Saturday 30 November 2019

সোয়িঙ্কা দর্পনে, পিকাসোর নীলে, ছোট্ট কোমড়ার উসিলায়*

সোয়িঙ্কা দর্পণে :
২৯ বছর আগে সোয়িঙ্কার নাটক 'স্ট্রং ব্রিড' এর অনুবাদ করেছিলাম 'রক্তবীজ' নামে।তখন ব্যাবহার করতাম 'খায়রুল হাবিব'।১৯৯০ সালে আমার নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চায়িত হয় ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলে কমনওয়েলথ সেমিনারে।অনুবাদটি প্রকাশ করে শিল্পতরু থেকে আবিদ আজাদ।সে সংস্করণটি আর বাজারে নাই।দ্বিতীয় সংস্করণ এর লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত ভূমিকার আয়োজন করছি।তার সাথে সাম্প্রতিক কিছু অনুষংগ এখানে।
প্রথম সংস্করণের অনুবাদটি আমার পুরনো ভূমিকাসহ ঠাই করে নিয়েছে শিবনারায়ণ রায় ও শামীম রেজা সম্পাদিত 'আফ্রিকার সাহিত্য সংগ্রহ ২' এ।স্বকৃত ঐ ভূমিকাটি আমাকে কখনো সন্তুষ্ট করতে পারে নাই।২৯ বছর আগের ঢাকাতে এমন কি ব্রিটিশ কাউন্সিল, মার্কিন পাঠাগারেও আমি আফ্রিকার ব্যাপারে ওদের একাডেমিকদের করা প্রকাশনাগুলো খোজ করেও পাই নাই।আমাদের নাট্যামোদী মহলের হাতেও সেসময় আফ্রিকার সাহিত্য নিয়ে কোনো মালমসলার খোজ পাই নাই।সেঙ্ঘর, আচেবে নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিলো তখন কদাচিৎ।এখনো কি তেমন তুমুলভাবে হয়?আগের চেয়ে বেশি হয় তাতে সন্দেহ নাই।
নতুন ভূমিকা লেখার লক্ষ্যে এবার প্রচুর মালমসলা নিয়ে বসলাম।একদিকে ব্রিটিশ লাইব্রেরি, মার্কিন কংগ্রেস লাইব্রেরির অনলাইন বিশেষায়িত পাঠ, আরেকদিকে দরকারি ফরাসি বইগুলোর দাগ দেয়া অংশগুলো প্যাট্রিসিয়ার সহায়তায় ইংরেজিতে বুঝে নেয়া।আর এনসাইক্লোপিডিয়া!এখনো অনলাইন কোনো রেফারেন্স ফরাসি, ব্রিটিশ ও মার্কিন এনসাইক্লোপিডিয়া ছাড়িয়ে যেতে পারে নাই।সর্বোপরি খোদ সোয়িঙ্কার লেখালেখির সংগ্রহগুলো।কয়েক বছর আগে ঢাকাতে প্রকাশিত শিল্প বিষয়ক ইংরেজি ম্যাগাজিন 'ডেপার্ট' এ আফ্রিকা বিষয়ে আমার একটা বিশদ রচনা প্রকাশ হয়েছিল, যার বিষয় ছিলো সমকালীন ইয়োরোপীয় শিল্পকলায় আফ্রিকার মুখোশ শিল্পের প্রভাব।সে রচনাটির সময়ে পড়াশোনাও বর্তমান ভূমিকায় কাজে লেগেছে।প্রায় ৩ মাস খেটে ১৫ পৃষ্ঠার যে ভূমিকাটি লিখেছি 'রক্তবীজে'র নতুন সংস্করণের জন্য তা আফ্রিকা পিপাসু বাঙালি পাঠকের তৃষ্ণা মেটাবে এবং আরো তৃষ্ণা উস্কে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।
