সাবধান, তিন তিনটা দির্ঘ কবিতার মাপা, আলাপি বুনটে একটা পাগলুটে উপকথা!খুব মেরে দিতে ইচ্ছা করবে, খুব মনে রাখতে ইচ্ছা করবে।অসুবিধা নাই, আগেও অনেকে করেছে, পরেও করবে।খুব বিষাক্ত, খুব সংসক্ত, শক্ত ব্যাঞ্জনবর্ন খেয়ে ফেলে, নতুন ও নরম স্বরবর্ন উগরে দেয়......
বিষতত্ব
এমনত হতেই পারে, ক্ষত্রিয় রাজকুমার গৌতমের বর্নাশ্রম বিরোধি দর্শন প্রচারেরও বহু বহু আগে, বৈদিক আর্যদের পৈশাচিক সতিদাহপ্রথা আরোপের আগে অব্দি ভারতের মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড়দের গৃহদেবতার নাম ছিল 'ধুতুরা', গৃহলক্ষিকে ডাকা হতো 'ধুত্যুরি'! পুজারি পুরোহিতদের সম্মানিত পদবি ছিল 'পাগল'!
মহেঞ্জোদারো থেকে গাঙ্গেয় সন্দিপে আর্যাবর্ত পতাকা এবং বর্নাশ্রম প্রথা সুনিশ্চিত করবার পর বৈদিক দেব, দেবিদের মহিমা বাড়াতে পরাজিতদের আর্যরা বর্নহিন্দু, ধাঙ্গড়, নমশুদ্র, হরিজন, রাক্ষশ প্রভৃতি নাম দেয়।হতেই পারে যে হেরে-যাওয়াদের পুজনিয় শব্দগুলোতে হিনমাত্রা যোগের নিমিত্তে বেদান্ত-অনুসারিরা ধুতুরা সেবনকারি পুরোহিতদের পদবি 'পাগল'কে মানষিক ভারসাম্যহিনতার সমার্থক করে তোলে! ধুতুরা সেবনের নিরাপদ লৌকিক নিয়মগুলো যাতে আর কেউ মনে না রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে ব্রাম্মন পুরোহিতেরা নিস্ক্রান্ত "পাগল"দের জিব উপড়ে দিতে থাকে; আর ধন্বন্তরি দেবি "ধুত্যুরি"র চুড়ান্ত অবমাননার জন্য ওর নামের পাশে চিরস্থায়িভাবে 'ছাই' শব্দটি বসিয়ে দেয়!
মুস্লিম অধিপতিরাও ধুতুরা-মন্দির ধ্বংশ এবং পুজারিদের নিগ্রহের বৈদিক চল অব্যাহত রাখে।ধারনা করা যেতে পারে বর্নাশ্রম-বর্জন-আন্দোলনের সময় তখনো এখানে ওখানে পাতাল নেটওয়ার্কে ছড়ানো ধুতুরা-পুজারিদের সাথে গৌতমের যোগাযোগ হয়েছিল; যারা সর্বাংশে বোধিস্বত্ত্বের সঙ্ঘে যোগ দিয়েছিল এবং তাকে হিতকথন প্রচারে শাষকের সংস্কৃত ব্যবহার না করে অন্ত্যাজ় পালি ব্যবহারে অনুপ্রানিত করেছিল।একই নেটওয়ার্কে মহাবিরের অনুসারি জৈন সাধুরাও যোগ দিয়েছিল, যা ব্যাহত হয় সম্রাট অশোকের বুদ্ধ মতবাদ গ্রহনের পর বৌদ্ধিক জ্যাষ্ঠ ভিক্ষুদের ক্ষ্মতায়নের উদগ্রতায়।
ধুতুরা দেব, ধুত্যুরি দেবি এবং পুজারি, পুজারিনি, পাগলা, পাগলিদের সাথে এক্ষনে DNAবাহিত বিশেষ স্বপ্ন-সাকোতে যোগাযোগ ছাড়াও, জাতকার হিরক সুত্র পাঠের মাধ্যমেও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব।
'ধুতুরাfm', 'টিকটিকিদের ধুতুরায়' এবং 'ধুতুরার বাঘিনিতে', তিন ধুতুরা-কথনের শিরোনামও আসে যথাক্রমে স্বপ্নরথে চড়েই!তাজ্জব বাত এই যে "ধুতুরার বাঘিনিতে" স্বপ্ন-বৃত্যান্তটি আমার কাছে আরেকবার 'শেফালি'র বাঘিনিতে' নামেও নাজেল হয়েছিল!
