Thursday 9 March 2023

ঢাকার আলিয়স মঞ্চে , কে এই ফ্রেডেরিক ডগলাস?

প্রাককথন

মোডিবো কোনাতে যে বাংলাদেশে এলো, সে-দেশের মঞ্চ নাটকের দশা কি রকম! এবার বাংলাদেশে আসার পর রাজধানীতে প্রথম মঞ্চ নাটক দেখতে আজ শুক্রবার যাবো ধানমন্ডি আলিয়স ফ্রসেসে। মালির অভিনেতা মোডিবো কোনাতে অভিনীত নাটকের নাম 'জা সুই ফ্রেডেরিক ডগলাস/আমি ফ্রেডেরিক ডগলাস'।

সেই সুদূর আফ্রিকার মালি থেকে মোডিবো ফরাসি পৃষ্ঠপোষকতায় দুনিয়ার বিভিন্ন শহর ঘুরে ঢাকাতে এসেছেন। নাটকটির কারিগরি নির্দেশনাতে জড়িত অনুজ জুনায়েদ, যে আমার 'ডৌল : জুলেখার জেরা পর্ব' নাটকে জেরাকারির অভিনয় করে আসছে। জুনায়েদের আমন্ত্রণে যাচ্ছি, মোডিবোর অভিনয় দেখতে, শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়। একই আলিয়স ফ্রসেসের পৃষ্ঠপোষকতায় সেখানের গার্ডেন স্পেসে, আজ ও কাল রাত আটটায় মঞ্চায়িত হবে বন্ধু নাট্যজন, পরিবেশ থিয়েটারের পথিকৃৎ  আশীষ খন্দকারের নির্দেশনায় মঁলিয়ে- এর কমেডি নাটক ‘দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস’, যার বাংলা নাম ‘বউদের পাঠশালা’ দেখা যাক, এক ঢিলে দুই পাখি বধ সম্ভব হয় কি না! বিভিন্ন দুতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় যে দেশের রাজধানীতে মঞ্চ নাটকের এতো তোড়জোড়, সেখানে মঞ্চ নাটকের পরিস্থিতিটা আসলে কি রকম?     

থাকছি উত্তরাতে, যারা উত্তরা থেকে ঢাকার অন্যদিকে কাজ করতে যায়, দুঘন্টা করে আসা, যাওয়াতে ৪ ঘন্টা ঘেমে, নেয়ে, ধুলা-বালি-দুষন খেয়ে তাদের হতক্লান্ত, বিদ্ধস্ততা এখন আমি হাড়ে হাড়ে বুঝি। তার পর আর শহরের অন্যপাশে নাটক বা অন্য অনুষ্ঠান দেখতে যাবার শারীরিক, মানসিক ইচ্ছা থাকবার কথা নয়। ইদানিং সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা অবধি উত্তরা, আগারগাও মেট্রো হয়েছে পল্লবি, মিরপুর ধরে, তাতে কমিউটারদের অবশ্যই সুবিধা হচ্ছে। মেট্রো পরিধি বাড়লে যাতায়াতে আরো কম সময় ও মেহেনত কম লাগবে। রাতে অনেক সময় উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে অটো চড়ে সেই মেট্রো লাইনের নিচের নতুন রাস্তা ধরে মিরপুর এসে শহরের বাস বা সি, এন,জি ধরি। দিয়াবাড়িতে এ-সপ্তাহে সন্ধ্যা রাতে ব্যাঙ্কের গাড়ি থেকে ১১কোটি টাকা ছিনতাই, অঞ্চলটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি তুলে ধরে। আবার কয়েক ঘন্টার ভেতর পুলিশের ৯ কোটি টাকা উদ্ধার বলে দেয় আইনরক্ষিরা জানে কোন এলাকায়, কে কি করছে। এসব ভেবেচিন্তে উত্তরা থেকে ধানমন্ডি এসে নাটক দেখতে যাবার আগের রাতে ডেরা বেঁধেছি মোহাম্মদপুরে।    

