Sunday 14 October 2018

শৌরীন্দ্রমোহন, অন্নপূর্ণা ও গৌরীপ্রসন্ন



সংগিত ঝর্নাধারার পরম্পরাগত ত্রিভুজের সুরবাহার সঙ্গমে! 

প্রাককথন

আমার জুলেখা নাট্যত্রয়ের বয়ান অংশকে স্বরলিপি নির্ভর 'ভাঙ্গা লিরিক, ভাঙ্গা বয়ান' কেন্দ্রিক অপেরায় রুপান্তরের লক্ষ্যে গত প্রায় দেড় যুগ যে অনুশিলনগুলো করি তার ভেতর অন্যতমো ছিলো বিশ্বায়িত বিচিত্র সনেট প্রকরন  নিয়ে  কাটাছেড়া, আর ভারতিয় রাগশাস্ত্র নিয়ে ৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুরের Six Principal Ragas-with a brief view of th Hindu Music. 1876  বইটিতে আত্মস্থতা।নব্বই‍্ দশকে বিভিন্ন সময়,  ৈদিক মন্ত্র শিখতে  ৃন্দাবনে বসবাস ৌরীন্দ্রের কাজ বুঝতে যেরকম, সেরকম  মাইহার ঘরানার আলাউদ্দিন খান কন্যা অন্নপূর্ণা আকা রোশোনারার সুরবাহারকেন্দ্রিক যাপনের আত্মিক উৎসমুখ বুঝতেও সহায়ক হয়।


           শোন একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে …
    কথা  ৌরিপ্রসন্ন মজুমদার, গায়ক অংশুমান রায়

'শোন একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মজিবরের কণ্ঠে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি ' সহ আরো অনেক বিখ্যাত গানের  রচয়িতা  ৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সরাসরি শাস্ত্রিও সঙ্গিত চর্চা না করলেও, ভারতিয় রাগশাস্ত্রের শক্ত গাথুনি তার বিচিত্র গানের কথকথায় বোঝা যায়।বর্তমান ব্লগপোস্টে সময়খন্ড অনুযায়ি ৌরীন্দ্র, অন্নপূর্না ও ৌরীপ্রসন্নের পরিচিত তুলে ধরছি।যেহেতু বিভিন্ন সুত্র থেকে কপি/পেস্ট সেহেতু ভুমিকাতে না থাকলেও, উল্লেখিতদের নাম ও পরিচিতিতে ঈ, ঊ, ণ, চাঁদবিন্দু ব্যাবহার করেছি।পিতাকে 'বাবাতে', পুত্রকে 'ছেলেতে',  স্থাপনকে 'গড়ে োলা', সাফল্যমণ্ডিতকে 'সফল' জাতিয় অদলবদল ছাড়াও বাক্যবন্ধগুলো কিছুটা ভদ্রস্থ করেছি  নিজের বিবেচনায় অযথা প্রলম্ব ক্রিয়াপদের পুনরাৃতিগুলো বাদ দিয়ে।চখাহা। 

শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর


১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের ৬৫ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ। পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুর পরিবারের গোপীমোহন ঠাকুরের পঞ্চম পুত্র হরকুমার ঠাকুরের কনিষ্ঠপুত্র। মায়ের নাম শিবসুন্দরী দেবী।শৌরীন্দ্রমোহনের প্রাথমিক শিক্ষা বাড়িতে। ১৮৪৮ সাল থেকে হিন্দু কলে্জে ১৬ বছর পড়াশোনা। কলেজের পাঠ শেষে সঙ্গীতের পাঠ শুরু। মূলত ঘরোয়া পরিবেশে সঙ্গীতের সাথে বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।


