Wednesday 4 July 2012

বাংলা একাডেমি এবং ভাষা-ভ্যাসেক্টমি



২০১২তে কবিতাতে অসিম সাহা, কামাল চৌধুরি, ''রচনা'' লেখার জন্য ''বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের'' প্রতিষ্ঠাতা  আব্দুল্লাহ আবু সায়িদ, উপন্যাসে ''প্রথম আলো''র কর্মকর্তা আনিসুল হক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ইংরেজি বিভাগের লাল, নিল অধ্যাপকসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখাতে পুরস্কার দিতে ৯/১০জনকে খুজে বের করলেও, নাটকের কোন পান্ডুলিপি না কি বাংলা একডেমি খুজে পায় নাই!

প্রচারনার গুনে অকবিকে কবি, অলেখককে লেখক বানায়ে বাংলা একডেমি বেশ আগেই জাতিয় ভাষার হাল কিলায়ে পাকানো জাতিয় ফল কাঠালের চেয়েও নিচে , থ্যাতলা কাঠালের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে! সাহিত্যের প্রানস্পন্দনের প্রতি কিল, ঘুষির সাথে এবার চড়,থাপ্যড়, লাথিটাও যোগ হ'লো।গাছপাকা আর কিলায়ে পাকানো কাঠালের স্বাদের পার্থক্যটা বাংগালির কি আর মনে আছে?কিলায়ে পাকানো কাঠালের বিচির তরকারির স্বাদও বেশ পানসামারা!বাংলা একডেমির ডাইরেক্টর জেনারেল বলেছেন যে ''নাটকে''র কোন পান্ডুলিপি খুজে পান নাই!দুই দলের মনোনিত কথিত গবেষক, রচনা লেখকদের ভাগাড়ে কি আর পান্ডুলিপি'র খোজ পাওয়া যাবে?সংগ্রামটা আসলে জুলেখাদের আনারকলিতে পরিনত না হতে দেবার সংগ্রাম!এই সংগ্রামে আবার মনে রাখা দরকার  কাঠালগাছের শিকড় পোক্ত না হলে শত্ কিলাকিলিতেও কোন ফলোদয় হবে না!কিলানো কাঠাল  ক্যানসারে রুপ পরিগ্রহ করে সমাজের প্রত্যেক স্তরে সংক্রমন ঘটালে, তার অস্ত্রপচারটাও আর ভিতর থেকে সম্ভব না!

টিউমারকে শুভেচ্ছার বরমাল্য পরায়ে ঢাকা, কোলকাতাসহ প্রবাসি ডায়াস্পোরাতে বিস্তৃত হয়েছে আত্মিক শুভঙ্করের ফাকি!কিছুদিন আগে আর্টস, বিডিতে হাসান আজিজুল হক সহ সমকালিন সাহিত্যিকদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ''বাংলা ভাষার প্রতি কোন হুমকি আছে কি''!প্রতিক্রিয়াতে বিষদ করেছিলাম নিজের মনোভাব।পরে যখন সবার প্রতিক্রিয়া একসাথে বের হ'লো, তখন দেখলাম ভাষা নিয়ে কেউ মুখ ফুটে বেশি বলতে চায় না!যে যত বেশি টিউমারের কাছাকাছি, তার অবস্য গতিজড়টা ততই বেশি হবার কথা!বাংলা একডেমির ততপরতাও যে বাংলা ভাষার ডাইনামিজমের প্রতি একটা বড় ধরনের হুমকি তাও বোধ করি উত্তরদাতাদের এক নিরুচ্চারিত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল!

সকলের জাতিয় কর্তব্য এক্ষনে বাংলা একডেমির তরফে একজন নাট্যকারের সন্ধান!তবে সহি নাটক লিখতে হলে সেই নাট্যকারকেতো প্রথমে আবার লাল, নিল, সাদা, কালো একটা পাইড পাইপারি জোব্বা জোগাড় করতে হবে!কিলায়ে পাকানো কাঠালি থিয়োরিটাও প্রনিধানযোগ্য।

চয়ন খায়রুল হাবিব
৪/০৭/১২
ব্রিটানি

পোস্টের উপরের ছবিতে  প্রয়াত অগ্রজ কবি মুক্তিযোদ্ধা সাবদার সিদ্দিকী'র ক্যালিগ্রাফি !সাব্দার সিদ্দিকীর জিবতকালে, ১৯৫০-১৯৯৪ কোন সংগ্রহ বের হয় নাই, যদিও ওনার প্রচুর কবিতা বিভিন্নখানে ছাপানো হয়েছে।সাবদার বাংলা একডেমির ভাষা-ভ্যাসেক্টমি থেকে মুক্ত ছিলেন!