যা শেফালি, তাই ধুতুরাঃ এই সমিকরনের পর বুঝতে বাকি থাকেনা যে যা-বস্তাপচা, যা-অপসংস্কৃতি তাই আসলে সর্বরোগহর মধু!কবিতার নিত্যপ্রয়োজনিয় চেহারা নিয়ে ভাবতে যারা ভয় পায়; যেসব কবি পাপ করতে চায় না শব্দের সাথে তাদের জন্য খুবই দরকারি 'ধুতুরাfm'।নান্দনিকতার সমস্ত দায় মিটিয়েও; দিন-আনা, দিন-খাওয়া ইহজাগতিক শব্দদের ভর করে চয়ন এখানে অতিজাগতিকঃ
ধুতুরাfm
বিষতত্ব
এমনত হতেই পারে, ক্ষত্রিয় রাজকুমার গৌতমের বর্নাশ্রম বিরোধি দর্শন প্রচারেরও বহু বহু আগে, বৈদিক আর্যদের পৈশাচিক সতিদাহপ্রথা আরোপের আগে অব্দি ভারতের মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড়দের গৃহদেবতার নাম ছিল 'ধুতুরা', গৃহলক্ষিকে ডাকা হতো 'ধুত্যুরি'! পুজারি পুরোহিতদের সম্মানিত পদবি ছিল 'পাগল'!
মহেঞ্জোদারো থেকে গাঙ্গেয় সন্দিপে আর্যাবর্ত পতাকা এবং বর্নাশ্রম প্রথা সুনিশ্চিত করবার পর বৈদিক দেব, দেবিদের মহিমা বাড়াতে পরাজিতদের আর্যরা বর্নহিন্দু, ধাঙ্গড়, নমশুদ্র, হরিজন, রাক্ষশ প্রভৃতি নাম দেয়।হতেই পারে যে হেরে-যাওয়াদের পুজনিয় শব্দগুলোতে হিনমাত্রা যোগের নিমিত্তে বেদান্ত-অনুসারিরা ধুতুরা সেবনকারি পুরোহিতদের পদবি 'পাগল'কে মানষিক ভারসাম্যহিনতার সমার্থক করে তোলে! ধুতুরা সেবনের নিরাপদ লৌকিক নিয়মগুলো যাতে আর কেউ মনে না রাখতে পারে তা নিশ্চিত করতে ব্রাম্মন পুরোহিতেরা নিস্ক্রান্ত "পাগল"দের জিব উপড়ে দিতে থাকে; আর ধন্বন্তরি দেবি "ধুত্যুরি"র চুড়ান্ত অবমাননার জন্য ওর নামের পাশে চিরস্থায়িভাবে 'ছাই' শব্দটি বসিয়ে দেয়!