পাথুরিয়াঘাটা রাজসভার সঙ্গীতজ্ঞ ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী'র কাছে গান শেখেন। এরপর তিনি ওই রাজসভার বীণাকার লক্ষ্মীপ্রসাদ মিশ্রের কাছে বীণা ও ধ্রুপদ শেখেন। এরপর তিনি সঙ্গীতে তালিম নেন সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ সাজ্জাদ মহম্মদের কাছে। পাশ্চাত্য সঙ্গীতের পাঠ নিয়েছিলেন জনৈক জার্মান সঙ্গীতজ্ঞের কাছে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত সঙ্গীতগুণীর রাজদরবারে আসার সূত্রে তিনি বহুজনের কাছ থেকে সঙ্গীতের পাঠ নিয়েছেন। সমাসময়িক সঙ্গীত শিক্ষার পাশাপাশি তিনি প্রাচীন গ্রন্থাদি পাঠ করেছেন প্রচুর। এছাড়া সঙ্গীত দর্পণ, সঙ্গীতসার সংগ্রহের মতো সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন গ্রন্থাদি প্রকাশ করেছিলেন।

১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে পাইকপাড়ার রাজা ঈশ্বরচন্দ্র সিংহের মৃত্যুর পর, বেলগাছিয়া নাট্যশালা বন্ধ হয়ে যায়। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে শৌরীন্দ্রমোহনের সহায়তায়, তাঁদের প্রাসাদে 'পাথুরিয়াঘাটা বঙ্গ-নাট্যালয়' প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে  লক্ষ্মীপ্রসাদ মিশ্র কলকাতায় সঙ্গীত সম্মেলনের আয়োজন করেন। এই আয়োজনকে  সফল করতে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।

১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর উদ্যোগে
ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী'র প্রথম স্বরলিপি গ্রন্থ 'ঐকতানিক স্বরলিপি' প্রকাশিত হয়।
১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ;জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ক প্রস্তাব' গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি 'বঙ্গসঙ্গীত বিদ্যালয় গড়ে োলেন।

১৯১০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুন পরলোকগমন করেন।

পুরস্কার ও প্রাপ্তী

১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টর অব মিউজিক' উপাধি পান।
১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টর অব মিউজিক' উপাধি পান।
এছাড়া ভারত সরকার তাঁকে রাজা  উপাধি দেয়। নেপাল রাজদরবার থেকে তাঁকে 'সঙ্গীত নায়ক' এবং 'সঙ্গীত সাগর' প্রদান করে।


গ্রন্থাবলি
  • জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ক প্রস্তাব। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ।
  • যন্ত্রক্ষেত্র দীপিকা (সেতার শিক্ষা বিষয়ক গ্রন্থ)। ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ।
  • মৃদঙ্গ মঞ্জুরী (মৃদঙ্গ শিক্ষা বিধায়ক গ্রন্থ)। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দ।
  • হারমোনিয়াম সূত্র। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দ।
  • যন্ত্রকোষ। ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দ।
  • English verse set to Hundu- In honour of His Highness, the Prince of Wales. 1875
  • Six Principal Ragas-with a brief view of th Hindu Music. 1876
  • ভিক্টোরিয়া গীতিমালা। ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দ।
  • Shorts Notices of the Hindu Musical Instruments. 1877
  • A few Lyrics of Owen Meredith set to Hindu Music. 1877
  • A Vedic Hymn. 1878
  • Fifty Tunes. 1878
  • A few Speecimens of Indian Songs. 1879
  • Indian Music's Address to Lord Lytton. 1880
  • Eight Tunes. 1880
  • গীত প্রবেশ। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ।
  • Hindu Music Form Various Authors. 1882
  • Musical Scales of the Hindus. 1884
  • সঙ্গীত প্রকাশিকা। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ।
  • নৃত্যাঙ্কুর। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ।
  • Twenty-two Musical Srutis of the Hindus. 1886
  • Seven Principal Musical Notes of the Hindus. 1892
  • Indian Ragmala. 1894
  • Univarsal History of Music- togather with various original notes of Hindu Music. 1896
  • Sreimad Victoria Mahatyam- Sanskrit poems set to music with an English translation and 63 ilustrations. 1892
    • Indian Ragmala. 1894
    • Univarsal History of Music- togather with various original notes of Hindu Music. 1896
    • Sreimad Victoria Mahatyam- Sanskrit poems set to music with an English translation and 63 ilustrations. 1897
অন্নপূর্ণা দেবী