এ ভূমিকা লেখার সময়কার একটা মজাদার মর্মপীড়াদায়ক ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়।সোয়িঙ্কার জন্ম, বড় হওয়া নাইজেরিয়াতে, উচ্চশিক্ষা বিলাতে, লিখেছেন ইংরেজিতে।সোয়িঙ্কা আফ্রিকার প্রথম নোবেল বিজয়ী।নাইজেরিয়ার অধিবাসীরা তিনটি সাংস্কৃতিক, ধর্মিয় সম্প্রদায়ে বিভক্ত, যার নাম যথাক্রমে ইয়োরুবা, হাউসা, ইগবো।সোয়িঙ্কা ইয়োরুবা সম্প্রদায়ের হলেও, সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা পেরিয়ে আপামর নাইজেরীয়দের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বরাবর সক্রিয় থেকেছেন।আমার সাথে প্রায়শ এক নাইজেরীয় তরুণীর দেখা হয়।ওকে জানালাম সোয়িঙ্কা অনুবাদের কথা।তরুণী জানালো যে ও সোয়িঙ্কাকে জানে না, শোনে নাই।তরুণী ইগবো সম্প্রদায়ের।আমি আর তরুণীকে ইয়োরুবা ও ডোগনদের ওগুণ দেবতা নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন করি নাই।আমার খুবই মন খারাপ হয়েছিলো।তা কাটাতে তরুণীর সাথে হাসি ঠাট্টা করেছিলাম, এখনো করি।এটাকেই মনে হয় বলে ঠাণ্ডা শান্তি ও কাষ্ঠ ঠাট্টা!
২৯ বছর আগে ঢাকাতে সোয়িঙ্কা মঞ্চায়নে যাদের সাথে পেয়েছিলাম তাদের সবার নাম আমার মনে নাই।ঘটনাক্রমে এ লেখাটি শেষ করবার সময় শহীদ মুনীর চৌধুরীর ছোট ছেলে তন্ময় আমার ফ্রান্সের বাসায় এসেছিলো।তন্ময় 'রক্তবীজ' মঞ্চায়নের মহড়াতে জড়িত ছিলো এবং সে সুবাদে যাদের যাদের নাম মনে করতে পেরেছে বলেছে।ভাবছিলাম কানাডার আহমেদ ভাই, ইংল্যান্ডের অপুকেও একবার নামগুলো জিজ্ঞেস করে নেবো।সে ভাই বিশাল যজ্ঞ, অনেকগুলো নাম।চিঠির নাম চিঠি হিশেবে দিয়েছি, ফেবুতে না থাকার সুবাদে আর নামগুলো ক্রস চেক করা হয় নাই।সবাই এখানে নাইও।কেন্দ্রীয় চরিত্র সুন্মা রুপায়নকারি মনির পুরো নাম যে শিরিন খান তা মনেই করতে পারছিলাম না।মনে রাখার ব্যাপারে আমার এ অনিচ্ছাকৃত দুর্বলতা আমাকে অবশ্য অনেক গুরুভার মানসিক যাতনা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।কিন্তু এ নামগুলোকে আমি মনে রাখতে চাই এবং নামগুলোকে খোজের তাগিদ থেকেই এত বছর পরেও ভূমিকাটিতে আন্তরিক থেকেছি শ্রমসাধ্য আয়াসে।এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটা শেষ হয়েছে, এটাই আমার আপাতত তৃপ্তি।
ছোট্ট কোমড়ার উসিলায় :
সোয়িঙ্কাকে নিয়ে নবায়িত খোড়াখোড়ির সময় বিচিত্র শাকসব্জিকে বন্ধু বানিয়ে নিজেকে একটি ভেষজ খেলাঘরে মাতিয়ে রাখি বিভিন্ন ধরনের রান্নাবান্নায়।এর ভেতর সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব হয় প্রোফাইল ছবিতে আমার হাতে ধরা ছোট্ট কোমড়াটির সাথে।বিশেষ কোমড়াটির গায়ের রং হলুদে, সোনালিতে, লালাভায় মেশানো এক অদ্ভুত বাটিক প্রিন্টের আমেজ ধারণ করেছে।