Friday, 9 May 2025

পাভলভের কুকুর এবং কাবাব-সাম্প্রদায়িকতা !

ঘুম ভেঙ্গে জানালা খুলে, ডাবল শাটার তুলে দিলাম। বাইরে বিপুল চেস্টনাটের ছড়ানো ডালপালায়, গরম কালের তুমুল ঝকঝকে রোদ, শালিখ-রঙ্গা ছোট-ছোট পাখি ঘাসে লুকানো পোকা খুটে খাচ্ছে। বাতাসে বাচ্চাদের কান্নার মত  সিন্ধু-সারসের টানা ডাক। বিভিন্ন রকম বল দিয়ে আফ্রিকান, এশিয়ান, ইয়রোপিয়ান শিশু, কিশোরেরা এক সাথে খেলছে।

খেলা ভাঙ্গতে নেপথ্যে, প্রকাশ্যে, সারা দুনিয়ার রাজনীতি এক অদ্ভুত মনস্তত্ত্বে গিয়ে ঠেকেছে। যেন কোনও পরীক্ষাগারে পাভলভের কুকুরদের মতো নাগরিকদের ঘন্টা বাজিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলা হচ্ছে—ভয়, ঘৃণা আর চিহ্নিত শত্রুর দিকে তাক করিয়ে। সে ঘন্টা বাজছে সংবাদমাধ্যমে, রাজনীতির ভাষণে, কিংবা কোনও যুদ্ধে ব্যবহৃত একচোখা ধর্মের এবং জাতীয়য়াবাদের বুলি দিয়ে। 

১৯৪০এ জার্মান নাজি বাহিনী যখন একে একে বেলজিয়াম, হল্যান্ড, ফ্রান্স দখল করে নেয় এবং বিজেতা এলাকায় নিজের দেশের মত ইহুদি বিনাশ বা হলোকস্ট কায়েম করে, ঠান্ডা মাথার সে পৈশাচিকতার মুখে,  কবি পল ভ্যালেরি লেখেন, 

 “আমরা এক ভয়াবহ ঢালের দিকে এগিয়ে চলেছি। যা কিছু আমরা ভয় পাই, সেগুলোর কোনো কিছুই অসম্ভব নয়; আমরা প্রায় সবকিছু কল্পনা করতে পারি, এবং সবকিছুকেই ভয় পেতে পারি।”


১৯৪৫এর ৮মে মিত্র শক্তির কাছে জার্মান নাৎসিদের আত্মসমর্পনের ৮০ বছর পর আজকের ইউরোপ, আর দুনিয়ার পরিস্থিতি কোথায় দাড়িয়েছে? কিম্বা ১৯৯১সালে মিখাইল গর্বাচফ শীতল যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে যে সোভিয়েত একনায়কতন্ত্রী রাস্ট্রপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘটিয়েছিলেন, তার ৩৪ বছর পর আমরা কোথায় এসে দাড়িয়েছি, তা একে একে দেখা যাক।


কাবাব সাম্প্রদায়িকতা 


ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া—সবখানে গণমাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়া ঘৃণার জ্বালানিতে পুড়ছে। ইউরোপে বর্ণবাদ ও ইহুদি বিদ্বেষ' আজ রূপ নিয়েছে 'অ্যান্টি-ইমিগ্র্যান্ট' মনোভাবে। ব্রেক্সিট তার বড় প্রতিফলন। জার্মানিতে “কেবাব মার্ডার” বলে মুসলিমদের হত্যার পরও সমাজের অনেক অংশ নীরব থাকে।


‘কেবাব-রেসিজম, কেবাব-মার্ডার, কেবাব-সাম্প্রদায়িকতা’ শব্দগুলো শুনতে হাস্যকর, মনে হবে কমিক্সের পাতা থেকে উঠে এসেছে, কিন্তু বাস্তবে তা ভয়ংকর—জার্মানিতে তুর্কি রেস্তোরায় হামলা, ভারতের মুসলিম ব্যবসায়ীকে বয়কট, বা বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলা—সবই সেই ঘৃণাবিদ্ধ এক অচেনা সমাজের ফসল। যেখানে ফার রাইট রাজনীতি শুধু ক্ষমতার লোভ নয়, বরং সমাজের ভয় আর ক্রোধকে পুঁজি করে। ঘটনাগুলো বার বার ঘটার পর সমাজ গা সওয়া কমিক্স আখ্যা জুড়ে দেয়। 


