Sunday 15 July 2012

শহীদ সাবের এবং নিদাঘের কদম


শহীদ সাবের শ্রদ্ধাভাজনেষু।শহীদ ওনার নামের অংশ।



পঞ্চাশ দশকের আজিম্পুর ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলের  খন্ডকালিন শিক্ষক শহীদ সাবের, ছাত্র মাহমুদুল হক বটুর কথনে মুগ্ধ হয়ে 'জীবন আমার বোন'কে হাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে দৈনিক ইত্তেহাদে কবি আহসান হাবীবের সম্পাদকিও দফতরে!বারাসাত থেকে আসা বটুর বয়স তখন ১৬'র কম আর শহীদের বয়স ২০ ছুই, ছুই! গত ইদেও শহীদ জেলের ভাত খেয়েছে চিটাগাংয়ে রাজবন্দিদের সাথে যেমনটা বরাবর মেট্রিকের পর পর একটানা চার চারটা বছর!

 শহীদ সাবেরের মেধাকে পাকিস্তান বন্দি করে।শহীদ সাবেরের শরিরকে পাকিস্তান পুড়ায়ে মারে।

আন্দাজি কিছু বলতে চাই না, গনতকারের টিয়াপাখি চালান দেয়া চালবাজি ছাড়াই দেখতে পাই, আহমেদ সফা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অধ্যাপক রাজ্জাকের কাছে এসে বসে থাকছে, কি একটা নজরদারি বহাল রাখছে, সবখানে জাতিয় অধ্যাপকের  দোহাই পাড়ছে!কিন্তু জুডাসের চাল জেসাস জানতে পারে ভোরের মোরগ তিনবার ডাক দেবার আগেই।অধ্যাপক রাজ্জাকতো আর ঘাস খেয়ে হ্যারল্ড লাস্কির কাছে সাম্যবাদের হাতেখড়ি নেন নাই যে সাম্যবাদের শত্রুপক্ষ্যকে চিনতে পারবে্ন না!এত লোকের জন্য এত কিছু করেছেন, কিন্তু ১৯৭৫এর কথিত পট পরিবর্তনের পর ১৯৭৬এ 'বাঙ্গালি মুসলমানের মন' আবিস্কারক আহমেদ সফার বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য  কখনোই তদবির করেন নাই!

জুডাসকে সুপারিশ না করে অধ্যাপক রাজ্জাক কিন্তু আমাদের শহীদ সাবেরের কদম পোড়ানো ভোরের দিকেই নিয়ে গেল!

খুব ধ্বন্দে পড়ে যেতেন আপনি শহীদ সাবের!হুমায়ুন আজাদের মত আক্রান্তও হতে পারতেন!পাকিস্তানপন্থার এপলজিস্ট সফার অনুসারিরা ইসলামি ছাত্রশিবিরের বিজয় চাওয়া আল মাহুমদ নিয়ে যতই কুটতর্কের ফেনা ঝরাক,নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আপনার সহবন্দি ইলা মিত্রদের ধর্শন জায়েজকারি আল মাহমুদের কবিতা আমার শ্রেষ্ঠ বাংলা কবিতার সঃঙ্কলনে নেবনা।অবস্য কবিতা বলতেতো সেই কদমেরই কহর!

গুচ্ছ গুচ্ছ কদম ছুড়ে মারি আকাশে চৈত্র মাস যাতে না কেদেই পেরিয়ে যায় ১৯৭১এর ৩১শে মার্চ আগুন ধরায়ে দেয়া 'দৈনিক সংবাদের' দফতর!

চয়ন খায়রুল হাবিব
১৫/০৭/১২
ব্রিটানি