ফ্রিজে রাখার পরও হাতে ধরলে এই বাটিক প্রিন্ট একটা গরম ওমের ভাপ ছড়ায়।কোমড়াটি নিয়ে আমি এতই মশগুল যে ওকে এখনো কেটেকুটে, অল্প মশলায় মেখেমুখে, অল্প তেলে ভেজেভুজে মোলায়েমভাবে জিহ্বায় তুলতে পারি নাই।এই ভেষজ জৈব রাসায়নিক সমীকরণটি কয়েকবার প্রতিফলিত হয়েছে না দেখা আবুল হাসান, সুরাইয়া খানম এবং সিদ্দিকা কবীরের সাথে।আবুল হাসান ও সুরাইয়া খানমকে নিয়ে লেখা কবিতাগুলোতে কোনো না কোনোভাবে রন্ধন প্রক্রিয়া উঁকিঝুঁকি থেকে শুরু করে তেলঝালের ফুল কোর্স মেনু বা ময়রার রসালো পসরায় গড়িয়েছে।'সিদ্দিকা কবীরকে ভালবেসে' শিরোনামে যে রন্ধন সঙ্ক্রান্ত কবিতার পাণ্ডুলিপিটি তৈরি করছিলাম তাও এই অবসরে আরেকটু এগিয়ে নিয়েছি।
এর ভেতর ক্যাসিনো, বুয়েট, বুলবুল, পেয়াজ ইত্যাদি খবর পেয়েছি।মনে হয়েছে স্বল্প ব্যঞ্জনে ভালো রান্নার জন্য যে খুঁটিনাটি প্রস্তুতি এবং তা থেকে আত্মমর্যাদাবোধক এম্পাওয়ারমেন্ট সে ব্যাপারে আমাদের একটা অনীহা এসেছে।এদিক থেকে খোদ বাংলা একাডেমী এখন স্বৈরতান্ত্রিক সময়ের চেয়েও নান্দনিক পশ্চাদ্মুখিতায় আক্রান্ত।শুনতে পেয়েছি খ্যাতিমান শিল্পী হাশেম খানের আকা বীরাঙ্গনা সিরিজটি না কি কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই একাডেমী ছাপে নাই, কিন্তু সংশ্লিষ্ট গদ্যটি ছেপেছে।ভাষা ও সংস্কৃতির যে চলিষ্ণু ধুকপুককে আমরা চেতনা বলি , তার তদারকিতে যাদের বসানো হয়েছে, তাদের হৃদপিণ্ডের কালো দাগগুলো আর কোনো বইমেলার ঝলমল ঢাকতে পারছে না।ঝলসাইলেই যদি স্বর্ণ ফলিত তাহৈলেতো এদ্দিনে পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যার বাংলা ভাষা তো দুই বাংলার দুই দুইটি একাডেমী থেকে একটি বিশ্বজনীন ফন্ট পাইতো, আমাদেরকে ঊ, ঈ, ণ, চাঁদবিন্দুর খোজে অভ্রজাত হাডুডু খেলতে হতো না!বাংলাদেশ তো সার্বভৌম বাঙ্গালির দেশ হবার কথা!সে দেশে আরবি ভাষার সার্বজনীন ফন্ট আছে কি নাই, তাতো আমাদের গর্দিশের কারণ হবার কথা নয়।গিরিশ চন্দ্র যে আমলে কোরান শরীফ বাংলাতে অনুবাদ করেছিলেন সে আমলের ফন্টের তুলনায়ওতো স্বাধীন দেশের বাংলা একাডেমী এই এপ্সের জমানায় সার্বজনীন ফন্ট দিতে পারে নাই।কোলকাতার অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায় আমার অনুবাদের খোজ নিয়ে ওনার সংগ্রহে স্থান দিয়েছেন, কিন্তু ঢাকার একাডেমীর কোনো খোজ নাই।একই একাডেমী নিউইয়র্কে না কি শাখা খুলতে যাচ্ছে, আবার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে যে য্যামন খুশি সাজ এর মতো বিভিন্নজন প্যাড, সিল বানিয়ে বাংলা একাডেমী খুলে বসেছে তার খোজ রাখছে কোন একাডেমী?