উত্তরা, মিরপুর এলাকার কথিত থিয়েটার অনুশীলকেরা পথে নেমে দাবি তুলেছে, যাতে শহরের ওদিকে 'আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন মঞ্চ' গড়ে দেয়া হয়। আধুনিক, উত্তর আধুনিক এসবই আপেক্ষিক। উত্তরা, মিরপুরে আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন যেসব কনভেনশন সেন্টার, শপিং মল, হাই স্ট্রিট শপিং সেন্টার আছে সেগুলো লন্ডন, প্যারিস, টোকিওর সাথে টেক্কা দিতে পারে। এসব এলাকার স্কুল, কলেজগুলোতেও হলঘর আছে। নাটক করতে আসলে কথিত আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ দরকার হয় না, দরকার সদিচ্ছার। উত্তরা, মিরপুরের লাখো গ্রিল চিকেন, কালা ভুনা খোরের ভেতর নিশ্চিত কাছাকাছি এসে মঞ্চ নাটক দেখবার কয়েক হাজার দর্শক আছে। যে কোনো স্কুল অডিটোরিয়ামে, বিয়ে বাড়ির কমিউনিটি সেন্টারে মঞ্চ নাটক হতে পারে। বাংলাদেশে মামুনুর রশীদ, আলী যাকের,  ফেরদোসী মজুমদার, হুমায়ুন ফরিদী, আসাদুজ্জামান নুর, সারা যাকের, সুবর্না মুস্তফা তৈরি হয়েছে ৭০ দশকের বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে, যে মঞ্চে আশির দশকেও আমি আলোক সজ্জা করেছি লবন, পানির ডিমারে। উত্তরা, মিরপুরে বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস, স্কুল অডিটোরিয়ামে হাউজি ইত্যাদি সবই হয়, কথিত নাট্যকর্মিও আছে কয়েক হাজার, কিন্তু মঞ্চ নাটক হয় না।  

বলতে হয় যে রাস্তায় নেমে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন মঞ্চের দাবি হচ্ছে আরেকটি স্থাপনার ঠিকাদারি পাবার ফন্দি। এখানে ফন্দিবাজির আগে ফিকিরটা মানে যেসব সুবিধা, অসুবিধা আছে তার ভেতর নাটক করে, নাট্যামোদি দর্শকদের আওয়াজ দিতে হবে যে এখানে নিয়মিত নাটক হচ্ছে। সর্বাধুনিক সুবিধা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি হয়ে গেছে লুটের জাহাজ। মোটামোটি সুবিধা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাটমন্ডল হয়ে গেছে নাট্যকলার শিক্ষকদের কোটারি রাজনীতির শিকার। 

কদিন আগে গফরগাঁওয়ে গিয়ে দেখেছি সর্বাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন হলঘর শুন্য পড়ে আছে, বিশাল সব এয়ার কন্ডিশনারে মরিচা পড়ছে, আর রুপবান যাত্রাপালা হচ্ছে খোলা মাঠে, খোলা আকাশের নিচে। ফেরার পথে কমলাপুরে শিল্পী রা, কাজলকে গাড়িতে নিতে এলো দুজন থিয়েটার কর্মি এবং আমিও লিফট পেলাম। সামনে বসে বসে শুনছিলাম বারডেমের প্রমোশানে গ্রাম থিয়েটার সদস্যদের ব্যাবহারের পরিকল্পনা। মঞ্চ নাটকের নিবেদিত আন্দোলন,  আন্তরিক কর্মিদের ঘিরে স্থাপনার দাবি, মিডিয়া সাম্রাজ্য সব চলছে, সে তুলনায় নতুন মঞ্চ নাটক নাই। 

মঞ্চ নাটকের রুগ্নতা বোঝা যায় এখানকার কথিত নাট্যকর্মি, নাট্যকলার ছাত্রছাত্রীদের পাঠের দুর্বলতায়।নাটকের বই বেরোয় না, মৌলিক নাটক লিখে, অনুবাদ করে প্রকাশ করলে নাটকের শিক্ষকেরাই তা ছাত্রছাত্রী অবধি পৌছে দিতে পারে না, কিন্তু রেওয়াজি অভিযোগ করেই যাচ্ছে নাটকের কোনো প্রকাশনা নেই। আমি আসার পর পর এবার লিলি-মুনীর ট্রাস্টের উদ্যগে বিশ্ববিদ্যালয় নাটমন্ডলে আমার অনুদিত ওলে সোয়িঙ্কার 'স্ট্রং ব্রিড' নাটকটির বাংলা 'রক্তবীজের' দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হলো। অতিথি ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, কবি মুহাম্মদ সামাদ ও নাট্যকলার শিক্ষক সুদীপ চক্রবর্তি। নাটমন্ডলের বাইরে কিছু ছাত্রছাত্রি সূদীপের একটি নাটকের মঞ্চ উপকরণ বানাচ্ছিলো। ঠিক আলোচনার সময় তারা উধাও। পাশের পড়ার জন্য, চাকুরি পেতে, মিডিয়াতে রেফারেন্স পেতে যট্টুকু দরকার তার বাইরে হাত বাড়াতে আমাদের নাট্যকলা, চারুকলার ছাত্রছাত্রীরাও নারাজ। অথচ বাংলাদেশে এখন নাট্যকলা, চারুকলার ফ্যাকাল্টি, ছাত্র, ছাত্রী ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের চেয়ে বেশি।

