কবিতার গোলাপ এবং সিংহাসন বধ!
টি,এস,সি পরিত্যক্ত সুইমিং পুলের ধারে,
মাদুর পাতা মঞ্চে হালকা নীল প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে,
চারজন কবি ভাবছে কবিতার সাথে কবিদের দূরত্বের কথা।
দর্শক সারিতে কয়েকজন চারুশিল্পী, চলচ্চিত্রকার
এবং বেশ কজন বিভিন্ন বয়সী আর্ট পারফর্মার ভাবছে,
তারা কিভাবে শুনবে কবিতার সাথে তাদের দূরত্বের কথা।
পাশে গথিক কাঠামোর মঠের সুচালো চুড়াতে,
খোপগুলোতে বাসা বানিয়েছে হাজারো কাকাতুয়া, টিয়া।
পাখিদের বেপরোয়া কলতানে চাপা পড়েছে রাস্তার পাগলুটে হংকিং।
বৈশাখ দুপুরের ঐতিহাসিক দাবদাহ পেরিয়ে বিকেল নামছে।
খোলা মঞ্চের দুই পাঁশে স্ট্যান্ডে ছয়টা লেড-লাইট ফিল্টার
ঢাকাই গোধূলির গোলাপিকে ব্রিটানি-রহস্যময়তায় রাঙ্গায়েছে।
পরিত্যক্ত সুইমিং পুলের চার ধারে দল বেধে,
শাড়ি পরিহিতা কয়েকজন গুন ধরে টেনে,
পুলে রাখা লাল সিংহাসনটাকে তিরে এনেছিলো।
সিংহাসনটাকে ওরা মাছ ধরার জালে পেঁচিয়ে,
ইচ্ছে মত বড়শি দিয়ে গেঁথে হুররা দিয়েছিলো।
সবাই এই সিংহাসন-বধের ছবি তুলছিলো।
পুরো আকাশকে প্রকান্ড একটা বসরাই গোলাপ ধরলে,
সবার ঠোট, নাক, গলায়, কপালে রজনের গুড়োর আদলে
ঘামের ঝকঝকে ফোটাগুলো সেই আকাশী-গোলাপের রেণু।
সকলে রেণু হয়ে বসে আছে কবিতার গোলাপের গাঁথা শুনবে বলে!
চয়ন খায়রুল হাবিব
১৯/০৫/২৪
ঢাকা