পিকাসোর নীল অধ্যায় এবং আমার সাদাকালো রংধনু :
সুহৃদেরা খেয়াল করবেন যে ঈ, ঊ, ণ, চাঁদবিন্দু নিয়ে অনেক মেহেন্নত করেছি এ যাত্রায়।এটা করার কথা প্রুফ রিডারের এবং একাডেমিকদের।বিশ্বের বড় ভাষাগুলোতে সার্বজনীন এপ্সের বদৌলতে বাচ্চাদের বানান ভুল ধরে নাম্বার দেয়া এখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।হিব্রু, ডেনিশের মত ছোট ভাষাও সার্বজনীন ফন্ট করে ফেলেছে।এটা নিয়ে বলতে বলতে, লিখতে লিখতে আমার অনেক বন্ধু মুখে ফেনা তুলে দেহ ত্যাগ করেছে।জাতিয় অধ্যাপককুল এবং একাডেমীর পরিচালকগন না শুনে বাঙ্গালের আবদার!আবদার, অনুযোগ পার হয়ে কোনরকম সহায়তা ছাড়া গত দুই যুগ বিদেশে অবস্থান স্বত্বেও বাংলা ভাষায় নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করেছি।এ সময় অনলাইনে ইচ্ছে করেই ঈ, ঊ, ণ, চাঁদবিন্দু ব্যাবহার করি নাই।কিন্তু মুদ্রণে প্রচলিত বানান ব্যাবহার করেছি।
আমার পুরনো ব্লগের সব পোস্টগুলোকে ঈ, ঊ, ণ, চাঁদবিন্দুর এখতিয়ারের বাইরে রেখেছি।সেটি সার্বজনীন ফন্টের প্রতীকী দাবি।ঐ ব্লগসহ ঈ, ঊ, ণ, চাঁদবিন্দুবিহীন অধ্যায়টিকে আমি পিকাসোর নীল অধ্যায়ের সাথে তুলনা করবো এবং আমার স্বকৃত নীল অধ্যায়ে সাদাকালো রঙধনুর মতো আমার সিগনেচার টিউন 'ভাঙ্গা বয়ান, ভাঙ্গা লিরিকে' আমি সম্পন্ন করেছি 'রেঙ্গুন সনেটগুচ্ছে', 'জুলেখা নাট্য ট্রিলজি' ও 'ভাষাপ্রমিতের নোম্যান্সল্যান্ড' প্রবন্ধ সংগ্রহ।সার্বজনীন বাংলা ফন্টের দাবি ওপরচালাকি হতে পারে না।বরং যারা এ দাবিকে অগ্রাহ্য করে হাইকোর্টের রুলিং জারি করিয়ে বিজয়, সুতন্বী, সোলায়মানি ইত্যাদি ফন্টের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা ওপরচালাকি ও ধোঁয়াশার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে।খেয়াল রাখবেন বাংলা ভাষাতে সাহিত্য চর্চাকারী প্রতিষ্ঠিতদেরও জীবিকা নির্বাহ করতে হয় অন্য একটি চাকুরী বা ব্যবসা করে, বেশির ভাগের রয়্যালটি প্রকাশক মেরে খায়।এদের থেকে ফন্টের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া কি ৫২র অর্জনের সাথে মেলে?