জার্মানরা বলছে ‘কেবাব মার্ডার’, হিন্দুত্ববাদীরা বলছে ‘লাভ জিহাদ।’ সেভাবে তুর্কিদের, পাকিস্তানিদের এরকম মিম তৈরি করতে হচ্ছে না। কারণ অটোমান সাম্রাজ্য যে সাম্প্রাদায়িক সহাবস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলো, কথিত আধুনিক রাস্ট্র তুরস্ক, পাকিস্তান শুরু থেকে সঙ্খ্যালঘুর ওপর সহিংশভাবে দমন, উচ্ছেদ চালিয়েছে। ১৯৪৭এ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পর ঢাকায় কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাসরত আর্মেনিওরা উধাও হয়ে যায়। তুরস্ক অপরাপর মুসলিম গোষ্ঠী কুর্দিদের ওপর যুগের পর যুগ অত্যাচার, অনাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে। ১৯৭১সালে পাকিস্তান রাস্ট্র সঙ্খ্যাগুরু পুর্ব পাকিস্তানি বাঙালিদের ওপর জেনোসাইড চালায়।


ইয়রোপিয় ভাষাগুলোতে, আমরা যাকে বেহেস্তের ভাষা বলি সে আরবিতেও আফ্রিকার কালোদের অবজ্ঞা করা, নিচু ভাবে দেখার অনেক শব্দ পাওয়া যাবে। সামাজিক আচরন, বৈষম্য থেকে এসব শব্দ তৈরি হয়, এসব শব্দ ঘিরে সামাজিক বিনোদন তৈরি হয়। খ্রিস্ট পূর্ব এবং পরেও জর্দান নদী তীরের বিভিন্ন সম্প্রদায় একই ভাষায় কথা বললেও শুধুমাত্র উচ্চারণের রকমফেরের কারণে প্রজন্মের পর প্রজন্ম রক্তারক্তি করেছে।


ইরানি যাযাবরেরা যখন দলে দলে সিন্ধু উপত্যকায় হাজার বছর ধরে একের পর এক প্রাচীন দ্রাবিড় গোষ্ঠীগুলোকে ধনে, জনে উচ্ছেদ করে নিজেরা গোষ্ঠপতি হবার পক্রিয়াতে যেসব বেদ, উপনিষদ সেখানেও বিজেতাদের রাক্ষস, খোক্কশ, পাখি, ইদুর বানানো অনেক কমিক্স শব্দ পাওয়া যাবে। 


ট্রাম্পের ঘরে ফেরা, পুতিনের স্ট্র্যাটেজি ও পশ্চিমা দ্বিচারিতা! 


যে ট্রাম্পের পূর্ব পুরুষ কয়েক প্রজন্ম আগে ছিলো ইউরোপিয়ান, সে ট্রাম্প আমেরিকার বৈদেশিক নীতিকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন: "আমেরিকা ফার্স্ট"। ন্যাটোর প্রতি উদাসীনতা, ইউক্রেন বা মধ্যপ্রাচ্যে কম আগ্রহ, ইউরোপের সঙ্গে ঐক্য থেকে সরে আসা—সব মিলিয়ে টিম ট্রাম্প দেখালো, আমেরিকা নিজের ঘরে ফিরছে, যে  ঘর আসলে কেড়ে নেয়া হয়েছে আদিবাসীদের কাছ থেকে। এর ফলশ্রুতি ছিল ইউরোপের নিরাপত্তাহীনতা, রাশিয়ার আগ্রাসন, এবং বিশ্বে ক্ষমতার ভারসাম্যের বিপর্যয়।


রাশিয়া যখন ইউক্রেনে ঢুকল, তখন ইউরোপ-আমেরিকা একসঙ্গে একে দমন করতে গেলেও, তাদের কণ্ঠে 'গ্লোবাল সাউথ' বিশ্বাস রাখেনি। কেন? কারণ সিরিয়া, ইয়েমেন, কিংবা গাজার ব্যাপারে এই একই মানবিকতা তারা দেখেনি। ফিলিস্তিনে শিশু মরলে সেটি “self defense”, ইউক্রেনে মরলে “war crime”—এই দ্বিমুখীতা পুঁজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইজরায়েল যেভাবে গাজায় আক্রমণ চালিয়েছে, সেটিকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো প্রায় অন্ধ সমর্থন দিয়েছে। অথচ এই একই রাষ্ট্রগুলি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যা বা ১৯৮২ সালের শাবরা-শাতিলার কসাইখানায় নির্বিকার ছিল। এ যেন 'ভূগোল' আর 'ধর্ম' অনুসারে ন্যায়বিচারের ব্যাখ্যা বদলে যায়।


ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সির শুরুর দিনগুলোতে পৃথিবী বুঝে গেলো, যে ট্রান্স-আটলান্টিক বন্ধন একসময় শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক ছিল, তা এখন ভাঙনের মুখে। অতীতের যেসব ঐতিহাসিক ঘটনার ভয়ে আমরা কাঁপতাম, সেগুলো আজ আবার আমাদের কল্পনায় ফিরে আসছে। যেন আমরা সবাই পাভলভের সেই বিখ্যাত পরীক্ষার কুকুর, যেখানে ট্রাম্প ঘণ্টা বাজালেই আমাদের প্রতিক্রিয়া হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের জন্য আতঙ্ক, সংশয় আর ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত।


মার্কিন প্রশাসনের আজকের অবস্থা দেখে ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, “শান্তি আর নিশ্চিত নয়।” ট্রাম্প যেভাবে বাকস্বাধীনতা, বিশ্ববিদ্যালয়, অভিবাসননীতি, এমনকি বিচার বিভাগের স্বাধিনতার উপর আঘাত হানছেন, তাতে অনেকে ‘পুলিশ রাষ্ট্র’ গঠনের আশঙ্কা করছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ট্রাম্প যেভাবে হেনস্থা করলেন, সেটি যেন একটি রাষ্ট্রনাটকের দৃশ্য। “এটা দারুণ টেলিভিশনের উপকরণ,” বলেছিলেন ট্রাম্প।


অন্যদিকে ইউরোপ এখন নিজে শক্তি সঞ্চয়ের কথা ভাবছে। জার্মানি ও ফ্রান্স নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন এক 'স্ট্র্যাটেজিক অটোনমি'-র দিকে, যেখানে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে না। ইতিহাসের শিক্ষা থেকে তারা বুঝে ফেলেছে — স্বাধীনতা ভঙ্গুর, গণতন্ত্র বিলীন হবার সম্ভাবনা সবসময় থেকে যায়।


তবে ইউরোপের ভেতরেই বিভাজন রয়েছে। হাঙ্গেরি, ইটালি, ফ্রান্স — বহু দেশে দক্ষিণপন্থী, অভিবাসনবিরোধী দলগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারা শহুরে এলিটদের বিরুদ্ধে, জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা অস্বীকার করছে এবং একটি নতুন জাতীয়তাবাদী আবেগে প্রবল হয়ে উঠছে।

চিনের মদদ, চিনের উস্কানি : পাকিস্তানের নষ্টামি এবং ভারতের ভন্ডামি 


পাকিস্তান—যে  নীতিতে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালিয়েছিল, আজও সেই একই ডিপ এস্টেট’ নীতিতে বালুচিস্তান, সিন্ধে দমন নিতি চালাচ্ছে। আফগানিস্তানে তালেবানদের পৃষ্ঠপোষকতা, কাশ্মীরকে অজুহাত বানিয়ে ভারতকে উস্কে দেওয়া, কিংবা ধর্মের নামে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের চেতনাকে আরও বিষিয়ে তোলা—সবই ্পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর রাস্ট্র এবং জনতাকে ঢাল করে বিশ্ব অস্ত্র ব্যাবসার দোসরের ভূমিকার কথা বলে।


এখানে পাকিস্তানের বড় সহায় চীন, যে দেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে বেঁধে ফেলেছে একদলীয় স্বৈরতন্ত্রে। চীনের নীতি হচ্ছে দুর্বল রাস্ট্রকে ঋন জর্জর করে তার বন্দর, পথ ঘাট দখলে নিয়ে জনতাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জিম্মি করে ফেলা। এখানে কমিউনিস্ট চীনের সাথে উপনিবেশিক শক্তিগুলোর কোনো পার্থক্য নেই। একই সময় চীন বার্মাতে জান্তা এবং বিদ্রোহীদের অস্ত্রশস্ত্র, সব কিছু দিচ্ছে, রোহিঙ্গা উচ্ছেদে চুপ করে থাকছে, মূল ব্যাপার হচ্ছে কে আগে চীনকে কোন বন্দরের দখল দিতে পারে। এখানে ১৯৭১এ কত লাখ বাঙালি হতাহত হলো, ২০২৫ অবধি কত লাখ রোহিঙ্গা নির্বাসিত হলো, তাতে চীনের কিছু এসে যায় না। আমরা চীনা ভাষা তেমন জানি না, আমি নিশ্চিত সে ভাষাতেও বিভিন্ন জাতির জন্য সাম্প্রদায়িক শব্দের মজুদ কম নয়। ইয়রোপিও, আরবেরা এসব শব্দের মজুদ বাড়িয়েছে ধর্মিও পতাকা তলে, চৈনিকেরা এসব শব্দ তৈরি করেছে মাওয়ের তত্বের জালে।


