি গর্ভবতি হলে ওকে বিষ খাওয়ায় মেরে ফেলে।
এরকমটা শুনেছিলাম বড় হবার পর।

লন্ডনে দেখা হয়ে গেল জয়, জিত দুই ভাইয়ের সাথে
এক ভাই এম,পি, আরেক ভাই শিল্পপতি
সোহো'তে বেশ বেসামাল হালতে জয় ভাই বল্লোঃ
জিত দেখেছিস এ-জায়গাটার নাম গোল্ডেন স্কয়ার
জিত ভাই দেখলাম বিষন্ন হয়ে পড়লো
এবং দুই ভাই পেগের পর পেগ হুইস্কি উড়াতে থাকলো

আমিও তারপর চিতকার করে উঠলামঃ
লো সোনালি লো তোর পেটে জয় না জিতের বাচ্চা

জয় ভাই বল্লোঃ হুক্কা হুয়া তা বলেছিস সাচ্চা

জিত ভাই বল্লোঃ সবতো আমরা আমরাই

জয় ভাই বেশ দার্শনিক ভঙ্গিতে সমাপ্তি টানলোঃ
          মুষ্কিলটা হচ্ছে সোনালির বাচ্চাটার নিশ্চয়ই তখন হৃতপিণ্ড গজিয়ে গিয়েছিল।
জোড়া খুনের দায়...বহন করিবে বাংলাদেশ বংশ পরম্পরায়



চয়ন খায়রুল হাবিব
                   লন্ডন
                   ১০/০৮/০৯
         ছবিঃ ফ্রান্সেস ম্যাকডনাল্ড, 'ওফেলিয়া', ১৮৯৮।