গেলো সোয়িঙ্কা ভূমিকা, ছোট্ট কোমড়ার সাথে দোস্তালি, ফন্টের ব্যাপারে অভিযোগের ফর্দনামা।আর যেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এবং এখনো আছি তা হচ্ছে ২০২০ নাগাদ 'জুলেখা সিরাপ রিডার্স লাউঞ্জ' নামে একটি ত্রৈমাসিক বাংলা ম্যাগাজিন প্রকাশনার আয়োজন। 'জুলেখা সিরাপ' গ্রুপে জমা হওয়া লেখালেখি, ছবি, শিল্পকর্ম কেন্দ্র করে প্রাথমিক সাজানিটা করছি।বিভিন্ন সদস্যের শেয়ারে রাশিদা সুলতানা, সাদিয়া মাহজাবিন ইমনের লেখা ভাল লেগেছে।নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়মের বিভিন্ন কর্মকান্ড আমাকে নিরন্তর প্রাণিত করে।তৃণা রাব্বানি, লুবনা ইয়াসমিন, স্বরুপ সরওয়ার্দী, বদরুদ্দিন আলমগীর, অমিতাভ পালের লেখাগুলোতে সমকালীন বিশ্বায়িত চিন্তার দর্পনে লোকজ অবলোকনের শক্তিশালী বয়ান পেয়েছি।বাবলি হক, দিলরুবা পাপিয়া নিজেদের শত ব্যস্ততার মাঝে নিজেদের লেখালেখি এগিয়ে নেবার সাথে সাথে আমাদের কাছে বাংলা সাহিত্য ও শিল্পসভার সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহগুলো তুলে ধরেছে।শাহরুখ পিকলু আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন।উনি এখানে নিজের তোলা ঢাকার বিভিন্ন ছবি পোস্ট করতেন, সেসব ছবিও আমরা ম্যাগাজিনে প্রকাশ করবো।যদি লেখা, ছবি, কমিক্স দিয়ে যোগাযোগ করতে চান পাপিয়া বা আমার কাছে পাঠাতে পারেন।গ্রুপেও পোস্ট করতে পারেন।
স্টাইলের দিক থেকে দেখা যাক বিকল্প কিছু দাড় করানো যায় কি না!শুনে অনেকে বলেছে, এখন সবাইতো অনলাইনেই যা পড়বার পড়ে নেয়।বটে!এভাবেতো জন্রে হিশেবে নাট্য সাহিত্য, গীতিনাট্য মুদ্রণের মৃত্যু হয়েছে, প্রকাশনা এসে ঠেকেছে মৌসুমি বই মেলাতে, সিনেমা হলগুলো বন্ধ হচ্ছে একের পর এক।সাংস্কৃতিক সঙ্কোচনের মুখে একটা নতুন প্রিন্টেড ম্যাগাজিন করতে চাইছি তাকে নিরস্ত না করে বরং স্বাগত জানান।নতুন শেখা স্ক্যান্ডাল, স্ক্রিন শট তো অনেক করলেন, প্রমিত চলিষ্ণুতারও বারোটা বাজিয়েছেন, ক্ষতির আর বেশি কিছু নাই।আমার মত বেচারা, নাদান যট্টুকু যা করবে তার ষোল আনাই লাভ।পয়সা যোগাবে কে?কেনো, কিডনি বেচবো।থাক, আর ওদিকে গেলাম না।ম্যাগাজিনে যমজ বোন কঙ্কণের আকা পাখির ছবিগুলো দেখলে আপনাদের মন ভরে যাবে।আশপাশে আরো পাখপাখালির ইচ্ছায় মন উশখুশ করবে।অনেকে জানতে চেয়েছিলেন বা জানতে চাইতে পারেন, কই ছিলাম?নিজেকে নিয়ে বিভোর ছিলাম!সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমতো ভাই রেল লাইন এবং রেল গাড়ির মতো।রেল লাইন বা রেল গাড়ি আমাদের বস্তি হয়ে গেলেতো সামাজিক স্বাস্থ্যের সমূহ বিপদ।তাতে প্রকৃত বস্তিবাসীরও কোনো উপকার হয় না।আজকে এটুকুই।সবাই ভাল থাকবেন।
চয়ন খায়রুল হাবিব
২৩/১১/১৯
ব্রিটানি/ফ্রান্স
*লেখাটিতে প্রচলিত বানান অনুসরণ করেছি, যা এই ব্লগে সচরাচর করি না!চখাহা।