ত্রা লা লা লা...এখানে থমকে দাড়াবে রঙ্গিলা বাংলা...মুদ্রাফরাশ জোনাকদের দ্বন্দরন জল্লায় চয়ন সিথানে আমি মাইকেল বাজাই...নৈকট্যধামের টাইপো লজবাং বা লজিকাল বাংলাঃ ঈ, ঊ, ণ,চাদবিন্দুর বালাই নাই!মার্জনার তাই তাই তাই, উত্রাই'র ত্রালা লা লা লা...
▼
Friday, 23 June 2017
Thursday, 1 June 2017
মার্ক শাগালের রোমিও জুলিয়েট
কিভাবে ইটালির একটি প্রাচীন কাহিনী, শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডি, মার্ক শাগালের কার্টুন ধর্মি আঁকা এবং ২০১৭ সালে লেখা আমার একটি পুরনো কবিতা, ২০২৪এর শেষে একটা নতুন সনেটের জন্ম দেয়, তার রসায়ন এখানে!
Marc Chagall, Romeo et Juliette, 1964 |
।। মার্ক শাগালের জুলিয়েট ।।
রূপকথার ক্যানভাসে টুথপেস্টের ফ্যানার দাগ,
জুলিয়েট ঘুমায়, ঘুম না ভাঙ্গা ভোরে,
রোমিও শুনতে পায় ল্যাজারাসের রাগ-বেহাগ
স্বপ্নেরা ভাঙে মার্ক শাগালের ঘোরে।
রং-তুলির ছররায় ফোটে রঙিন সব দিন,
ঢাবি- গ্রন্থাকার প্রাঙ্গণে গল্পকারের কুঋণ।
মেহগনি-নিম-ঝড়, রস পাতা ছেঁচে আনে,
নজরুলের ভাঙ্গা লিরিকে, জয়নুলের ভাঙ্গা বয়ানে।
“জুলিয়েট, ওঠো, নাটক তো এখন শেষ?
ইফতারের ডাক পড়েছে গোধূলিবেলায়।”
জুলিয়েট হেসে বলে, “ধৈর্য ধরো প্রিয়,
ফ্যানা মাখা হাসি শাগালের চিত্রে মিশাও রোমিও'',
তোমার রোযার জন্য সাজাই প্রেমের পাপ —
এ টুথপেস্টে লুকানো স্থায়ী পূর্ণিমার মণিকাপ।”
চয়ন খায়রুল হাবিব
২১/১২/২৪
ব্রিটানি, ফ্রান্স
মার্ক শাগালের রোমিও জুলিয়েট
রোমিও কিম্বা ল্যাজারাস পুনর্জন্মে আমার দেখার ইচ্ছায় পেলাম
শাগালের তেলচিত্রে টুথপেস্টের ফ্যানা-মাখা জুলিয়েটের ঘরোয়া সকাল
দেখামাত্র শাগালের তেলচিত্র ছাড়ায়ে চয়নেস্ক-কল্পনা উথাল পাথাল
ঢাবি গ্রন্থাগারের সামনে বৈশাখের শুরুতে যে মেহগনি-নিম গাছটা ঝড়ে উপড়ালো
তার কচি পাতা ছেঁচে বানানো ঝাঁঝালো টুথপেস্টে ঐ গ্রন্থাগারের তাবৎ বইপত্রের রস
এবং অল্প-দূরে শায়িত নজরুলের কোকিল মিস্ট গান এবং জয়নুলের কাঠকয়লার ফিউশান
একটু ফিরোজা বেগম একটু কমল দাশ গুপ্ত... আর কি চাও একটা টুথপেস্টে
অতিথির তারাপদকে ডেকে বলো টুথপেস্টের ফ্যানা-মাখা মালকিনকে আড়বাঁশি শুনাইতে
জুলিয়েটগো উঠো, নাটক শেষ, মঞ্চে আর কতকাল শুয়ে থাকবা
মঞ্চেরওতো শেষ নাই, এই বাদ সেই বিসম্বাদ, এই তত্ব, সেই আমসত্ত্ব
কিন্তু জুলিয়েট চয়নকে তার ঘরোয়া সকাল দেখতে দিবে না
সে তাকে পরীক্ষার হলে পরীক্ষাপত্র দিয়ে বেমালুম ভুলে গেল
না কি তত্বের দানো তাকে আরেক জঙ্গলে লুকায়ে রাখলো
সেকারণে প্রাণের প্রগলভতা ছাড়া ব্যাং রাজকুমার রোমিওর আর উপায় থাকে না
ভাল লাগাকে সে বিমূর্ত করে না
মঞ্চের বাইরে সে জুলিয়েট-রুপি জোলেখাকে চিনতে পেরেছে রাস্তার ঐ পাশে
কিন্তু তারা সবাই ইদের কেনাকাটি ইত্যাকার বিয়াশাদী এবং ইফতারর পার্টিতে ব্যস্ত
রোমিওর চুলে পাক ধরেছে
রোমিও আর ব্যালকনির বাগান-বিলাসের ঝাড় আঁকড়ে ঝুলে থাকতে পারছে না
রোমিও ফিরে যাচ্ছে রোমিওর ভূমিকা ছেড়ে সুচরাজার ভূমিকায়
জুলিয়েট কলকুচি করে রোমিওর দেহে আরো আরো সুচ ভরে দিচ্ছে
আর কলকল করে হাসছে যাতে সেই মেহগনি-নিমের রহস্যময় সুগন্ধ
সুচরাজা রোমিওর
হাজার সুচের উপর শবাসনে মুখ উপুড় করে শুয়ে পড়লো জুলিয়েট
জুলিয়েটের নিমরস ভিজা রক্ত চুয়ে চুয়ে রোমিওর উপর ঝরতে লাগলো
রোমিও এবং ল্যাজারাসের সাথে
জীবন বদলাবদলি করা চয়ন এইভাবে জুলিয়েটের ব্লাড ডোনেশান পেলো
ঘটনাটা গোধূলির ব্যালকনির নিচে দাড়ায় বলবার পর
টুথপেস্টের ফ্যানা-মাখা হাসি ছড়ায়ে জুলিয়েট বল্লো, ধ্যাত
কি যে বলেন এইসব, কোন আগামাথা নাই
আসেন বুইড়া রোমিও, আপনার সকাশে এইবার ইফতার সাজাই
সকালের টুথপেস্টের ফ্যানা-মাখা হাসি কিভাবে গোধূলিতে গড়ালো
বাজেটের হিশাবকে গোল্লায় পাঠায় কবিতার পরম হিশাব মার্ক শাগালে হারালো
চয়ন খায়রুল হাবিব
২/৬/১৭
ঢাকা