মুস্লিম অধিপতিরাও ধুতুরা-মন্দির ধ্বংশ এবং পুজারিদের নিগ্রহের বৈদিক চল অব্যাহত রাখে।ধারনা করা যেতে পারে বর্নাশ্রম-বর্জন-আন্দোলনের সময় তখনো এখানে ওখানে পাতাল নেটওয়ার্কে ছড়ানো ধুতুরা-পুজারিদের সাথে গৌতমের যোগাযোগ হয়েছিল; যারা সর্বাংশে বোধিস্বত্ত্বের সঙ্ঘে যোগ দিয়েছিল এবং তাকে হিতকথন প্রচারে শাষকের সংস্কৃত ব্যবহার না করে অন্ত্যাজ় পালি ব্যবহারে অনুপ্রানিত করেছিল।একই নেটওয়ার্কে মহাবিরের অনুসারি জৈন সাধুরাও যোগ দিয়েছিল, যা ব্যাহত হয় সম্রাট অশোকের বুদ্ধ মতবাদ গ্রহনের পর বৌদ্ধিক জ্যাষ্ঠ ভিক্ষুদের ক্ষ্মতায়নের উদগ্রতায়।
ধুতুরা দেব, ধুত্যুরি দেবি এবং পুজারি, পুজারিনি, পাগলা, পাগলিদের সাথে এক্ষনে DNAবাহিত বিশেষ স্বপ্ন-সাকোতে যোগাযোগ ছাড়াও, জাতকার হিরক সুত্র পাঠের মাধ্যমেও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব।
পরাজিতদের শব্দগুলো আমাকে নিয়তই ভাবায়।ইতিহাসের আড়ালে চলে যাওয়াদেরযে-দ্বন্দ, যে-দেহছন্দ, তার প্রতি পক্ষ্যপাতের কারনেই বাংলাভাষাতে বৈদিক বানান-বিকার, শ্রেনি্ভেদ ও ধর্মবৈষ্যম্যের প্রতিক লম্বা ঈকার, লম্বা ঊকার ও চাদবিন্দুর ভ্রু-কুচকানি
এ-সঙ্কলনে উপেক্ষা করা হয়েছে! যে-স্বপ্নরথে চড়ে এ-কবিতাত্রয়ি আমার কাছে
এসেছিল; মাঝে মাঝেই সে-বাহনে নিওনের মতো জ্বলছিলো, নিভছিলো চড়ুইদের ভাষাতে
একটা শব্দবন্ধঃ 'ভাংগা লিরিকের,মোজাইক'!নিউরোলোজি আমাদের জানায়: দশায় পাওয়া স্বপ্ন,
মিথ্যা কিম্বা ভুল নয়!
'ধুতুরাfm', 'টিকটিকিদের ধুতুরায়' এবং 'ধুতুরার বাঘিনিতে', তিন ধুতুরা-কথনের শিরোনামও আসে যথাক্রমে স্বপ্নরথে চড়েই!তাজ্জব বাত এই যে "ধুতুরার বাঘিনিতে" স্বপ্ন-বৃত্যান্তটি আমার কাছে আরেকবার 'শেফালি'র বাঘিনিতে' নামেও নাজেল হয়েছিল!
যা শেফালি, তাই ধুতুরাঃ এই সমিকরনের পর বুঝতে বাকি থাকেনা যে যা-বস্তাপচা, যা-অপসংস্কৃতি তাই আসলে সর্বরোগহর মধু!কবিতার নিত্যপ্রয়োজনিয় চেহারা নিয়ে ভাবতে যারা ভয় পায়; যেসব কবি পাপ করতে চায় না শব্দের সাথে তাদের জন্য খুবই দরকারি 'ধুতুরাfm'।নান্দনিকতার সমস্ত দায় মিটিয়েও; দিন-আনা, দিন-খাওয়া ইহজাগতিক শব্দদের ভর করে চয়ন এখানে অতিজাগতিকঃ
জয় তাবত বিষবৃক্ষ, জয় ধুতুরা পরমেশ্বর, জয় ধুত্যুরি পরমেশ্বরি।
