Thursday 2 March 2017

পাবলিকের পুলিশ ও প্রাইভেটের পেটোয়া


(দৃষ্টান্ত হিশেবে প্রাইভেট ইউনির গুনধর ছাত্রেরা আইন নিজেদের নরম হাতে তুলে নিতে পারে এবং বসুন্ধরা গ্রুপের  নধর মালিক ও তাদের নিরপত্তা সংক্রান্ত পদস্থ কিছু কর্মকর্তাকে ঢাকার লাইটপোস্টে যে তারের নাগরদোলা, তাতে লটকায় রাখতে পারে।লটকায় রাখতে বলেছি, ফাশি দিতে বলি নাই।)
পড়তাম আশির দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।পড়াশোনার শুরুতেই প্রায় এক বছর অনির্দিষ্টকালিন বন্ধ ছিল ৮৫/৮৬র ঢাবি।আর যখন খোলা থাকতো তখন জান্তা বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের সুবাদে, জাতির সবচেয়ে মেধাবি অংশের সাথে সংলাপের ভাষা হিশাবে পুলিশের ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা, মিছিল, মিটিং পুলিশের তান্ডবি লাঠি, গুলি, টিয়ার গ্যাস ছিলো নিত্যকার ঘটনা।এসবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রচুর কথিত দ্রোহের কবিতা পয়দা হয়, যাতে সংগত কারনেই পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খুচরা অনুষংগগুলো চলে আসতো।আবার বোমার খোজে হলে ঢুকে তল্লাশি চালানোর পর ছাত্র আন্দোলনকে হেয় করতে পুলিশ পত্রিকা মারফত জানান দিত কোন ছাত্রনেতার কয় জোড়া জুতা, কয়শো জিন্স ইত্যাদি পেয়েছে। 

এখন প্রাইভেট ছাত্রদের পেটাচ্ছে প্রাইভেট নিরাপত্তা বাহিনি।এটা একটা গুনগত পরিবর্তন।প্রাইভেটে অতি ধনিদের বাইরেও  সঞ্চয়ের শেষটুকু ব্যায় করে, জমি বেচে অনেকে ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছে। মেসে থাকা প্রাইভেট গুনধরেরা এধরনের পিটানি খেয়ে প্রাইভেট ধরনের দ্রোহের কবিতা লিখবে আশা করা যায়, তাতে আমরা বার্গার ইত্যাদি খাওয়ার আর না খাওয়ার হাহাকার পাব!

পাব্লিক পুলিশের অরাজকতা এবং প্রাইভেট পুলিশের অরাজকতা কি আদতে ভিন্ন?বাংলাদেশে কখনো ট্রুথ এন্ড রিকন্সিলিয়েশান কমিশন গঠন করা হলে আমরা জানতে পারবো কোন পুলিশ সার্জেন, সিপাহি বা সাদা পোষাকের পুলিশ, ডিজিএফআই, কোন ছাত্রকে হত্যা করেছিল।মানে আমরা জানি যে সরকার এই হত্যাগুলো করিয়েছিল।কিন্তু প্রাইভেট পেটোয়াদের ক্ষেত্রে এই জবাবদিহিতার পদ্ধতিটা কি? বসুন্ধরা গ্রুপের প্রাইভেট পেটোয়া বাহিনির কথা আমরা শুনছি।এই বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলে বন্ধুকে হত্যা করে মন্ত্রিকে একশো কোটি টাকা ঘুশ দিয়ে লন্ডন পালিয়ে গিয়ে, সেখানে বসে আছে।সরকার ইন্টারপোলকে বলে তার ডিপোর্টেশান কখনো চায় নাই।এই গ্রুপ
যদি সরকারকে কিনে ফেলতে পারে, তাহলে প্রাইভেট ছাত্রদের দ্রোহের কবিটা লেখার বাইরে আর কি করনিয় থাকতে পারে?সেটা শুরুতেই লিখে দিয়েছি।



চয়ন খায়রুল হাবিব
৩/০৩/১৭
ব্রিটানি