                                                 বাবার কাছে তালিম নিচ্ছে অন্নপূর্ণা
অন্নপূর্ণা দেবী আসল নাম রওশন আরা বেগম (জন্ম: ১৯২৭, মৃৃৃত্যু:১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮) একজন স্বনামধন্য সুরবাহার শিল্পী এবং উত্তর ভারতীয় সনাতনী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুরু। তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দিকপাল ওস্তাদ আলাউদ্দীন খানের কন্যা এবং পন্ডিত রবি শঙ্করের প্রাক্তন স্ত্রী।
অন্নপূর্ণা দেবী ২৩ এপ্রিল ১৯২৭ সালে চৈতি পূর্ণিমা তিথিতে মধ্য প্রদেশের মাইহারে জন্ম গ্রহণ করেন ।বাবার কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে রওশন তার বাবার যোগ্য কন্যা হয়ে ওঠেন এবং ভারতীয় কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠেন। তিনি মুম্বাইতে ভারতীয় ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিক্ষা দিয়েছেন অনেক দিন। তার শিশ্যদের মধ্যে হরিপ্রসাদ চৌরসিয়া,নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়,আমিত ভট্টাচার্য,প্রদীপ বারত সহ অনেকে সুপ্রতিষ্ঠিত।

ব্যক্তিগত জীবন

বাবা ওস্তাদ আলাউদ্দীন খান হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল মিউজিকের মাইহার ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা এবং ভাই আলী আকবর খান ভারতের কিংবদন্তিতুল্য সরোদ বাদক। অন্নপূর্ণা বাবার কাছে শিক্ষা নেন। তার বাবার ছাত্র পরবর্তীকালে বিখ্যাত সেতার বাদক রবি শঙ্করকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় অন্নপূর্ণার বয়স ছিল ১৪ এবং রবিশঙ্করের বয়স ছিল ২১। বিয়ের পর অন্নপূর্ণা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন। তাদের একমাত্র ছেলের নাম শুভেন্দ্র শঙ্কর বা শুভ যাকে অন্নপূর্ণা সেতার বাজানো শেখান।তিন সন্তান রেখে শুভ অল্প বয়সে মারা যায় ।

সম্মাননাঃ

অন্নপূর্ণা ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পদ্মভূষণ লাভ করেন ১৯৭৭ সালে।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ( ৫ ডিসেম্বর ১৯২৪ - ২০ অগাস্ট ১৯৮৬) বাংলাভাষার একজন কবি ও গীতিকার। বিংশ শতাব্দির দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে বাংলা ছায়াছবি ও আধুনিক গানের জগতকে যাঁরা প্রেমাবেগে কাপিয়েছে  তিনি তাঁদের একজন। মান্না দে'র গাওয়া তাঁর লেখা ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' ২০০৪ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানে ঠাঁই পেয়েছে।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৫ সালে ৫ ডিসেম্বর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাচ্চু’ ছিল তার ডাক নাম। তার বাবা গিরিজাপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন বিখ্যাত উদ্ভিদবিদ। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ এবং ১৯৮৬ সালের ২০ আগস্ট কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন।

জনপ্রিয় গান


  • শোন একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মজিবরের কণ্ঠে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি
  • মাগো, ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে
  • বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি
  • ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
  • এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় এ কী বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু
  • এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন
  • কেন দূরে থাকো শুধু আড়াল রাখো কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো
  • এই পথ যদি না শেষ হয়
  • আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে
  • কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
  • প্রেম একবার এসেছিল নীরবে
  • এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো
দ্রস্টব্য যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটি গোষ্ঠি ৌরিপ্রসন্নের বিখ্যাত গানগুলোর তালিকা প্রকাশের সময় 'শোন একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মজিবরের কণ্ঠে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি' গানটির উল্লেখ এড়িয়ে যায়।