আশ্বিন ১৪১৬
অক্টোবার ২০০৯/লন্ডন
পরিমার্জনা ২০১৭/ব্রিটানি
স্বত্ত্বঃ চয়ন খায়রুল হাবিব
ধুতুরা ধুত্যুরির প্রেমাসক্ত দংশনে জন্মেছি আমরা সবাই
আলিঙ্গনের সেই সুনিবিড় টুপটাপ বেমালুম ভুলে এখন থেকে থেকে
আনমনা চুপচাপ-কিন্তু ঝরে পড়বার বিরহকাতর বজ্রপাত
ধরে রাখি খেলনা অথচ প্রমান সাইজ বাঘিনিদের চোখের মার্বেলে
এরকমই এক বাঘিনিকে ছয় বছরের শিশু মাতিস
কিনেছিল আটলান্টিক পারের ভ্যান শহরের হাইপার মার্কেটে
নাম দিয়েছিল মেলানি-খেলনা বানাবার চৈনিক কারখানা ঘুরে
বাদাবনের আঠালো কাদামাখা নখে আচড়ে আচড়ে
মেলানি মাতিসের তুলতুলে ডি,এন,এ'তে লিখেছিল
বাঘিনিদের মানায় কেবল শিশুদের বিছানায়
এবং চিড়িয়াখানায়-কারন বাঘিনিরাই ধন্বন্তরি দেবি ধুত্যুরি
আর শিশুরাই বোঝে কোনটা নকল কোনটা আসল ধুতুরা
আবারো বলিঃ সবকিছুই প্রথমে জন্মেছিল আসমানে
ধুতুরাবাহি মস্তিস্কের স্বায়ত্ত্বশাষনে-সাবধান, খামোশ
একটুর থেকে একটু এদিক ওদিক হলে
শুরু হয়ে যাবে পরমাত্মার আখেরি আজাব
চিড়িয়াখানার গরাদের শুরু শিকারের ফাদেঃ
খেলনা বাঘিনির নখে যে বাদাবনের কাদা
আর সুন্দরবনের লক্ষিন্দর বেহুলাতে যে তান্ত্রিকতার বিজ
এক শব্দে এক জওয়াবে তা লহুর ফসফরাস
কিম্বা শোকসন্ত্রস্ত ধুতুরার সন্ত্রাস
যার এক পিঠে শয়তান বেলজেবাব আরেক পিঠে
একঘেয়ে ইশ্বরের একচোখা স্বভাব-মানে যা চিড়িয়াখানা
তাই কিন্তু আসলে সাবালকের খাটিয়া আর নাবালকের দোলনা
এক চোখ বন্ধ করে আরেক চোখে দেখুন
চয়নের সত্যাসত্য নিজেরাই পরখ করুনঃ মেক্সিকান শামান
দন হুয়ান যাকে ডাকে ধুতুরা ঢাকার হাইকোর্টে তাই পাগলার নুরা
আর পাগলিনি নুরি হ'লো ধন্বন্তরি দেবি ধুত্যুরি
আর্য পুরোহিতেরা দ্রাবিড়দের গৃহলক্ষি ধুত্যরি দেবিকে
"ধুত্যরি ছাই" বলে কলঙ্কিত করবার বহু বহু আগে
ভরা ভাদ্রের শুকনায় ক্ষনার সুবচনের এন্টেনায়
শিলাভাঙ্গা তক্ষশিলার তান্ত্রিকদের তাজিবি এক গানঃ
পথ ও পদ্ধতির পেরেশানির আর দরকার নাই
তবে বসার এমন একটা জ়ায়গার দরকার
খোলাকাশের নিচে শত বৃষ্টিপাতে কস্মিনেও যা ভিজবে না
সংবতসর সন্দিপের জনপদ বানজলে ডুবলে ডুবুক
শ্রিমঙ্গলের নিরলে জাফলঙ্গের রংগমহলে তবুও নিড় বাধুক
দুইটি পাতার মধ্যখানে একটি কুড়ির ধুক পুক
দেহপিরের কোন মুরিদ নাই-সকলেই মধুপোকা সকলেই কুমিল্লার রসমালাই