ইদানিং বাংলাদেশে অনেকে ধর্মনিরপেক্ষতা সরিয়ে দিতে যে বহুত্ববাদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের কথা বলছেন, আমাদের মনে রাখা দরকার যে স্বাধীন ভারতের মুসলিম নেতৃত্ব—যেমন মাওলানা আজাদ, হুমায়ুন কবির, আবুল কালাম, বা সৈয়দ শাহাবুদ্দিন—সংঘাতের ভেতরেও এই বহুত্ববাদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক  সেতুবন্ধনের রাজনীতি করতেন। 


চীনের মদদে একদিকে মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা-সংকট এবং শূন্যরেখায় গুলি, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে ধর্মীয় উত্তেজনার দিকে ঠেলে দেওয়া—এই দ্বিমুখী চাপ বাংলাদেশে একটি 'শীতল শান্তির' বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে। চুপচাপ আগুনের নিচে গ্যাস বারবার বাড়ছে।

সংখ্যা কখনো সহানুভূতির জায়গা নিতে পারে না।

স্টালিন পাভলভকে যে ভালোবাসতেন, তা শুধুই এক বিজ্ঞানীর প্রতি শ্রদ্ধা ছিল না; বরং ছিল এক ভয়ানক রাজনৈতিক বিনিয়োগ—একটি মানসিক নিপীড়নের যন্ত্রপাতি গড়ে তোলার চেষ্টার অংশ। পাভলভের পরীক্ষাগারের কুকুররা, যারা নির্দিষ্ট ঘণ্টা শুনে লালায়িত হতো, ক্রমে রূপ পেল সোভিয়েত নাগরিকদের প্রতীকে—যাদের প্রত্যাশা করা হতো রাষ্ট্রীয় আদেশে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, প্রশ্ন করবে না। বিজ্ঞানকে তখন রূপান্তরিত করা হলো এক শৃঙ্খলায়, এক যন্ত্রে, যেখানে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব ধ্বংস করে তৈরি করা হতো নিখুঁত বাধ্যতা।

মানুষকে তখন আর মানুষ ভাবা হতো না—তাদের বিবেচনা করা হতো সংখ্যায়, তথ্যচিত্রে, কোটা পূরণের উপকরণ হিসেবে। কারো ব্যথা, দুর্বলতা, প্রতিবাদ কিংবা স্বপ্ন কোনো গাণিতিক ছকে ধরার অযোগ্য ছিল; তাই রাষ্ট্র তাকে মুছে দিতো। এই উপেক্ষা-ভিত্তিক রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্য চিরকাল টিকে থাকতে পারেনি। মানুষের ভেতরের অদম্য সত্য—যন্ত্রচালিত দাসত্ব মেনে না নেওয়ার এক অন্তর্গত শক্তি—শেষ পর্যন্ত এই নির্মম সোভিয়েত ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আজকের পৃথিবীতেও, যখন আমাদের প্রতিটি আচরণ বিশ্লেষণ করে মুনাফার অঙ্ক কষা হয়, আমাদের সাবধান হতে হবে। পরিসংখ্যান কখনও নিরপেক্ষ নয়। ভুলভ্রান্তি চাপা দিতে, ব্যথাকে অবজ্ঞা করতে, আর মানবিক দুর্বলতাকে 'তথ্যবাহুল্য' বলে উড়িয়ে দিতে এই সংখ্যাগুলিই আবার একদিন হয়তো ব্যবহৃত হবে। মনে রাখতে হবে—পাভলভ শুধু কুকুরের ওপর গবেষণা করেননি, তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এক শাসনের ঘৃণ্য অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন। আমাদের কর্তব্য আজ—এই ইতিহাস স্মরণ করে বলা: কোনো সমীকরণ কখনও সহানুভূতির জায়গা নিতে পারে না।


চয়ন খায়রুল হাবিব

৯/০৫/২৫

ব্রিটানি, ফ্রান্স 







---