Thursday 1 June 2017

মার্ক শাগালের রোমিও জুলিয়েট

Marc Chagall, Romeo et Juliette, 1964

রোমিও কিম্বা ল্যাজারাস পুনর্জন্মে আমার দেখার ইচ্ছায় পেলাম

শাগালের তেলচিত্রে টুথপেস্টের ফ্যানামাখা জুলিয়েটের ঘরোয়া সকাল
দেখামাত্র শাগালের তেলচিত্র ছাড়ায়ে চয়নেস্ক-কল্পনা উথাল পাথাল

ঢাবি গ্রন্থাগারের সামনে বৈশাখের শুরুতে যে মেহগনি-নিম গাছটা ঝড়ে উপড়ালো
তার কচি পাতা ছেচে বানানো ঝাঝালো টুথপেস্টে ঐ গ্রন্থাগারের তাবত বইপত্রের রস
এবং অল্পদুরে শায়িত নজরুলের কোকিল মিস্ট গান এবং জয়নুলের কাঠকয়লার ফিউশান
একটু ফিরোজা বেগম একটু কমল দাশ গুপ্ত... আর কি চাও একটা টুথপেস্টে
অতিথির তারাপদকে ডেকে বলো টুথপেস্টের ফ্যানামাখা মালকিনকে আড়বাশি শুনাইতে

জুলিয়েটগো উঠো, নাটক শেষ, মঞ্চে আর কতকাল শুয়ে থাকবা
মঞ্চেরওতো শেষ নাই, এই বাদ সেই বিসম্বাদ, এই তত্ব, সেই আমসত্ব

কিন্তু জুলিয়েট চয়নকে তার ঘরোয়া সকাল দেখতে দিবে না
সে তাকে পরিক্ষার হলে পরিক্ষাপত্র দিয়ে বেমালুম ভুলে গেল
না কি তত্বের দানো তাকে আরেক জঙ্গলে লুকায়ে রাখলো

সেকারনে প্রানের প্রগলভতা ছাড়া ব্যাং রাজকুমার রোমিওর আর উপায় থাকে না
ভাল লাগাকে সে বিমুর্ত করে না
মঞ্চের বাইরে সে জুলিয়েটরুপি জুলেখাকে চিনতে পেরেছে রাস্তার ঐ পাশে
কিন্তু তারা সবাই ইদের কেনাকাটি ইত্যকার বিয়াশাদি এবং ইফতারর পার্টিতে ব্যাস্ত

রোমিওর চুলে পাক ধরেছে
রোমিও আর ব্যালকনির বাগানবিলাসের ঝাড় আকড়ে ঝুলে থাকতে পারছে না
রোমিও ফিরে যাচ্ছে রোমিওর ভুমিকা ছেড়ে সুচরাজার ভুমিকায়
জুলিয়েট কলকুচি করে রোমিওর দেহে আরো আরো সুচ ভরে দিচ্ছে
আর কলকল করে হাসছে যাতে সেই মেহগনি-নিমের রহস্যময় সুগন্ধ

সুচরাজা রোমিওর
হাজার সুচের উপর শবাসনে  মুখ উপুড় করে শুয়ে পড়লো জুলিয়েট
জুলিয়েটের নিমরস ভিজা রক্ত চুয়ে চুয়ে রোমিওর উপর ঝরতে লাগ্লো
রোমিও এবং ল্যাজারাসের সাথে
জিবন বদলাবদলি করা চয়ন এইভাবে জুলিয়েটের ব্লাড ডোনেশান পেলো

ঘটনাটা গোধুলির ব্যালকনির নিচে দাড়ায় বলবার পর
টুথপেস্টের ফ্যানামাখা হাসি ছড়ায়ে জুলিয়েট বল্লো, ধ্যাত
কি যে বলেন এইসব, কোন আগামাথা নাই
আসেন বুইড়া রোমিও, আপনার স্বকাশে এইবার ইফতার সাজাই

সকালের টুথপেস্টের ফ্যানামাখা হাসি কিভাবে গোধুলিতে গড়ালো
বাজেটের হিশাবকে গোল্লায় পাঠায় কবিতার পরম হিশাব মার্ক শাগালে হারালো


চয়ন খায়রুল হাবিব
২/৬/১৭
ঢাকা