সকলে সকলের ধুতুরার পির সকলেই সকলের ধুত্যুরি ছাই
চঞ্চল চিনিচম্পা কাঠালিচম্পা মোবাইল ফোনে
হরিজনে গৌড়জনে একপাতে বসে
চাউলপড়া পানিপড়া তসবির পাশে
লাউয়ের খোলের টুং টাং ধুতুরাগিতি শোনে
বিড়বিড়ায়া কিড়মিড়ায়া বলে
ঐ দেখা যায় হাইকোর্টের ধবল সাদা গম্বুজ
ঐ দেখা যায় ময়লা জাঙ্গিয়া পরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের তেল চিটচিটা চতুর্ভুজ
কপালফাটা সংসারের সুড়ংগ পারাইলেই
তকমা-আটা বিচারপতির হাতুড়ায় ঝলসায়
পাগলা নুরার ধুতুরা-চিবাও কিন্তু খাইওনা
ঝাকাও এবং মাল মাথায় নিয়া ঝিম মেরে থাকো
খোলাকাশের নিচে সেই জায়গাটায় গিয়ে বসো
শত বৃষ্টিপাতে কস্মিনেও যা ভিজে না
শুকনা অথচ আঠা আঠা পিরিতির উইঢিবি
ঐটা আসলে পোয়াতি মিসেস নুরার সাদা কালো ছবি
চান্দ রাইতে মজাক্কে মারো
মিস্টার এন্ড মিসেস নুরার খানদানি সিন্নি
জুইফুলে মাখা উইপোকাতে সিধ্ব ঢাকাই কাচ্চি বিরানি
পাক্কির পাকস্থলিতে তার পরে পড়োঃ
যাহা ধুতুরা তাহাই পাগলার নুরা যাহা ধুত্যুরি তাহাই ধন্বন্তরি
মিস্টার ও মিসেস নুরার ধুতুরা বার্ষিকিতে
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আর ধর্মের যাযকদের বিরুধ্বে বেরিকেড
উহাদের সন্তান সন্ততিদেরও এ-দমদমায় প্রবেশ নিশেধ
আহা ধুতুরা ইহি ধুতুরা উহু ধুতুরা অস্ফুটে বোলে
ধুত্যুরি দেবির চরনকমলে ওড়াও ওড়াও মহেঞ্জোদারো
হরপ্পা ওয়ারি বটেশ্বরের ধন্বন্তরি দেহ-ছাই
পোড়াও পোড়াও কারন ধুতুরা ধুত্যুরি ছাড়া কাহারো কোথাও কেহ নাই
চয়ন খায়রুল হাবিব
২৮/০৯/০৯
লন্ডন
টিকটিকিদের ধুতুরায়
পোড়াও পোড়াও বাস্তুভিটাঃ ধরো দেখলে একটা টিকটিকি
তক্ষন তক্ষন ধুতুরার খোজ না পেলে দেহপিরের মহাসর্বনাশ
কারন সকল ধুতুরার অন্তরে
টিকটিকি আর টুকটুকুর একত্র সহবাস
যেমতি বাস স্টেষানে পকেটমারেরা
ধুতুরা মিশায় দেয় গৃহস্থের লালশাকমাখা ভাতের থালায়
সেমতি যে তিরস্কার তা ধুতুরার নাহক অপব্যবহার
যেহেতু ধুতুরা কস্মিনেও খলনায়ক খলনায়িকা নয়
ধুতুরায় নিহিত জিবনশাস্ত্রের অনাদি মিলন-কাবিন
টিকটিকি আমাদের কেরামিন টিকটিকি আমাদের কাতেমিন
দেখা মাত্র যত পারো টিকটিকি ধরো
এবং খাজুরাহ থেকে বোরব্বই খোজো ধুতুরা
ধুতুরার সাদা ফুলে জ্যান্ত জ্যান্ত টিকটিকি জড়ায়ে ভাজো
সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ সঞ্জিবনি পাকোড়া
চোখ ফিরে পাবে কানা তরতারায় দৌড়াবে আজন্ম খোড়া
কিন্তু ভেজালের সংসারে কি তেলে ভাজিবে হে ধুতুরার অপার মহিমা
নামে ভাজা কিন্তু কামের বেলাতে আসলে
ধুতুরা হ'লো সিধ্ব-কারন ভবের হাটে
নিষ্ঠাতেই রিধ্ব হয় সেবনকারির অন্তর-ফসল
যাকে বলি তেল তাই আসলে মাতিসের মায়ের রক্তভাঙ্গা জল
খবরদার টিকটিকি বা ধুতুরা
আলাদা আলাদা খাওয়া একদম বারন
বিজড়িতভাবে কলিজায় প্রবেশ করলে
শরিরে ছড়াবে সে বিরহের বিষন্ন স্মরন
শিকড়ে যা ছিল ফরিয়াদ স্বপ্নে তাই ধুতুরার ফুলেল প্রমাদ
চয়ন খায়রুল হাবিব
২৯/৯/০৯
লন্ডন
ধুতুরার বাঘিনিতে
খেয়াল করে দেখুন-শিশু মাতিসের বিছানাতে
যে-প্রমান সাইজ বাঘিনি তার গোলাপি নাকে
ধুতুরার লালচে কমলাভো বোটা
বঘিনি্টার পুরো শরিরটাই আসলে একটা অতিকায় ধুতুরা
লৌকিকতার জটিল খেলনাঘরে
অলৌকিকতার এক আচম্বিত অথচ সহজ পুর্নিমা
দ্রাঘিমায় তার মাঘ মাস আর পাপড়ি পরম্পরায়
শরম শরম ধুতুরা কেবলই বাঘিনি গরম
হুঙ্কারে হুঙ্কারে গরান কাতর
নন্দনের নিরামিষ কপালে আমিষের ১০৭ডিগ্রি জ্বর
ছোক্লার সাথে চিনাবাদামের ঠোঙ্গার গিঠ্যু
সন্যাসির পাকানো জটাজ়ুটে গালভাঙ্গা হরিতকি লাট্যু
হতভম্ব ট্রাফিক পুলিশের ঘাম জ্যবজ্যবে
ইউনিফর্মের ভেতর আটকানো নাদুশ নুদুশ
জোকারের জাবেদা খাতায় জিবন্ত-মরনের ঘুশ
কড়ায় গন্ডায় আদায় করেছে বাঘিনি ও ধুতুরা
হায় হায় তবুও ন্যজ্য বেতন ছাড়াই সাংগ
বনরক্ষিদের মাইলকে মাইল শ্রমঘন্টার গোজামিল খতিয়ান
কদমবিহিন ভবনের নাম য্যমন নিপবন
ইটভাটার চুল্লিতে তেমন পৌষের ক্ষরন
আর মাঘের ইমনঃ হলুদিয়া জ্বলতেই হারানি
সবুজ মরিচে গড়ানি-কালবেলার লাল মরিচে
শিশু মাতিসের তন্দ্রামতো ঘুম্পাড়ানিঃ পাগলাপারা ভিটাহারা
ধুতুরাদের চোখ ও চেহারাজুড়ে বাঘিনিরা জ্বলছিলো আর নিভছিলো
নিভছিলো আর জ্বলছিলো
ধুতুরা ও ধুত্যুরি গোত্তা খেয়ে মাতিসের শোবার ঘরে সাই সাই
সাইরেনে ছিটকে বেরোয় বাঘিনিদের ধক ধক চোখের কোটর
রাতভর চৌপর মাতিসের সুন্দরমন মটকাচ্ছে আয়েশি সুন্দরবনের ঘাড়
খেয়াল করে দেখুন খেয়াল করে দেখুন
বাঘিনিটার পুরো শরিরটাই আসলে একটা অতিকায় ধুতুরা
চয়ন খায়রুল হাবিব
৩০/৯/০৯
লন্ডন
ছবি : জা মিশেল বাস্কিয়া
গ্রন্থিকা হিশেবে ২০১০ এ প্রকাশিত