উপসংহার

ৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর, অন্নপূর্ণা দেবী ও  ৌরীপ্রসন্ন  মজুমদারকে  ভারতিয়  রাগশাস্ত্র   উতসারিত একটি পারস্পরিক, পরম্পরাগত ত্রিভুজ হিসেবে কল্পনা করে নিলে  বর্তমান বাংলা  গানের  দারিদ্রের কারন  আমরা সহজে বুঝতে পারবো।এদের প্রত্যেকের বাদ্যযন্ত্র, সুরের অনুশিলন, গান লেখার আয়োজনের কেন্দ্রে আছে স্টাফ নোটেশান বা স্বরলিপির সম্যক জ্ঞান।পশ্চিমে যে কোন বাদ্যযন্ত্র বা গানের তালিমে স্বরলিপি শেখা অপরিহার্য।বাংলাদেশের সঙ্গিত প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আর স্বরলিপি শেখানোর প্রতি কোন গুরুত্ব দেয় না এবং বেশির ভাগ সুরকার, গিতিকারের স্বরলিপিগত কোন ভিত্তি নাই।অথচ জাপানের একজন টেকনো কম্পোজার বা পশ্চিমের একজন রক বা র‍্যাপার গায়ককেও দেখা যাবে স্টাফ নোটেশান বা স্বরলিপি পড়তে, লিখতে যানে।এই স্বরলিপিগত ব্যুতপত্তির জোরে বিটেলসের জর্জ হ্যারিসন বেশ সহজে রবি শঙ্করের কাছ থেকে সিতার শিখে ফেলেছিল , কিম্বা কুইন  ব্যান্ডের ফ্রেডি মার্কারি অনায়াসে ধ্রুপদ গায়ক, গায়িকাদের সাথে অপেরাধর্মি গান গাইতে পেরেছে, এ, আর, রহমান বার্কলের অর্কেস্ট্রার সাথে অনায়াসে গান গাইতে পেরেছে, রাম সাম্পাথ রিতুরাজ মোহান্তির র‍্যাপের পাশাপাশি সিলেটের কমলা  গানটির শ্রুতিমধুর ফিউশন করতে পেরেছে।

বাংলাদেশে এখন লোকসঙ্গিতের রমরমা।সেটা খারাপ না, আবার তেমন ভালও না।সবকিছুকে লোকায়ত করে তোলা সাংস্ক্ৃতিক প্রাগ্রসরতা ও চলিষ্ণুতার বিপরিতে কুপমন্ডুক প্রবনতার প্রসার ঘটায়।সচেতন না হলে গিটার, পিয়ানো ইত্যাদির ব্যাবহারের পরেও আমরা লোকায়ত শিল্পকে সাংস্ৃতিক চোরাবালিতে পর্যবসিত করবো।শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ নিজের উদ্যগে বাউল গান কেন্দ্রিক ৌষ মেলার নিয়মিত আয়োজন করেছিলেন।আবার বিশ্বসঙ্গিতের বিচিত্র ধারা থেকে রবীন্দ্রনাথ নিয়েছে দু হাত খুলে।মাইহারে যেরকম,শান্তিনিকেতনেও তেমনি সঙ্গিত সাধনার পত্তনি ঘটানো হয় স্বরলিপির বুনিয়াদ ধরিয়ে দিয়ে।এ-কারনে গতকালকের সচিন কর্তা এবং আজকের  প্রবিন জাভেদ আখতার এবং নবিন এ,আর, রহমান দেশি, বিদেশি যে কোন অর্কেস্ট্রায় স্বচ্ছন্দে বিচিত্র সুরের মুর্ছনা তুলতে পারে।বাংলা বিচিত্রতার ভাষা এবং এ-ভাষার পত্তনিতে দেশি, বিদেশি, আদিবাসি সুরের তুমুল এক অবগাহি ঝর্নাধারা বহমান।বিশ্বায়িত সুরের সাথে মেলবন্ধনে আমাদের সংস্ৃতি আরো বেগবান ও সম্পদশালি হবে।

চয়ন খায়রুল হাবিব
১৪/১০/২০১৮
ব্রিটানি

তথ্যসুত্র  :

সংসদ বাঙালি চরিতাবিধান (প্রথম খণ্ড), জানুয়ারি ২০০২।
বাঙালির রাগসঙ্গীত চর্চ্চা, দিলীপকুমার মুখোপাধ্যায়।

রিন্দ্রমোহন ঠাকুরের বিবিধ প্রকাশনা।
ওয়াইকিপিডিয়া।ইউটিউব।

ছবি, গুগোল