মোডিবো কোনাতের দেশে

'আমি ফ্রেডেরিক ডগলাস' নাটকের কুশিলব মোডিবো কোনাতে এসেছে সূদুর আফ্রিকার মালি থেকে। মালি বিশাল দেশ, কিন্তু বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়েও দেশটি পড়ে আছে মধ্য যুগের অন্ধকারে। যে ফ্রান্স মোডিবোকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে, সে-ফ্রান্সের পক্ষপাতমূলক বিশ্ব রাজনীতি  এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরো পেছানো, মৌলবাদী উস্কানিতে মালির মত অনেক দেশে শিক্ষার উৎসাহ থাকলেও তা আটকে আছে বিভ্রান্তির বালুচরে। কয়েক বছর আগে যখন ইটালিয়ান স্থপতি মাতেও ফেরোনি মালির গ্রামাঞ্চলে সম্পুর্ন অন্ধকারে, সাইকেল চালিত শক্তিতে বৈদ্যুতিক আলো তৈরি করে সেটা বিভিন্ন খানে ছড়িয়ে দেন, স্থানীয়দের চোখ আক্ষরিকভাবে ছানাবড়া হয়ে যায়।

মোডিবো ঢাকাতে এসে যে ফ্রেডেরিক ডগলাসের গল্পটি বলছে, তা মূলত ইয়রোপিয়ানদের হাতে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে সংগঠিত দাসপ্রথার গল্প। এটা অনেকটা  য্যানো পাকিস্তান সরকার তাদের ভাষার একজন অভিনেতা, অভিনেত্রিকে বিশ্ব ঘুরে বাংলাদেশে ১৯৭১এ ঘটানো জেনোসাইডের সত্য গল্পটা বলার জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করছে, বা তুর্কি সরকার তাদের অভিনেতাদের উৎসাহ দিচ্ছে আর্মেনিয়দের ওপর ঘটানো গণহত্যার গল্পটি বলতে, বা জাপান সরকার তাদের অভিনেতাদের চিনে তাদের ঘটানো গণহত্যার গল্পটি বলতে দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও দক্ষিন এমেরিকার দাসপ্রথা পুরোপুরি ইউরোপিয়ান উপনিবেশিকতার ফসল। ইয়রোপের মূলধারার ভাষাভাষি দেশগুলো আন্তরিকভাবে সে-গল্পের মুখোমুখি হওয়া এবং অন্য দেশে তা প্রচারিত হতে দেয়া এক অর্থে বৈষম্যকে পিছে ফেলার অভিপ্রায় এবং ক্ষমা চাওয়ার বাসনা।  আফ্রিকাতে দাস ব্যাবসাতে আরব, মুসলিম আগ্রাসকেরাও দীর্ঘকাল জড়িত ছিলো, কিন্তু আরবি বয়ানে তার উল্লেখ পাওয়া যায় না, সমকালীন আরব থিয়েটারেও বিষয়টি এড়ানো হয়।

মোডিবো কোনাতে যে ফ্রেডেরিক ডগলাসের গল্পটি বেছে নিয়েছে, সে ফ্রেডেরিক কে ছিলেন? এটা আমি নিচে তুলে দিচ্ছি, বাংলা অনলাইন পত্রিকা 'রোয়ার বাংলার' মনজুর মোর্শেদের ভাষ্যে :   
  
