বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় কমেডিয়ান এ,টি, এম শামসুজ্জামানের ছোট ছেলে কুশল এই সপ্তাহে বড় ভাই কবিরকে ছুরি চালায়ে মেরে ফেলেছে!সুত্রাপুর থানাতে বৃদ্ধ এ,টি কুশলের নামে মামলা করেছে!পুলিশ কুষলকে অকুস্থলেই গ্রেপ্তার করেছে!ঢাকার আজিম্পুরে আমার এক বন্ধুর নাম ছিলো কুশল!কুশলের মা ছিলো ইডেনের অধ্যাপক।নামজাদা গল্পকার হাসান আজিজুল হক কুশলের আপন মামা!কুশলদের কলোনি বাড়িতে ওনাকে কত দেখেছি!পিউরিটান এবং মার্ক্সিস্ট হাসান আজিজুল হক!কুশলের ক্লিনিকাল ডিপ্রেশান ছিল!বড় ভাই কুমার ডাক্টারি পড়তো!
হাসান আজিজুলের দল ''বাংলাদেশ লেখক শিবিরে'' আখতার ইলিয়াস নামে আমার একজন সিনিয়ার বন্ধু ছিল!ইলিয়াসের সাথে দেখা করতে গেলে এখানে, সেখানে হাসান আজিজুলের সাথে দেখা হত!সেই আশির দশকের কথা!হাসান বলতোঃ কুশলকে একটু ভালমত পড়াশোনা করতে বলো!কুমার কি ব্রিলিয়ান্ট!...বিভিন্ন নিউরোসিসের ঘোরে ভাবতামঃ এই লোক গান্ডু না কি?এত বড় লেখক, ক্লিনিকাল ডিপ্রেশান বোঝে না!যাক, কলেজে পড়ার সময় কুশল, মানে মার্ক্সবাদি হাসান আজিজুলের ভাগ্নে কুশল আত্মহত্যা করেছিল!মার্ক্সবাদি সমাজ হলে কুশলের বিপদ বাড়তো বৈ কমতো না!মার্ক্সিস্টেরা মনস্তত্বকে বলে বুর্জোয়া!মন কি খালি বড়লোকের থাকে না কি?জীবনানন্দতো গরিব শিক্ষক ছিলো, ওর অনির্নিত অবসাদগ্রস্ততা ছিল; কবিতা পড়লে বোঝা যায়!অবষাদ, বিষাদকে সবাই নান্দনিক প্রনোদনায় নিতে পারে না!আবার অনেকে নিতে পেরেও এক পর্জায়ে হননকামি হয়ে পড়ে; যতরকমে এদেরকে শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গিত এবং গনিতের দক্ষতার দিকে নেয়া যায় তত ভালো!সবাই যে ভ্যান গগ, জন ন্যশ হবে তা নয়!তবে মানষিক মোড় ঘোরার পথ পাবে!
মার্ক্সবাদি তাত্বিকেরা ফ্রয়েড ইত্যকার মনস্তাত্বিকের অবদান নাকচ করে দিয়েছে!কিন্তু সোভিয়েতের পতনের পর; বার্লিনের দেয়াল ধংশের পর কমিউনিস্ট আর্কাইভগুলাতে হদিশ মিলেছে যে যেই মনস্তত্ববিদদের নাকচ করা হয়েছিল তাদের বিদ্যাকেই প্রয়োগ করা হয়েছে ব্যাক্তির চেতনা, অবচেতনাকে গুম করতে!মার্ক্সিস্ট ব্যবস্থার বিপরিতে এনার্কিস্টেরা ব্যাক্তিকে যে-কোন প্রনোদনার কেন্দ্র মনে করে!ফরাসি কল্যানকামি ব্যাবস্থায় ব্যাক্তির মনস্তত্বকে তথা শিশুর মানষিক বিকাশকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, বৈচিত্রকে মান্য করেই!স্মরন করা যেতে পারে যে ফ্রান্সসহ ই,ই,সি'তে মৃত্যুদন্ড নাইঃ অর্থাৎ ব্যাক্তির জিবনের মালিক রাস্ট্র নয় এবং তার কল্যানের বিনিময়ে রাস্ট্র জিবনের ওপর অভিভাবকত্ব ফলাতে পারবে না।স্মরন করা যেতে পারে যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যাক্তির চেতনা, অবচেতনাকে অস্বিকার করা সোভিয়েটের পতনের পর রাশিয়া এক পৈশাচিক মাফিয়া রাস্ট্রে রুপান্তরিত হয়েছে!অথচ পশ্চিম জার্মানির সাথে মিলে যাওয়া পুর্ব জার্মানির ভাগ্যে তা ঘটে নাই!এ-প্রসঙ্গে ব্রেখট এবং গুন্টার গ্রাসের ঐতিহাসিক বিরোধও স্মর্তব্য!
আজকে মার্ক্সবাদিরা যেখানে যা কিছু পপুলার তাতেই হাত দেবার মত জ়ীবনানন্দ পাঠেও আগ্রহ দেখাচ্ছে!এটা শঙ্কাজনক এ-কারনে যে এই চর্চায় ব্যাক্তির অবসাদ, বিষাদ গৌন; বরং বিভিন্ন সামাজিক মঞ্চের দখল কায়েমে জীবনানন্দকেও আরেকটা অনুষংগ হিসাবে ব্যবহার করা! এই চর্চা নান্দনিকতাকে অবসাদ থেকে উল্লাসে না নিয়ে আরো অর্গলবধ্ব পিছুটানের দিকে নেবে!ঘাতক কুষল এবং আত্মঘাতি কুষলের নামের মিল কাকতালিয়!কিন্তু যেখানেই মার্ক্সবাদিরা সেখানেই বেশুমার হননের যে প্রলয় তাতো আর কাকতালিও না!ব্যাক্তি পর্জায়েও এরা ভিন্নমতাবলম্বিদের নিকাশে অনবরত ষড়যন্ত্র করতে থাকে!
