কাভাফি নামে খ্যাত গ্রিক কবির পুরো নাম কন্সটান্টিনোস পেত্রো কাভাফেস!মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াতে গ্রিক পরিবারে জন্ম এবং বসবাস।জন্মঃ ২৯শে এপ্রিল, ১৮৬৩, মৃত্যুঃ ২৯শে এপ্রিল, ১৯৩৩।মোট প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা ১৫৪।সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন কবিতাটি লেখেন চল্লিশতমো জন্মদিনের পর!
কাভাফিকে নিবেদিত কবিতাঃ
যে তুমি আগন্তুকঃ নদিমাতৃক গোধুলিকে জ্বালায়েছ শব্দহিনতার সান্ধ্যভাষায়
মাথায় বেতে বোনা টুপি
গায়ে ঢিলাঢালা গরমকালিন পোষাক
সভ্যতার পুরানা প্রতিনিধির বেশে ফিরছিলে ঘরে
আলেকজান্দ্রিয়ার অস্তাচলগামি দফতরে
বর্বরেরা বর্বরতাকেই কবিতার মোড়কে
এবং সভ্যতাকে বার বার বর্বরতার স্মারকে
ফলে বর্বরতা সভ্যতা কবিতা উতসবের গোজামিল থেকে
কাভাফি পাষ ফিরে দাড়াঁয়
কিন্তু লোকটাতো আপাদমস্তক শহুরে
অর্থাৎ স্মৃতি ভারাক্রান্তঃ
ঘরভর্তি মায়ের পুরানা আসবাব উপচানো নথিপত্র-বই
আর আলেকজান্দ্রিয়ার ধুলা নিচের তলায় পতিতালয়
প্রকাশকেরা চায় নাই
কাভাফিও কোন প্রকাশককে কখনো কোন পান্ডুলিপি দেয় নাই
প্যাম্ফলেট, বুকলেট বের করে বিলাতেন কফিখানায়
নির্বাচিত বন্ধুদের আড্ডায়
প্রকাশকেরা তাহলে কি বর্বরতার প্রতিনিধি ছিলো
কবি না হলে লোকটা ইতিহাসবিদ হ'তো
এরকমটা তার মনে হয়েছিলো একরাতে টলেমি সংগ্রহের ব্যবচ্ছেদে
কিন্তু রাত না পোহাতেই ইতিহাস দূরে ঠেলে
আত্মাকে ফেরালেন কবিতার খেরোখাতায়
গান্ধারার ধ্বংশস্তুপে দেখলেন বুড়ো বাবাকে যিশুর ক্রুশ হাতে
কবি বাবাকে ভালবাসলেন ভালবাসলেন যিশুকে সমকামের বন্ধনহিনতায়
পানশালা থেকে বেরোতে বেরোতে বেজে গেলো রাতের একটা
কাছাকাছি কানাগলিতে আলো আধারির ছায়ায় দাঁড়ানো জ়োনাক-যুবক
শরিরের উস্কানি খোলে শরিরের কারাগার
কাভাফির কাছে কি ঐ মাংশপিন্ডদের কোন নাম নাই
ঐ মাংশপিন্ডরা কি কবির কাছে মানুষের পরিচয় পেয়েছিলো
পাশ ফেরা মানুষটিকে দাড়াবার শক্তি যোগায়েছিলো যে শরিরের উস্কানি
সে-শরিরের কাছে অশরিরি নিবেদনগুলা ঝরে রাতকানাদের বিমুর্ততায়
লোকটার জন্মদিবসই লোকটার মৃত্যদিবস
এবং তাও বোকাসোকা এপ্রিল মাসে
শেকড়বিহিনতায় প্রকৃত আধুনিকতার উদ্বোধন
ইতিহাসে বন্দি লোকটা সমকাল থেকে আলতোভাবে মুখ ফিরিয়েছিলো
চয়ন খায়রুল হাবিব
১০/১১/১০ লন্ডন