মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মুর্তজা বশীর
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথম ভারতিয় মুসলিম, যিনি ভারতের বাইরে এসে পি, এইচ, ডি করেছিলেন।
প্যারিসের সোরবোনে ওনার বিষয় ছিল চর্যাপদ।লিখেছিলেন, ''আমরা
হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি।''ছেলেদের
ভেতর আবুল খায়ের মুর্তজা বশীরুল্লাহ নাম ছেটে হলেন মুর্তজা বশীর, শুরুতে
ঊকার বসাতেন।ছেলেকে ভতসনা করে শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ''মূর্খের দীর্ঘ ঊ-কার
হয়। তুমি তো মূর্খ নও। তুমি লিখবে ম’তে হ্রস্য উ-কার দিয়ে।'' বশীরের ঈকার নিয়ে কিছু বলেন নাই, তাহলে নিজের ঈকারটুকুও বাদ দিতে হতো।
ছেলে তারপর আর নামে ঊকার বসায় নাই।মানে সমালোচনাটুকু গ্রাহ্য করেছিল।এটাই আমরা আর পেরে উঠছি না।সমালোচনা সহ্য করতে না পারায়, তা অভিযোগে গড়াচ্ছে, অভিযোগের বিরুপতা থেকে বিতন্ডা, বিতন্ডার আক্রোশ থেকে রক্তারক্তি।শহীদুল্লাহ'র যে ভতসনা মেনে নিয়ে মুর্তজা ওনার নামের ঊকার বাদ দিয়েছিলেন, সেরকমভাবে সাহিত্য, চারুকলা, শিল্পকলার প্রতিষ্ঠানগুলো সমালোচনাগুলো নিতে পারলে, আমাদের ধমনি, ফুশফুশ, যকৃত, হৃতপিন্ড, মগজ পরিস্কার হবার অবকাশ পেত।এক একুশেতে ভাষার শিতকাল পোহায় না!
চয়ন খায়রুল হাবিব
২১/০২/১৭
ব্রিটানি
ছেলে তারপর আর নামে ঊকার বসায় নাই।মানে সমালোচনাটুকু গ্রাহ্য করেছিল।এটাই আমরা আর পেরে উঠছি না।সমালোচনা সহ্য করতে না পারায়, তা অভিযোগে গড়াচ্ছে, অভিযোগের বিরুপতা থেকে বিতন্ডা, বিতন্ডার আক্রোশ থেকে রক্তারক্তি।শহীদুল্লাহ'র যে ভতসনা মেনে নিয়ে মুর্তজা ওনার নামের ঊকার বাদ দিয়েছিলেন, সেরকমভাবে সাহিত্য, চারুকলা, শিল্পকলার প্রতিষ্ঠানগুলো সমালোচনাগুলো নিতে পারলে, আমাদের ধমনি, ফুশফুশ, যকৃত, হৃতপিন্ড, মগজ পরিস্কার হবার অবকাশ পেত।এক একুশেতে ভাষার শিতকাল পোহায় না!
চয়ন খায়রুল হাবিব
২১/০২/১৭
ব্রিটানি