চয়ন
১৪/৩/১২
ব্রিটানি
হাসান আজিজুলের দল ''বাংলাদেশ লেখক শিবিরে'' আখতার ইলিয়াস নামে আমার একজন সিনিয়ার বন্ধু ছিল!ইলিয়াসের সাথে দেখা করতে গেলে এখানে, সেখানে হাসান আজিজুলের সাথে দেখা হত!সেই আশির দশকের কথা!হাসান বলতোঃ কুশলকে একটু ভালমত পড়াশোনা করতে বলো!কুমার কি ব্রিলিয়ান্ট!...বিভিন্ন নিউরোসিসের ঘোরে ভাবতামঃ এই লোক গান্ডু না কি?এত বড় লেখক, ক্লিনিকাল ডিপ্রেশান বোঝে না!যাক, কলেজে পড়ার সময় কুশল, মানে মার্ক্সবাদি হাসান আজিজুলের ভাগ্নে কুশল আত্মহত্যা করেছিল!মার্ক্সবাদি সমাজ হলে কুশলের বিপদ বাড়তো বৈ কমতো না!মার্ক্সিস্টেরা মনস্তত্বকে বলে বুর্জোয়া!মন কি খালি বড়লোকের থাকে না কি?জীবনানন্দতো গরিব শিক্ষক ছিলো, ওর অনির্নিত অবসাদগ্রস্ততা ছিল; কবিতা পড়লে বোঝা যায়!অবষাদ, বিষাদকে সবাই নান্দনিক প্রনোদনায় নিতে পারে না!আবার অনেকে নিতে পেরেও এক পর্জায়ে হননকামি হয়ে পড়ে; যতরকমে এদেরকে শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গিত এবং গনিতের দক্ষতার দিকে নেয়া যায় তত ভালো!সবাই যে ভ্যান গগ, জন ন্যশ হবে তা নয়!তবে মানষিক মোড় ঘোরার পথ পাবে!
মার্ক্সবাদি তাত্বিকেরা ফ্রয়েড ইত্যকার মনস্তাত্বিকের অবদান নাকচ করে দিয়েছে!কিন্তু সোভিয়েতের পতনের পর; বার্লিনের দেয়াল ধংশের পর কমিউনিস্ট আর্কাইভগুলাতে হদিশ মিলেছে যে যেই মনস্তত্ববিদদের নাকচ করা হয়েছিল তাদের বিদ্যাকেই প্রয়োগ করা হয়েছে ব্যাক্তির চেতনা, অবচেতনাকে গুম করতে!মার্ক্সিস্ট ব্যবস্থার বিপরিতে এনার্কিস্টেরা ব্যাক্তিকে যে-কোন প্রনোদনার কেন্দ্র মনে করে!ফরাসি কল্যানকামি ব্যাবস্থায় ব্যাক্তির মনস্তত্বকে তথা শিশুর মানষিক বিকাশকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে, বৈচিত্রকে মান্য করেই!স্মরন করা যেতে পারে যে ফ্রান্সসহ ই,ই,সি'তে মৃত্যুদন্ড নাইঃ অর্থাৎ ব্যাক্তির জিবনের মালিক রাস্ট্র নয় এবং তার কল্যানের বিনিময়ে রাস্ট্র জিবনের ওপর অভিভাবকত্ব ফলাতে পারবে না।স্মরন করা যেতে পারে যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যাক্তির চেতনা, অবচেতনাকে অস্বিকার করা সোভিয়েটের পতনের পর রাশিয়া এক পৈশাচিক মাফিয়া রাস্ট্রে রুপান্তরিত হয়েছে!অথচ পশ্চিম জার্মানির সাথে মিলে যাওয়া পুর্ব জার্মানির ভাগ্যে তা ঘটে নাই!এ-প্রসঙ্গে ব্রেখট এবং গুন্টার গ্রাসের ঐতিহাসিক বিরোধও স্মর্তব্য!
আজকে মার্ক্সবাদিরা যেখানে যা কিছু পপুলার তাতেই হাত দেবার মত জ়ীবনানন্দ পাঠেও আগ্রহ দেখাচ্ছে!এটা শঙ্কাজনক এ-কারনে যে এই চর্চায় ব্যাক্তির অবসাদ, বিষাদ গৌন; বরং বিভিন্ন সামাজিক মঞ্চের দখল কায়েমে জীবনানন্দকেও আরেকটা অনুষংগ হিসাবে ব্যবহার করা! এই চর্চা নান্দনিকতাকে অবসাদ থেকে উল্লাসে না নিয়ে আরো অর্গলবধ্ব পিছুটানের দিকে নেবে!ঘাতক কুষল এবং আত্মঘাতি কুষলের নামের মিল কাকতালিয়!কিন্তু যেখানেই মার্ক্সবাদিরা সেখানেই বেশুমার হননের যে প্রলয় তাতো আর কাকতালিও না!ব্যাক্তি পর্জায়েও এরা ভিন্নমতাবলম্বিদের নিকাশে অনবরত ষড়যন্ত্র করতে থাকে!
চয়ন
১৪/৩/১২
ব্রিটানি