ফ্রেডেরিক ডগলাস          /

''১৮১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেরিল্যান্ডের ট্যালবট কাউন্টিতে জন্মগ্রহণ করেন ফ্রেডরিক ডগলাস। তিনি কখনোই তার আসল জন্মতারিখ জানতে পারেননি। কর্মজীবনে প্রবেশের পর তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন পালন শুরু করেন। তার মা ছিলেন আদিবাসী আমেরিকান, অন্যদিকে বাবা ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান। যদিও জীবদ্দশায় তিনি জানতে পারেননি কে তার আসল বাবা। ছেলেবেলায় তিনি ফ্রেডরিক আগস্তোস ওয়াশিংটন বেইলি নামে বন্ধুদের নিকট পরিচিত ছিলেন। যদিও পলায়নের পর তিনি ডগলাস নামে বেশি পরিচিতি পান।

ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে এমেরিকা স্বাধীনতা লাভের পর শ্বেতাঙ্গ নাগরিকেরা ভোটাধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সবরকম নাগরিক অধিকার অর্জন করলেও সবকিছু থেকে দূরে রাখা হতো কৃষ্ণাঙ্গ দাসেদের। কখনো কখনো দাস মালিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ইউরোপে পলায়ন করতেন অনেকে। কেউ বা বেছে নিতেন আত্মহত্যার পথ। ঠিক এমনই এক সমাজে গোপনে শ্বেতাঙ্গ শিশুদের সাথে মিশে অক্ষরজ্ঞান অর্জন করে পরবর্তীতে নিজেই নিজের জীবনী লিখে ইউরোপ, আমেরিকায় হয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। মাত্র ১২ বছর বয়সে গির্জায় গোপনে পড়াশোনার আসর জমাতেন যে কিশোর, তিনিই আরো ৪০ জন দাস শিশু-কিশোরকে দিয়েছিলেন অক্ষরজ্ঞান। কিশোর বয়সে দুবার পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সহ্য করেছিলেন অবর্ণনীয় নির্যাতন। তৃতীয়বার যখন তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তারপর অবশ্য তার পরিচয় গড়ে ওঠে বিশিষ্ট লেখক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবে।

গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যিনি যুদ্ধাহত কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের সেবা করেছেন। শান্তির বাণী বয়ে বেড়িয়েছেন। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন দাসত্বমুক্ত আমেরিকা প্রতিষ্ঠায়। ১৮৬৩ সালের পহেলা জানুয়ারি তারিখে প্রেসিডেন্ট লিংকন যখন কনফেডারেট অঞ্চলসমূহে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তখনও ফ্রেডরিক ডগলাস তার সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু যখনই লিংকন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্ত দাসদের পুনর্বাসনের কোনো ঘোষণা কিংবা প্রতিশ্রুতি আসেনি তখনই তার সঙ্গ ত্যাগ করেন ডগলাস।

ফ্রেডরিক ডগলাস বিলোপবাদী হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদানের সাথে সাথে লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৮৪৫ সালের পহেলা মে নিজের জীবনী ‘ন্যারেটিভ অব দ্য লাইফ অব ফ্রেডরিক ডগলাস’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন তিনি। যদিও পুরোপুরি প্রকাশ হতে সময় লেগেছিল ১৫ বছর। ১৮৬০ সাল অবধি বইটির প্রায় ৩০,০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল। যা-ই হোক, এরই মধ্যে তার পিছু নেয় শ্বেতাঙ্গ দাস মালিকেরা। কারণ সাংবিধানিকভাবে তখনও দাসপ্রথা নিষিদ্ধ হয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়াও তার পূর্ববর্তী মনিব তার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হন। এমতাবস্থায় ফ্রেডরিক ডগলাস বাধ্য হয়ে পাড়ি জমান লিভারপুলে। বোস্টন বন্দর থেকে জাহাজযোগে সরাসরি সেখানে পৌঁছান তিনি।

১৮৮২ সালের ৪ আগস্ট ৬৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ফ্রেডেরিকের প্রথম স্ত্রী আনা ডগলাস। তার মৃত্যুর পর বেশ শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েন ফ্রেডরিক। যদিও ১৮৮৪ সালে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সেসময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী হ্যালেন পিটসের বয়স ছিল ৪৬। পেশায় শিক্ষিকা হলেও হ্যালেন ছিলেন পারিবারিকভাবে বিলোপবাদী এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। ১৮৯৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে মৃত্যুবরণ করেন ফ্রেডরিক ডগলাস।'' (অংশটি নেয়া হয়েছে, 'রোয়ার বাংলা', মনজুর মোর্শেদের লেখা থেকে।)


চয়ন খায়রুল হাবিব 

১০/০৩/২৩

ঢাকা, বাংলাদেশ