Thursday, 23 January 2020

বাঙালির উত্তরাধিকারে বাঙালি নারি রবাহুত নয়।



ফেসবুকে জুলেখা সিরাপ পেজে সামনের একুশে বই মেলাতে প্রকাশিতব্য বিভিন্ন বইয়ের বিজ্ঞাপন আসে।রিভিউ তেমন চোখে পড়ে না।লেখকরাও পারস্পরিক রিভিউ এড়িয়ে চলেন, যার ফলে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক পিয়ার্স রিভিউ ধারাটি প্রায় উবে গেছে, যট্টুকু যা সমালোচনা তা হয় দলপাকানো নেটওয়ার্কিং এর বাহবাবাজি বা প্লাজিয়ারিজমের চোথা মারা ভুশিমাল।এসবের ভেতর নাসরিন জয়া হক জুলেখা সিরাপ পেজে তার কড়াপাকের ইংরেজি সমালোচনাসহ ধরিয়ে দিলেন সাদিয়া মাহজা্বীন ইমাম ও পুলক দেবনাথের যৌথ সম্পাদিত , চেতনার উত্তরাধিকার বইটির বিজ্ঞাপন।দ্বিতিয় শিরোনামে লেখা, ভাষা, দর্শন, সংস্কৃতি/কালোত্তীর্ণ পঁচিশটি প্রবন্ধ।নাসরিনের সমালোচনাটি সাদিয়ার বিজ্ঞপ্তি ঘিরে , সুতরাং সাদিয়া বিজ্ঞপ্তিতে কি লিখেছেন তা পড়া যাক :

বুধবার রাতে ২


সাইয়িদ আতীকুল্লাহ শ্রদ্ধার্ঘ
বুধবার রাতগভিরে বিমানে উড়ে আসা পেয়াজের চালান
অবতরনমাত্র পেয়াজদের সরাসরি নেয়া হলো
চন্দ্রবিন্দু আক্রান্ত ভিভিআইপি ট্রমা সেন্টারে
ঐখানে পেয়াজেরা পশু পশুগন পোকাপোকি

দিনমজুর সায়েদ আলী এবং বেগুনি কালেম



ব্রাক্ষনডোরা গ্রাম থেকে ষোড়শী বিউটিকে লাখাইতে নানুর বাড়িতে রেখে আসবার সময় দিনমজুর সায়েদ আলী কিছুদূর যেতে যেতে কখনো নৌকায় অন্যদের ভিড়ে, কখনো হাঁটাপথে ঘাড়ে রাখা যে গামছায় কপালের, ঘাড়ের, আধপাকা খোচাখোচা দাড়িমোচসহ মুখের ঘাম মুছেছিল, সে ঘামের প্রত্যেক ফোটায় আমাদের ইতিহাসের ভিতরের ইতিহাসগুলো করচ ফুলের দেহলি ছুঁয়ে, বৈঠার ছলাত ছলাতে বিউটির তেজদিপ্ত  চোখের মনিতে ঠিকরে ঠিকরে মিলায়েছিলো পানির অল্পতলের নরম  মসলিনে ছড়ানো শিংড়াফলের গহিন বুননে, যে বুনন সেচে নীলাদ্রির হাসন রাজা হাস্যচ্ছলে লিখেছিল, এগো দেখোগো আসিয়া, কমলায় নিত্য করে ঠমকিয়া, ঠমকিয়া!